টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায়

টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায়

টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায় সম্পর্কে  আমাদের আজকের আলোচনা। বর্তমান সময়েবহুল জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম হচ্ছে টিক টক।টিক টক ব্যবহার করে না এরকম মানুষ পাওয়া খুবই দুষ্কর। টিকটক অ্যাপ টি মূলত সোশ্যাল মিডিয়া এই আমরা একটি তথ্য খুব সহজে অন্যজনের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। বর্তমান টিকটক বিনোদনের জন্য বেশ ব্যবহৃত হয়। অনেকেই tiktok ভিডিও করি এবং ভাইরাল হতে চাই। আজ আমরা টিকটকের ভাইরাল হওয়ার উপায় জানবো।

★ টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায় 

আমরা যারা tiktok ভিডিও করি তাদের সবারই একটা বিশেষ উদ্দেশ্য থাকে।সবারই উদ্দেশ্য থাকে কিভাবে টিকটকে ভাইরাল হওয়া যায়। আমরা টিকটকে ভিডিও আপলোড করার সময় সাধারণত কিছু ভুল করে থাকি, যার জন্য আমাদের tiktok এর ভিডিও গুলো ভাইরাল হয় না। টিকটকে ভিডিও ভাইরাল করার জন্য প্রথমে আমাদের ভিডিও গুলো ফর ইউ পেজে নিতে হবে। আমরা tiktok অ্যাপ ওপেন করলে দেখতে পাই ফর ইউ পেজে নতুন নতুন ভিডিও শো করে।ফর ইউ পেজে যে ভিডিও গুলো শো করে সেই ভিডিও গুলো ভাইরাল হয়। আমরা যদি কিছু নিয়মকানুন মেনে ভিডিওগুলা আপলোড করি তাহলে ফর ইউ পেজে আমাদের ভিডিও গুলো শো করবে এবং ভিডিও গুলো ভাইরাল হবে। যেসব নিয়মকানুন মেনে করতে হবে তা হলো

★ ট্রেন্ডিং সাউন্ড ব্যবহার করা 

টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায়  অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে ট্রেন্ডিং সাউন্ড ব্যবহার করা। যার কারনে যখন কোন মিউজিক টিকটক For You  তে ট্রেন্ডিং এ থাকে তখন সেই সাউন্ড গুলো দিয়ে তৈরি কৃত ভিডিও গুলো টিকটক অ্যালগরিদম For You পেইজে নিয়ে যায়।এতে টিকটক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সুযোগ থাকে। সব সময় চেষ্টা করবেন ট্রেন্ডিং সাউন্ড দিয়ে ভিডিও করার। 

★ ট্রেন্ডিং ভিডিও মেকিং 

টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায় গুলোর ক্ষেত্রে ট্রেন্ডিং ভিডিও মেকিং এর বিকল্প নেই। যে সময় যেটা ভাইরাল টপিক থাকে ওই সময় ওই টপিকটা নিয়ে ভিডিও মেকিং করাকে ট্রেন্ডিং ভিডিও মেকিং বলে। মানুষ ভিডিও দেখতে খুব পছন্দ করে। ট্রেন্ডিং ভিডিওগুলো সব থেকে বেশি ভাইরাল হয়। তাই ভিডিও ভাইরাল এর ক্ষেত্রে ট্রেনিং ভিডিও মেকিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যদি আমাদের tik tok ভিডিওগুলোকে ভাইরাল করতে চাই তাহলে, অবশ্যই আমাদের ট্রেনিং ভিডিও মেকিং করতে হবে। 

এখানে ট্রেন্ডিং সাউন্ড এবং ট্রেন্ডিং ভিডিও মেকিং দুইটা আলাদা করে বুঝিয়েছি। কারণ ট্রেন্ডিং ভিডিও সব সময় বিভিন্ন অভিনয় থাকে না। মানুষ ট্রেন্ডিং সাউন্ড গুলো একেক টাইপের অভিনয় করে দিয়ে ভিডিও তৈরি করে। ট্রেন্ডিং ভিডিও রয়েছে যার সাথে আপনাদের মুখের ভঙ্গি এবং আচার-আচরণ এক রকম রাখতে হবে। 

★ সেলিব্রেটিদের সাথে ডুয়েট করা 

টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায় ‍গুলোর মধ্যে খেয়াল করবেন যে,  টিকটকের বর্তমানে যাদের ভিডিও ভাইরাল বেশি হয় তারা নিত্যনতুন ভিডিও আপলোড করে। প্রায় সময় সেলিব্রেটিদের ভিডিও টিক টক এ ভাইরাল হয়। আর তারা সাউন্ড গুলো ব্যবহার করে সবগুলোই ট্রেন্ডিং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। তাদের ব্যবহার কিন্তু ভিডিও সাউন্ড গুলোর সাথে আপনি বোর্ড করতে অথবা তাদের ভিডিও গুলোর সাথে আপনি ডেট করতে পারেন এতে করে সেই সেলিব্রেটিদের ফ্যানের কাছে আপনার ভিডিও পৌঁছে যেতে পারে। এত করে আরেকটি সুযোগ তৈরি হতে পারে টিকটকে ভাইরাল হওয়ার। 

★ ভিডিও নিস বাছাই করুন এবং ইউনিক ভিডিও আপলোড করুন

এখানে নিস বলতে আমি একটা ক্যাটাগরী কে বুঝিয়েছি। যেকোনো ক্যাটাগরি নিয়ে ভিডিও করুন। বর্তমানে জাতীয় ভিডিও গুলো টিকটকে টপ ট্রেন্ডিং আর কমেন্টের দিকে নজর দিন। যেহেতু আপনি টিকটক মানুষকে বিনোদন দিতে চাচ্ছেন তাহলে মানুষ বিনোদিত হয় এমন সব ভিডিও করুন। কখনো মানুষের ভিডিও বা মানুষের আইডি কপি করা থেকে বিরত থাকুন। সব সময় আলাদা ভাইব্রেভ  নিয়ে ভিডিও করুন।যাতে tiktok ব্যবহারকারীদের কাছে মনে হয় এই ভিডিও তারা আগে কখনো দেখিনি কিন্তু এই ভিডিও তাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভিডিও ডুয়েট কারীর সংজ্ঞা বেড়ে যাবে, এবং আপনার ব্যবহার করা মিউজিকের ব্যবহারকারী ও বেড়ে যাবে। এতে করে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। 

★ ক্লিয়ার ভিডিও আপলোড করা 

ভিডিও ভাইরাল না হওয়ার সব থেকে বড় কারণ হলো ভিডিও ক্লিয়ার না হওয়া।যদি ক্লিয়ার  ভিডিও আপলোড না করা হয় তাহলে মানুষ আপনার ভিডিওগুলো দেখবে না। এমনকি tiktok থেকে আপনার রিচ বন্ধ করে দেবে ভিডিও কোয়ালিটি ক্লিয়ার না হয় তাহলে মানুষ আপনার ভিডিওগুলো দেখবে না। এতে আপনার ভিডিও ভাইরাল না হওয়ার অনেক সম্ভাবনা থাকে তাই সব সময় টিকটক এ ক্লিয়ার ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করতে হবে।

★টিকটক ভিডিও কত সময়ের মধ্যে হতে হবে 

টিকটকে ভাইরাল হওয়ার জন্য আমরা অনেকেই জানি না যে, আমাদের ভিডিও গুলো কত সময় হলে ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনার একটি ভিডিও ল আপলোড করার পর টিকটক অ্যালগরিদম ভিডিও কে ফর ইউ পেজ এ সাজেস্ট করে। যদি ইউজারা ভিডিও ৮০% দেখে তাহলে আপনার ভিডিওর রিস টিকটক অটোমেটিক বাড়িয়ে দেয়। এতে আরো অনেক নতুন নতুন ইউজারদের হোমপেইজে যায় ভিডিওটি। এবং ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টিকটকে মূলত ভাইরাল শর্ট ভিডিও দেখতে পছন্দ করে। tiktok যদি লং ভিডিও আপলোড করা হয় তাহলে মানুষ সম্পূর্ণ ভিডিও দেখে না। তাই tiktok এ সব সময় শর্ট ভিডিও আপলোড করতে হবে। tiktok ভিডিওর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে থাকলে সব থেকে ভালো হয়।

★ রেগুলার ভিডিও আপলোড 

টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায় অন্যতম হচ্ছে রেগুলার ভিডিও আপলোড করা।  আমরা সকলে প্রায় এই ভুলটা বেশি করে থাকি আমরা tiktok এর রেগুলার ভিডিও আপলোড করি না। রেগুলার ভিডিও আপলোড না করার কারণে আমাদের ভিডিওগুলো ভাইরাল হয় না। আমরা যদি প্রত্যেকদিন একটা করে ভিডিও আপলোড করি তাহলে সব সময় আমাদের এইভাবে একটা করে ভিডিও আপলোড করতে হবে। আপনারা অনেকে একটি করে ভিডিও  আপলোড করে দুই তিন দিন পর আবার একটা ভিডিও আপলোড করেন। এর কারণে আপনাদের চেষ্টা করতে হবে রেগুলার ভিডিও আপলোড করা। দৈনিক যদি দূইটি তিনটে ভিডিও আপলোড করা যায় তাহলে আমাদের ভিডিও গুলো অনেক ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

★ টাইটেল এবং হ্যাস্টার ব্যবহার করা 

টিকটক এ ভিডিও আপলোড এর আগে অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমাদের টাইটেল ঠিক আছে কিনা। টাইটেলে অবশ্যই ভাইরাল হ্যাশট্যাগ  # For you, # Bd Tiktok ইত্যাদি এই জাতীয় ভাইরাল হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। এবং আপনি যে টপিকের ভিডিও আপলোড করবেন সেই টপিকের হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। এবং টাইটেলের ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন। টাইটেলে হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের ফলে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে এটি আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। 

★ গেম খেলা 

মাঝে মাঝে দেখবেন tiktok কোম্পানি গেম নিয়ে আসে। আপনি যদি সেই সব গেম খেলে ভিডিও আপলোড দিতে পারেন তাহলে বেশি পরিমাণে ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

★ ইফেক্ট ভিডিও ইফেক্ট ব্যবহার করা 

টিকটকে বলা যায় ইফেক্ট এর রাজা। আপনার ভিডিওতে যদি যথার্থ ইফেক্ট থাকতে পারেন তাহলে ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল হবে। 

★ কমেন্ট এর রিপ্লাই দেওয়া 

ভিডিও এর নিচে অনেকে কমেন্ট করে থাকে। সেই কমেন্টের মধ্যে যথাযথ রিপ্লাই করতে পারেন তাহলে অনেকে বেশি পরিমাণে আপনার ভিডিওর ভিউ হবে। 

★ভিডিও ড্রাফট করে না রাখা 

দেখা যায় আপনি একটা ভিডিও শট দিয়েছেন। দেওয়ার পর আপলোড দিয়েছেন। দেওয়ার পর দেখলেন কিছু অংশ বাদ দিলে ভালো হতো। এরপর ভিডিও ড্রফট করে রাখলেন। এই ড্রফট এর জন্য আপনার ভিডিও ভাইরাল নাও হতে পারে। কারণ tiktok কোম্পানির ড্রফট বিষয়টা পছন্দ করে না। 

★ রেস্টিং ভিডিও না দেওয়া 

tiktok এ কখনো রেস্টিং ভিডিও দিবেন না। রেস্টিং ভিডিও দিলে আপনার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিতে পারে টিকটক কোম্পানি। 

★ ভিডিও পাবলিশ 

ভিডিও পাবলিশ করার সময় একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন ভিডিও যেন Everyone করা থাকে কোনভাবেই যেন Privet করা না থাকে তাহলে ভিডিওর কোন ভিউ হবে না।

★ কভার ফটো ব্যবহার করা 

যেকোন ভিডিও পাবলিশ করার জন্য কভার ফটো ব্যবহার করা উচিত। ইউটিউবে যেটা থাম্বনেইল বলে থাকে। তো যেকোন ভিডিও এজন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই যেগুলো দেখে  আপনার ভিডিও  মানুষ দেখবে।বলা যায় যেগুলো মেনে চলেন।

★ আপনারা জানতে চেয়েছিলেন যে কিভাবে টিকটকে ভাইরাল হওয়া যায়। আমরা টিক টক এ ভিডিওর আপনাদের জানাতে চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবং নিজেদের ভুল শুধরিয়ে ভিডিও আপলোড করবেন এবং টিকটাকে ভাইরাল হতে পারবেন ।

★ শেষকথা 

আপনারা জানতে চেয়েছিলেন যে কিভাবে টিকটকে ভাইরাল হওয়া যায়। আমরা টিকটকে ভাইরাল হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবং নিজেদের ভুল শুধরিয়ে ভিডিও আপলোড করবেন 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads