ওয়ালটন বাংলাদেশের এমন একটা কোম্পানির যারা সবচাইতে বড় পরিসরে ইলেকট্রিক পণ্য উৎপাদন করা শুরু করে। যেমন রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশন, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, কম্পিউটার এমনকি মোটরসাইকেল পর্যন্ত তারা উৎপাদন করে। একমাত্র ওয়ালটনে এত বড় পরিসরে ইলেকট্রিক পণ্য উৎপাদন করছে বাংলাদেশ ভেতরে। ওয়ালটন মোবাইল মানুষের নজরে আসে ওয়ালটন প্রিমো মোবাইল ফোন সিরিজ এর মাধ্যমে। ওয়ালটন মোবাইলের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রিমো সিরিজের স্মার্টফোন গুলো হচ্ছে Primo X2 and Primo ZX, পৃথিবীর সবচেয়ে পাতলা ফোন Primo X3 যেটা 2014 সালে রিলিজ করা হয়েছিল, এছাড়া ওয়ালটনের আরেকটি ফোন ultra-premium Primo Z অল্প সময়ে তাদের জনপ্রিয়তা কে আরো উপরে উঠতে সক্ষম হয় । ধীরে ধীরে ওয়ালটন কোম্পানির স্মার্টফোনগুলোর বিক্রি এবং জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। মজার বিষয় হচ্ছে 2015 সালে তারা বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্মার্টফোন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
কেন বাংলাদেশিরা ওয়ালটন মোবাইল পছন্দ করে?
ওয়ালটন মোবাইল কোম্পানি সাধারণত স্বল্পবাজেট থেকে মিডিয়াম বাজেটের স্মার্টফোনগুলো বেশি উৎপাদন করে। ওয়ালটনের স্মার্টফোন রয়েছে তার নাম হচ্ছে প্রিমো সিরিজ। ওয়ালটনের জনপ্রিয়তার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেমন সীমিত প্রাইস এর মধ্যে তারা স্টাইলিশ ডিজাইন, বেশি বেশি স্পেসিফিকেশন সমৃদ্ধ ফোন রিলিজ করে। যেহেতু স্বল্পমূল্যে ভালো ডিজাইন এবং ভালো ভালো স্পেসিফিকেশন সহকারে মার্কেটে স্মার্ট ফোন দিচ্ছিল তাই তারা অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ইয়াং জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ড এর প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠে, ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে ছাত্র এবং নতুন চাকরিতে জয়েন করার মতো লোক জনেরা বেশি আকৃষ্ট হয়ে পরে। যেহেতু তারা বেশি দামে স্মার্টফোন কিনতে পারছিল না তাই স্বল্পমূল্যে ভালো স্পেস সমৃদ্ধ ওয়ালটন মোবাইল গুলোই তাদের একমাত্র ভরসার স্থল ছিল।
ওয়ালটন স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোন দিতে পারছিল কারণ ওয়ালটন বাংলাদেশ এর মধ্যেই মোবাইল গুলোকে এসেম্বল করা শুরু করে। যার ফলে তারা সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাট ট্যাক্স এর ব্যাপারে অনেকটা ছাড় পায়। মেড ইন বাংলাদেশ লেখাটি বাঙ্গালীদের হৃদয় ছুঁয়ে যায় এবং এই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া ব্যাপারটার কারনেও ওয়ালটনের স্মার্টফোন বা মোবাইল বিক্রির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়।
ওয়ালটন মোবাইল এর ভবিষ্যৎ কি?
ওয়ালটন বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানির নাম যারা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক পণ্য উৎপাদন করছে এবং তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে এছাড়া বাংলাদেশের কাস্টমার খুব ভালো করে জানে যে ওয়ালটন কত বড় পরিসরে একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। তাই বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন প্রতিস্থান হওয়ার সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ যোগ্যতা রয়েছে তাদের। যদি ওয়ালটন তাদের ভালো মানের ডিজাইন, রিজেনেবল প্রাইস, ভালো কাস্টমার সার্ভিস, স্মার্টফোনের স্থায়িত্ব, ভালো মানের হার্ডওয়ার এবং স্মুথ সফটওয়্যার ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই ওয়ালটন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।