অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

অফিশিয়াল মোবাইল ফোন চেক করার উপায় কি? নিজে নিজের মোবাইল ফোন অফিশিয়াল কিনা চেক করতে kydলিখে স্পেস দিয়ে imei numberলিখে এসএমএস সেন্ড করুন  ১৬০০২ নাম্বারে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরতি এসএমএস এসএমএসে মোবাইল মোবাইলটি অফিশিয়াল  কিনা জানতে পারবেন।

অফিসিয়াল ফোন এর বৈধতা যাচাই

মোবাইল আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মোবাইল ছাড়া জীবন এখন কল্পনাতীত। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটা অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল। অনেক সময় দোকান  থেকে না জানার কারণে আনঅফিসিয়াল মোবাইল কিনে নিয়ে আসি নিজের অজান্তেই। কাজে আমাদের এটা বের করা উচিত যে আমাদের মোবাইল যেটা আমরা ব্যবহার করতেছি সেটা অফিসিয়াল মোবাইল নাকি আনঅফিসিয়াল মোবাইল। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক অফিসিয়াল  ফোন চেনার উপায়।

আসল ফোন চেনার উপায়

জানা থাকলে যাবতীয় বিরম্বনায় অবসান ঘটতে পারে ফন্তি কেনার সময়। সর্বশেষ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ কনফিগারেশনের সেটি বাজেটের মধ্যে পেতে হলে ফোন যাচাই-বাছাই অবশ্য। বাজারে হাজারে স্মার্টফোন থেকে পছন্দের হ্যান্ডসেটটি লুফে নিতে বাজারদরের পাশাপাশি তাঁর কারিগরি ও  জেনে রাখা প্রয়োজন। তবে এর মানে এই নয় যে স্মার্ট ফোনের ব্যাপারে একদম দক্ষ হতে হবে। এই জ্ঞান মূলত যে ফোনটি কেনা হচ্ছে তা আসল না নকল সে বিষয়ে সাবধানতা দিকে নির্দেশ করছে। অনেক সময় অসতর্কতার কারণে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সবচেয়ে নামকরা কোম্পানির নকল ফোন কিনে প্রতারিত হতে হয়। তাই সঠিক ফোন চেনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আসছে এই নিবন্ধন।

অফিসিয়াল আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য

অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় অরজিনাল ফোনগুলো ভ্যাট ট্যাক্স প্রদান করে আইনগত ভাবে দেশের বাজারে প্রবেশ করে। সেইসঙ্গে এগুলোর আই এম ই আই< ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি> নাম্বার সরকারি ডাটাবেজে নিবন্ধিত হয়ে যায়। একইভাবে দেশের ভেতরে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর আই এম ই আই নাম্বার ও দেশের মোবাইল ফোন ডাটা বন্ধ থাকে। স্বভাবতই অফিশিয়াল ফোন গুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ  ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখে/ কোরবানির ঈদ ২০২৩

অন্যদিকে  ভ্যাট ট্যাক্স না দেয়ার কারণে আমদানিকৃত নকল ফোন গুলোর দাম অপেক্ষাকৃত কম হয়। এই ফোনগুলো অবিকল অফিসিয়াল ফোন এর মত দেখতে এবং প্রথম দিকে একদম অরজিনাল ফোনের মতই কাজ করে। অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়। কিন্তু পরবর্তীতে ফোন ব্যবহারের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

আনঅফিসিয়াল ফোন কেনার ঝুঁকি

 ম্যালওয়্যার অ্যাটাক

একটি নকল মোবাইল সেট ব্যবহার সবচেয়ে বেশি যে বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়  তা হল- ম্যালওয়্যার সংক্রমণ। এই   ফোনটি যে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয় সেই নেটওয়ার্ক জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য মোবাইল ফোনটিও সংক্রমিত করে ফেলতে পারে।

এই ম্যালওয়্যারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হলো কি লগইন। এর মাধ্যমে কোন হ্যাকার যখন ফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়, তখন তারা ফোনটিতে ক্ষতিকারক লিংক পাঠাতে থাকে। ফোন ব্যবহার সেই লিঙ্ক ক্লিক করা মাত্রই ফোন এর প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য অজান্তেই পাতার হয়ে যায়।

রেনসম্যালওয়্যার ঝুঁকি 

রেনসম্যালওয়্যার নকল মোবাইল ফোনের খুব সহজেই গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলো নষ্ট করে ফেলতে পারে। ফলে ফোন ব্যবহারকারী সেই ফাইলগুলো ব্যবহার করতে পারে না। রেনসম্যালওয়্যার মত এটিও যেকোনো নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি ফোনকে সংক্রমিত করতে পারে।

অনিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম

নকল মোবাইল ফোনগুলোর নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে আপডেট হয় না। এর ফলে পূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে না।   ও এস ডিভাইজের মডেল, সিপিইউওর, রাম, স্টোরেজঃ ইত্যাদি ওপর ভুল রিপোর্ট তৈরি করে। ধীরে ধীরে ফোনটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়তে থাকে।

স্বাস্থ্য ঝুঁকি

নির্মাতা তাদের ডিভাইসগুলো বাজারে বিক্রি করার আগে পুরোপুরি ভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।অ্যাপস, অ্যান্ড্রয়েড এর মত নিবন্ধিত কোম্পানিগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রটোকল এবং সুরক্ষা মান নিশ্চিত করে থাকে। অধিকাংশ ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি অধিদপ্তর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

অন্যদিকে নকল মোবাইল এবং ব্যাটারিগুলো পুরোপুরিভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে দিয়ে থাকে না। ফলশ্রুতিতে এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাইরে থেকে যায় গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি। বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যমে বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন নয়। শরীরের খুব কাছাকাছি থাকায় নিমিষে টাইম পরীর এই বস্তুটি গ্রাহকদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নির্মাণের ব্যাটারি মানেই এর ভেতরে থাকা রাসায়নিক উপাদান গুলোর বিক্রিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব যা চূড়ান্ত পর্যায়ে অঙ্গহানির দিকে নিয়ে যায়। অফিশিয়াল অফিসিয়াল ফোন চেনার আমরা কিছু তাহলে জ্ঞান অর্জন করতে  পেরেছি।

আরো পড়ুনঃ  কান্নাতে ও শরীরের যত উপকার

ত্রুটিপূর্ণ নেটওয়ার্ক

অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় ত্রুটিপূর্ণ নেটওয়ার্ক এর গুরুত্ব অপরিসীম। আনঅফিসিয়াল ফোনের গ্রাহকদের একটি সাধারন অভিযোগ হচ্ছে নেটওয়ার্কের ব্যাঘাত ঘটে। যেমন কল করার সময় ব্যাগ শব্দ শোনা।  নকল  ফোনগুলো  স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি কিছু কিছু স্থানে নেটওয়ার্ক দেখা যায় না।

এছাড়া অন্য ডিভাইস গুলো নেটওয়ার্ক এর গতি কম থাকে তার গ্রাহকদের চরম হতাশ অভিজ্ঞতা দেয়। বেশির ভাগ লোকেশন এর নকল ফোনের সিগ্নাল নকল ফোনের সিগ্নাল ব্যর্থতা প্রবণতা বেশি থাকে। বার্থডে ফোন কেনার অল্প সময়ের মধ্যে তারা ফোনটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। অন্য জেনুইন কোন সমস্যা  কল করা এবং গ্রহণ করা যায়।

পরিবেশ গত ঝুঁকি

চার্জার এবং ব্যাটারি নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এতে থাকা উপাদান শুধু মানুষের  জন্য ক্ষতিকর নয় বরংপরিবেশের জন্য  ক্ষতিকর হতে পারে। এই ধরনের ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহৃত সস্তা এবং নিম্ন মানের ধাতু ও রাসায়নিক উপাদানগুলো ল্যাবে পরীক্ষা থাকে না। থাকেনা স্বভাবতই এই ফোন গুলো ত্রুটিযুক্ত  এবং এতে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আশেপাশে সম্পত্তির ক্ষতি করার সম্ভাবনা থাকে অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

আনঅফিসিয়াল ফোন ফোন এ থাকা  সীসা পারদ পরিবেশের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এগুলো থেকে রাসায়নিক পদার্থ যেমন তামা, ক্যাডমিয়াম, লিথিয়াম, জিংক, এবং  আর্সেনিক বস্তুকে ব্যাহত করতে পারে।

কিভাবে অফিশিয়াল ফোন যাচাই করবেন

এন্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে প্রতিটি অফিসিয়াল স্মার্টফোন কোন সংখ্যার একটি আইএমইআই নম্বর থাকে। এটি প্রতিটি ফোনের জন্য আলাদা হয় যা ডিভাইজের প্যাকেজিং- ও উল্লেখ থাকে। একটি আনঅফিসিয়াল  ফোন থেকে অফিশিয়াল ফোন চেনার জন্য এই কোডটি যথেষ্ট।

 অর্থাৎ প্রাকৃতিক  ফোন যাচাই করতে সর্বপ্রথম এই 15 টি ওসংখ্যার আই এম ই আই কোড টি খুঁজে বের করতে হবে। এই অনুসরণ দুটি উপায় উপায়ে চালনা যেতে পারে।

প্রথমটি হলো

*#06#ডায়াল করলে সাথে সাথে 15 সংখ্যার আই এম ই আই নম্বরটি মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।

দ্বিতীয় টি হল

অনুসন্ধান পদ্ধতি ফোনের সেটিংস এর মাধ্যমে।  সেটিং থেকে খুঁজে বের করতে হবে এবাউট ডিভাইস। দ্বিতীয় বাছাই করতে হবে এসটাটাস। তারপর মোবাইল স্ক্রিনে কাঙ্ক্ষিত আইএমইআই নম্বর প্রদর্শন করবে। 

এর্বার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে যে কোন ব্রাউজার থেকে ইন ইনফো ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর দৃশ্যমান ডায়ালগ বক্সে সেই 15 টি সংখ্যার আই এম ই আই নম্বরটি লিখে ক্লিক করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়  প্রদর্শিত হবে।

আরো পড়ুনঃ  রাগান্বিত অবস্থায় করবেন না যেসব কাজ

এই ফোনের স্ক্রিনে ফোনের তথ্য না দেখিয়ে বিভিন্ন কিছু দেখায় তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি নকল ফোন অথবা এটি একটি আনঅফিসিয়াল ফোন। অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় হচ্ছে এই 15 টি সংখ্যার আইএমইআই নম্বর টি ক্লিক করার সাথে সাথে তার লিংক চলে আসবে এবং আমরা অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় জেনে যাব। 

পরিশেষে বলা যায় যে অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় সম্পর্কে আমরা কিছুটা হলেও আপনাদের ধারণা দিতে পেরেছি। আশা করা যায় যে আপনারা আমাদের পোষ্ট টি  করলে বুঝতে পারবেন যে অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় তাহলে আপনারা আনঅফিসিয়াল ফোন কেনা থেকে বিরত থাকবে।


Md:Aklacur Rahaman

মোঃএখলাছুর রহমান,আমি উত্তরা টাউন ইউনিভার্সিটি কলেজে পলিটিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্টে অধ্যায়নরত আছি,আমি sorolmanus.com ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে থাকি।আমার ব্যক্তিগত arnilofficial.com একটি তথ্যমূলক ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত লেখালেখি করে থাকি।টেকনোলজির প্রতি আমি পাগল।বই পড়তে আমার ভালো লাগে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads