ঈদের দিনের সুন্নত কাজ কয়টি

আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য দুইটি ঈদ নির্ধারণ করেছেন যা প্রতি বছর আমরা পালন করে থাকি। এই দুইটি দিন বছরের মাত্র দুইবার আসার কারণে আমরা সেই দিনগুলোতে কিভাবে আমল করব কোন কাজটা সুন্নত কোনটা আদায় করব এ সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি ঈদের সময় আসলে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে ঈদের দিনে সুন্নত কাজ কি তখন আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেই তাই আজকে আমরা জানানোর চেষ্টা করব কোরআন হাদিসের আলোকে ঈদের দিনের সুন্নাহ কাজ কয়টি।আপনি যদি ঈদের দিনের সুন্নত কাজ কয়টি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ কয়টি জানার পূর্বে

প্রথমে জেনে নেওয়া যাক ঈদ অর্থ কি? 

(১) ঈদ অর্থ: ঈদ অর্থ বারবার ফিরে আসা। এ দিনটি বারবার ফিরে আসে বলে এর নামকরণ হয়েছে ঈদ। 

মুসলমানদের ঈদ কয়টি।

ঈদ দুইটি, যথা:

(ক) ঈদুল ফিতর: একমাস সিয়ামের কষ্টের পর শাওয়াল মাসের পহেলা তারিখে আসে ঈদুল ফিতরের আনন্দ।

(খ) ঈদুল আদহা: কুরবানির ত্যাগ, হজের কষ্টের পর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আসে ঈদুল আদহার আনন্দ।

সুনানে আবু দাউদ : ১১৩৪

---حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا فَقَالَ مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ " . قَالُوا كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَبْدَلَكُمْ بِهِمَا خَيْرًا مِنْهُمَا يَوْمَ الأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ " ."

অনুবাদ:

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনাহ্তে এসে দেখেন মাদীনাহ্বাসীরা নির্দিষ্ট দু’টি দিনে খেলাধূলা ও আনন্দ করে থাকে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ এ দু’টি দিন কিসের? সকলেই বললো, জাহিলী যুগে আমরা এ দু’ দিন খেলাধূলা করতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, মহান আল্লাহ তোমাদের এ দু’ দিনের পরিবর্তে উত্তম দু’টি দিন দান করেছেন। তা হলো, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিত্বরের দিন।

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ কয়টি ১৪টি 

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ১

অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। (বায়হাকি সুনানুল কুবরা ৬১২৬)

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ২

মিসওয়াক করা। (তাবয়িনুল হাকায়েক-১/৫৩৮)

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ৩

 গোসল করা। সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৩১৫

---حَدَّثَنَا جُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِّسِ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ تَمِيمٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَغْتَسِلُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الأَضْحَى .

অনুবাদ:

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদহার দিন গোসল করতেন। [১৩১৫] তাহকীক আলবানী : দইফ জিদ্দান।

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ৪

শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা করা। সহীহ বুখারী : ৯৪৮

---حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ أَخَذَ عُمَرُ جُبَّةً مِنْ إِسْتَبْرَقٍ تُبَاعُ فِي السُّوقِ، فَأَخَذَهَا فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْتَعْ هَذِهِ تَجَمَّلْ بِهَا لِلْعِيدِ وَالْوُفُودِ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا هَذِهِ لِبَاسُ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ". فَلَبِثَ عُمَرُ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَلْبَثَ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِجُبَّةِ دِيبَاجٍ، فَأَقْبَلَ بِهَا عُمَرُ، فَأَتَى بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ قُلْتَ " إِنَّمَا هَذِهِ لِبَاسُ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ ". وَأَرْسَلْتَ إِلَىَّ بِهَذِهِ الْجُبَّةِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَبِيعُهَا أَوْ تُصِيبُ بِهَا حَاجَتَكَ "."

অনুবাদ:

‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাজারে বিক্রি হচ্ছিল এমন একটি রেশমী জুববা নিয়ে ‘উমার (রাযি.) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এটি ক্রয় করে নিন। ‘ঈদের সময় এবং প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এটি দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করবেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ এটি তো তার পোষাক, যার (আখিরাতে) কল্যাণের কোন অংশ নেই। এ ঘটনার পর ‘উমার (রাযি.) আল্লাহর যত দিন ইচ্ছা ততদিন অতিবাহিত করলেন। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট একটি রেশমী জুববা পাঠালেন, ‘উমার (রাযি.) তা গ্রহণ করেন এবং সেটি নিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো বলেছিলেন, এটা তার পোষাক যার (আখিরাতে) কল্যাণের কোন অংশ নেই। অথচ আপনি এ জুববা আমার নিকট পাঠিয়েছেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেনঃ তুমি এটি বিক্রি করে দাও এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ দিয়ে তোমার প্রয়োজন পূরণ কর। (৮৮৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯০১)

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ৫

সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা। (বুখারীর ৯৪৮)

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ৬

সুগন্ধি ব্যবহার করা। (মুসতাদরাক হাকেম ৭৫৬০)

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ৭

ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার আগে মিষ্টি জাতীয় যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া। তবে ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত আহার করা উত্তম।

সহীহ বুখারী : ৯৫৩

---حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ. وَقَالَ مُرَجَّى بْنُ رَجَاءٍ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنِي أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَيَأْكُلُهُنَّ وِتْرًا.

অনুবাদ:

৯৫৩. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদুল ফিত্রের দিন কিছু খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। অপর এক বর্ণনায় আনাস (রাযি.) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি তা বিজোড় সংখ্যায় খেতেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৮৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯০৫)

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ৮

সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। সুনানে আবু দাউদ : ১১৫৭

---حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي وَحْشِيَّةَ، عَنْ أَبِي عُمَيْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عُمُومَةٍ، لَهُ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَكْبًا جَاءُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَشْهَدُونَ أَنَّهُمْ رَأَوُا الْهِلاَلَ بِالأَمْسِ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يُفْطِرُوا وَإِذَا أَصْبَحُوا أَنْ يَغْدُوا إِلَى مُصَلاَّهُمْ .

অনুবাদ:

আবূ ‘উমাইর ইবনু আনাস (রহঃ) হতে তার চাচা -যিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহাবী ছিলেন- থেকে বর্ণিতঃ একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে একদল আরোহী এসে সাক্ষ্য দিলো যে, গতকাল তারা (ঈদের) চাঁদ দেখেছে। তিনি লোকদেরকে সওম ভঙ্গ করার এবং পরদিন সকালে ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন।

আরো পড়ুনঃ জিকিরের ফজিলত 

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ৯

ঈদুল ফিতরে ঈদগাতে যাওয়ার পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা। (সুনান আদ দারুকুতনি ১৬৯৪)

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ১০

ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা। সহীহ বুখারী : ৯৫৬

---حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي زَيْدٌ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَرْحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَالأَضْحَى إِلَى الْمُصَلَّى، فَأَوَّلُ شَىْءٍ يَبْدَأُ بِهِ الصَّلاَةُ ثُمَّ يَنْصَرِفُ، فَيَقُومُ مُقَابِلَ النَّاسِ، وَالنَّاسُ جُلُوسٌ عَلَى صُفُوفِهِمْ، فَيَعِظُهُمْ وَيُوصِيهِمْ وَيَأْمُرُهُمْ، فَإِنْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَقْطَعَ بَعْثًا قَطَعَهُ، أَوْ يَأْمُرَ بِشَىْءٍ أَمَرَ بِهِ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ. قَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَلَمْ يَزَلِ النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ حَتَّى خَرَجْتُ مَعَ مَرْوَانَ وَهْوَ أَمِيرُ الْمَدِينَةِ فِي أَضْحًى أَوْ فِطْرٍ، فَلَمَّا أَتَيْنَا الْمُصَلَّى إِذَا مِنْبَرٌ بَنَاهُ كَثِيرُ بْنُ الصَّلْتِ، فَإِذَا مَرْوَانُ يُرِيدُ أَنْ يَرْتَقِيَهُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ، فَجَبَذْتُ بِثَوْبِهِ فَجَبَذَنِي فَارْتَفَعَ، فَخَطَبَ قَبْلَ الصَّلاَةِ، فَقُلْتُ لَهُ غَيَّرْتُمْ وَاللَّهِ. فَقَالَ أَبَا سَعِيدٍ، قَدْ ذَهَبَ مَا تَعْلَمُ. فَقُلْتُ مَا أَعْلَمُ وَاللَّهِ خَيْرٌ مِمَّا لاَ أَعْلَمُ. فَقَالَ إِنَّ النَّاسَ لَمْ يَكُونُوا يَجْلِسُونَ لَنَا بَعْدَ الصَّلاَةِ فَجَعَلْتُهَا قَبْلَ الصَّلاَةِ.

অনুবাদ:

৯৫৬. আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদুল ফিত্র ও ‘ঈদুল আযহার দিন ‘ঈদমাঠে যেতেন এবং সেখানে তিনি প্রথম যে কাজ শুরু করতেন তা হল সালাত। আর সালাত শেষ করে তিনি লোকদের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন এবং তাঁরা তাঁদের কাতারে বসে থাকতেন। তিনি তাঁদের নাসীহাত করতেন, উপদেশ দিতেন এবং নির্দেশ দান করতেন। যদি তিনি কোন সেনাদল পাঠাবার ইচ্ছা করতেন, তবে তাদের আলাদা করে নিতেন। অথবা যদি কোন বিষয়ে নির্দেশ জারী করার ইচ্ছা করতেন তবে তা জারি করতেন। অতঃপর তিনি ফিরে যেতেন। আবূ সা‘ঈদ (রাযি.) বলেন, লোকেরা বরাবর এ নিয়মই অনুসরণ করে আসছিল। অবশেষে যখন মারওয়ান মদিনার ‘আমীর হলেন, তখন ‘ঈদুল আযহা বা ‘ঈদুল ফিত্রের উদ্দেশে আমি তাঁর সঙ্গে বের হলাম। আমরা যখন ‘ঈদমাঠে পৌঁছলাম তখন সেখানে একটি মিম্বর দেখতে পেলাম, সেটি কাসীর ইবনু সাল্ত (রাযি.) তৈরি করেছিলেন। মারওয়ান সালাত আদায়ের পূর্বেই এর উপর আরোহণ করতে উদ্যত হলেন। আমি তাঁর কাপড় টেনে ধরলাম। কিন্তু তিনি কাপড় ছাড়িয়ে খুৎবাহ দিলেন। আমি তাকে বললাম, আল্লাহর কসম! তোমরা (রাসূলের সুন্নাত) পরিবর্তন করে ফেলেছ। সে বলল, হে আবূ সা‘ঈদ! তোমরা যা জানতে, তা গত হয়ে গেছে। আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি যা জানি, তা তার চেয়ে ভাল, যা আমি জানি না। সে তখন বলল, লোকজন সালাতের পর আমাদের জন্য বসে থাকে না, তাই ওটা সালাতের আগেই করেছি। (৩০৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯০৮)

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ১১

যে রাস্তায় ঈদগাতে যাবে, সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরা। সহীহ বুখারী : ৯৮৬

---حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، يَحْيَى بْنُ وَاضِحٍ عَنْ فُلَيْحِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ يَوْمُ عِيدٍ خَالَفَ الطَّرِيقَ. تَابَعَهُ يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ فُلَيْحٍ. وَحَدِيثُ جَابِرٍ أَصَحُّ.

অনুবাদ:

৯৮৬. জাবির (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদের দিন (বাড়ী ফেরার পথে) ভিন্ন পথে আসতেন। ইউনুস ইবনু মুহাম্মাদ (রহ.) আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে হাদীস বর্ণনায় আবূ তুমাইলা ইয়াহ্ইয়া (রহ.) এর অনুসরণ করেছেন। তবে জাবির (রাযি.) হতে হাদীসটি অধিকতর বিশুদ্ধ। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯৩৪)

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ১২

পায়ে হেটে যাওয়া। (সুনানে আবু দাউদ ১১৪৩)

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ১৩

ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার সময় আন্তে আসত্ এই তাকবীর পড়তে থাকাঃ

الله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله، والله أكبر الله أكبر

ولله الحمد (সুরা বাকারা১৮৫)

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ ১৪

তবে ঈদুল আযহায় যাবার সময় পথে এ তাকবীর আওয়াজ করে পড়তে থাকবে।

প্রাগুক্ত 

ঈদের দিনের সুন্নত কাজ কয়টি শেষ কথা

এতক্ষণ আমরা কুরআন ও হাদিসের আলোকে ঈদের দিনের সুন্নত কাজ কয়টি তা জানতে পারলাম আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এ বিষয়গুলো বুঝে ঈদের সময় এই নিয়মগুলো পালন করার মত তৌফিক দান করুন আমীন।


হাফেজ মাওলানা মো: শফিকুল ইসলাম

আমি একজন সাধারন মুসলমান। বর্তমানে আমি হাফেজ ও দাওরা কমপ্লিট করার পর বিজনেস এর কাজে নিয়োজিত আছি। পাশাপাশি সরল মানুষ ব্লগে মাঝে মাঝে লেখালেখি করার চেষ্টা চালাচ্ছি। অবসর সময়ে আমার বই পড়তে ভালোলাগে। ভ্রমন করতে বা ঘুরে বেড়াতে আমার বেশ ভালো লাগে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads