ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভাল পদ্ধতি

ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভাল পদ্ধতি

ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভাল পদ্ধতি

আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকি. কিন্তু কাজের প্রয়োজনে আমাদের যন্ত্রপাতিগুলো কে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়. কিন্তু শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় চেয়ে সব তা নয় কারণ খালি চোখে পরিষ্কার মনে হলেও আসলে তাতে  জীবাণু থাকতে পারে. যদি জীবাণু থেকে থাকে তবে তা আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে. তাই আমরা  ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি. তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেনা জীবাণুমুক্ত করার ভাল পদ্ধতি সম্পর্কে. তাই আজকে আমার আর্টিকেল এর বিষয় হচ্ছে ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভাল পদ্ধতি. যারা ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভাল পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তারা আমার আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। 

ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার প্রয়োজন কেন

আমরা ধারালো যন্ত্রপাতিগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি. হতে পারে সেগুলো ডাক্তার এর অস্ত্রোপাচারের ক্ষেত্রে অথবা আমাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রগুলি. যেগুলো হয়তো আমাদের খাবারের সাথে সংশ্লিষ্ট. সাধারণত আমরা ময়লা-আবর্জনা খালি চোখে দেখতে পারে এগুলো আমরা ধুয়ে নিলেই হয়ে যায়. কিন্তু এদের মধ্যে বহুল অনুজীবের মত থাকে যারা ব্যাকটেরিয়া বা  স্পোর হতে পারে.এই জীবাণু গুলো যদি কোনভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং আমাদের শরীর তাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা যদি না থাকে তবে আমরা তাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে  পারি. তাই আমাদের জৈব সুরক্ষার জন্য আমরা দৈনন্দিন যে যন্ত্র গুলো ব্যবহার করি অথবা ডাক্তার যে যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার করে সেগুলো অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার প্রয়োজন পড়বে.এছাড়াও বিভিন্ন প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য নির্মাণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিষ্কার পরিছন্নতা বিধান করার জন্য জীবাণুমুক্তকরণ ব্যবহার করে থাকে. এছাড়াও আমরা যদি আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি ঠিকঠাকভাবে জীবাণুমুক্তকরণ না করি তবে সেগুলো আমাদের বিভিন্ন রোগ ব্যাধির কারণ হতে পারে

ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভাল পদ্ধতি

ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভাল পদ্ধতি রয়েছে অনেকগুলো. কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকটি পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করা হলো.

ফুটন্ত পানি দ্বারা ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ

ধারালো যন্ত্রপাতিগুলো কে ফুটন্ত পানিতে 30 মিনিট রাখলে সেগুলো সাধারনত জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়. এই ধারালো যন্ত্রপাতি গুলোতে যে অবাঞ্চিত ব্যাকটেরিয়া এবং অণুজীবগুলো রয়েছে সেগুলো মারা যাবে. যদিও ফুটন্ত পানি ধারালো যন্ত্রপাতিগুলো কে জীবাণুমুক্ত করতে পারে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই যন্ত্রপাতিগুলো ফুটন্ত পানির জন্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে. আবার অনেক সময় ফুটন্ত পানি সমস্ত ধরনের ব্যাকটেরিয়া কে ধ্বংস করতে পারে না. তবে সাধারণত আমরা বাসা বাড়িতে যে ধরনের যন্ত্রপাতিগুলো দৈনন্দিন কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকি সেই যন্ত্রপাতিগুলো ফুটন্ত পানি ধৌত করলে অথবা ফুটন্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এগুলো জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে এবং আমাদের ব্যবহার উপযোগী হবে.

রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি

রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে জীবাণুমুক্তকরণ খুব ভালো একটি পদ্ধতি. কারণ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে জীবাণুমুক্তকরণ করা হলে ধারালো যন্ত্রপাতিগুলো খুব সহজে এবং অতি দ্রুত জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়. রাসায়নিক পদার্থগুলো বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু এবং সহজে এবং কমিশনের মেরে ফেলতে পারে. ধারালো যন্ত্রপাতিগুলো কে 70 পার্সেন্ট আইসোপ্রোপাইল নামক রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে 15 থেকে 30 মিনিট ভিজিয়ে রাখলে সাধারণত তা পরিষ্কার হয়ে থাকে. যে সকল যন্ত্রপাতিগুলো তাপ সংবেদনশীল অর্থাৎ যে সকল যন্ত্রপাতি গুলোকে তাপের সংস্পর্শে আনলে তা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে সেই সকল যন্ত্রপাতি গুলোকে আমরা রাসায়নিক পদার্থের মধ্যে ডুবিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ করতে পারি.

বাষ্প এর মাধ্যমে ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ

যেহেতু বাষ্প গরম পানি থেকে উৎপন্ন হয় তাই বাষ্পে প্রচুর পরিমাণ থাকে. আমরা যদি আমাদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি গুলোকে একটা আবদ্ধ জায়গায় রেখে সেখানে ফুটন্ত পানির বাষ্প পরিচালনা করি তবে সেই যন্ত্রপাতিগুলো জীবাণুমুক্ত হবে. তবে অবশ্যই গরম বাষ্প পরিচালনা করার আগে আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে সেখানে বাষ্প পরিচালনা করার ক্ষেত্রে যে যন্ত্রপাতিগুলো আমরা নির্বাচন করেছি সেগুলো আসলে তাপ গ্রহণ করলে নষ্ট হয়ে যাবে কিনা. যদি এরকম হয় যে বাষ্পের গরমের ফলে যন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে সে ক্ষেত্রে আমরা সেই যন্ত্রপাতিগুলো কে বাষ্প প্রয়োগ করে জীবাণুমুক্তকরণ করবো না. আমরা সেখানে ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করতে অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করব.

গরম পানির সাথে লবণ মিশ্রিত করে  ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ

যেই যন্ত্রপাতিগুলো আমাদের গরম পানির তাপ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে সেই সকল যন্ত্রপাতি গুলোকে আমরা গরম পানির সাথে লবণ মিশ্রিত করে জীবাণুমুক্তকরণ করতে পারি. ভবন যেহেতু একটি সহজলভ্য পদার্থ তাই যেকোন ক্ষেত্রেই আমরা  গরম পানির সাথে লবণ মিশ্রিত করে সহজেই জীবাণুমুক্তকরণ করতে পারি.

তাপ প্রয়োগ করে ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ 

ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরি যন্ত্রপাতিগুলো কে আমরা তা প্রয়োগ করার মাধ্যমে জীবাণুমুক্তকরণ করতে পারি. সে ক্ষেত্রে ধারালো যন্ত্রপাতিগুলো কে সরাসরি আগুনের মধ্যে ধরতে  হবে. কিছুক্ষণ আগুনের মধ্যে ধরে রাখলে যন্ত্রটি যখন গরম হবে তখন এর মধ্যে থাকা যেকোনো ধরনের জীবাণু বা  ব্যাকটেরিয়া সহজেই ধ্বংস হয়ে যাবে বা মারা যাবে. তবে এই ধারালো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আমাদের ঠান্ডা করে নিতে হবে.

তেজস্ক্রিয় রশ্মির মাধ্যমে ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ করার পদ্ধতি

তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে  ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ করা যায়. যন্ত্রপাতি গুলোকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সাজিয়ে তারপর এর ভিতর দিয়ে তেজস্ক্রিয় রশ্মি কে প্রবাহিত করতে হয়. যখন যন্ত্রপাতির ভিতর দিয়ে তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রবাহিত হয় তখন যন্ত্রপাতির যেকোনো জায়গায় থাকা জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া সহজেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়. তবে তেজস্ক্রিয় প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট ব্যয়বহুল . এছাড়া তেজস্ক্রিয় রশ্মি এর ব্যবহার এর জন্য যথেষ্ট সচেতন থাকার প্রয়োজন হয়.এছাড়া তেজস্ক্রিয়তার ব্যবহার করে ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ করার আগে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন.

ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার পদ্ধতি প্রয়োগের সচেতনতা

ধারালো যন্ত্রপাতিগুলো জীবাণুমুক্তকরণ করার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে. কিন্তু আমরা যদি এই ব্যপারগুলো প্রয়োগে যথেষ্ট সচেতন না থাকে অথবা দক্ষতার ঘাটতি থাকে তবে যন্ত্রপাতি গুলোর আকার আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে এবং ক্ষতিসাধন হতে পারে. যেহেতু চিকিৎসা ছাড়াও বিভিন্ন কাজে ধারালো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তাই যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে. এবং কোন পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্তকরণ করবো সেই পদ্ধতি সম্পর্কে আগে থেকেই ভালো ধারণা থাকতে হবে. আমরা যে দাঁড়ালো যন্ত্রপাতিগুলো জীবাণুমুক্তকরণ করবো সেই যন্ত্রপাতিগুলো ধরার ক্ষেত্রে অথবা তাদের জীবাণুমুক্তকরণ করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে যাতে ধারালো যন্ত্র দ্বারা আমাদের হাতের অথবা অন্য কোন কিছুর ক্ষতি সাধন না হয়. যেহেতু যন্ত্রপাতিগুলো যথেষ্ট ধারণা থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে এদের জীবাণুমুক্তকরণ করার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে এদের গুলো যেন নষ্ট না হয় এবং এর দ্বারা আমার ক্ষতি না হয়.

আজকে আর্টিকেল এর বিষয় ছিল ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ করার ভাল পদ্ধতি. যেহেতু আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের ধারালো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি এবং সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই জীবাণুমুক্ত থাকতে হয় তাই আমরা প্রয়োজন অনুভব করি জীবনে মুক্ত রাখার. কিন্তু যদি জীবাণুমুক্তকরণ করার ক্ষেত্রে আমরা স্পষ্ট ধারণা  না রাখি তবে তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে. তাই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে. আপনি যদি ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ করার পদ্ধতি এই আর্টিকেলটি পড়ে সামান্যতম উপকৃত হন তবে আজকে আমার এই দাঁড়ালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্তকরণ করার পদ্ধতি আর্টিকেলটি সার্থক হবে.


Md.Mahmud

আমার নাম মোঃ মাহমুদুল হাসান বাবু । আমি পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি। এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি । আমি বিজ্ঞান এবং টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি । আমি আমার কাজের ফাঁকে ফ্রিল্যান্সিং ব্লগে লেখালেখি করি। 01921822498

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads