বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ এর তারিখ । ইজতেমা কখন, কোথায় অনুষ্ঠিত হবে

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ এর তারিখ । ইজতেমা কখন, কোথায় অনুষ্ঠিত হবে
  বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩

আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমা কবে কোথায় কখন শুরু হবে সে সম্পর্কে। মহামারীর ধকল কাঠের শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩। বলা হচ্ছে যে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত আকারে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। 

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ এর তারিখ

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ই জানুয়ারি থেকে। বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন পক্ষ থেকে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বরাবরের মতো এবারও ইজতেমা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে দুই পর্বে। প্রথম পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ১৩ই জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে ২০ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। 

প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জুবায়ের এর পক্ষের লোকজন অংশগ্রহণ করবেন। দুই পর্বের ইজতেমার মাঝখানে বিরতি থাকবে ছয় দিন। 

ইজতেমা কখন, কোথায় অনুষ্ঠিত হবে

আমরা অনেকেই জানি যে ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গিপুরা নদী বিশাল ময়দানে তাবলীগের জামাত অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সাল থেকে। ধীরে ধীরে তাবলীগের কাজ প্রচলিত হওয়ার ফলে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের জায়গার সংকট হতে থাকে। তাই ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমাকে দুই পর্ব  ভাগ করা হয়। 

ইজতেমার উদ্দেশ্য কি 

বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এখানে মুসল্লীরা জামায়েত হয়। যতদিন আনুষ্ঠানিকতা চলে ততদিন বিশিষ্ট ইসলামী স্কলারগণ মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন মুসুল্লিরা মনোযোগ সহকারে তাদের বক্তব্য শোনেন। মূলত এই ইজতেমার প্রাঙ্গনে বিশিষ্ট ইসলামী গণ আগত মুসল্লিদেরকে তাবলীগের কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। 

দীর্ঘ বক্তৃতা শেষে আগত মুসল্লিদের খন্ড খন্ড জামায়াতে বিভক্ত করে বিভিন্ন এলাকায় তাবলীগের কাজে পাঠানো হয়। তাবলীগের কাজে যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে নিজেকে শুধরানো পাশাপাশি যেখানে তাবলীগের কাজে যাওয়া হচ্ছে সেখানে এলাকাবাসীকে ইসলামের পথে আগমনের আহ্বান জানানো।

তাবলীগের জামায়াতে এই কাজে প্রত্যেকে নিজের খরচে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। যেহেতু তাবলীগের কাজ করা আল্লাহপাকের নির্দেশনা এবং এবাদত তাই মুসলমানগণের নৈতিক দায়িত্ব থেকেই এ কাজে অংশগ্রহণ করতে হয়। আর অন্যভাবে বলা যায় যেহেতু তাবলীগ জামাতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে নিজেকে শুধরানোর সুযোগ থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে একাগ্রতার সাথে আল্লাহ পাকের এবাদত করা যায় তাই অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই কাজে অংশগ্রহণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। 

আল্লাহপাকের দরবারে আমাদের সকলের দোয়া এটাই থাকবে যে এবারের ২০২৩ সালের বিশ্ব ইজতেমা যেন সফল হয়। আমাদের মুসল্লিদের এই প্রত্যাশা যে, করুনা মহামারীর পর আবারও বিশ্ব ইজতেমা পুরনো চেহারায় ফিরে আসবে। আবারো সকল মুসল্লি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাবলীগের কাজে অংশগ্রহণ করবে। 


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads