বাচ্চাকে সবসময় না বলেন এর প্রভাব জানেন

বাচ্চাকে সবসময় না বলেন  এর প্রভাব জানেন

   বাচ্চাকে সবসময় না বলেন এর প্রভাব জানেন

আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করবো বাচ্চাকে সবসময়ের না বলার কারণ সমূহ। আপনি আপনার বাচ্চাদের যে কাজগুলো তারা করার চেষ্টা করে সে কাজগুলো তো আমরা সব সময় বাধা হয়ে দাড়িয়ে থাকি। সবথেকে বড় ধরনের বাধা হচ্ছে তাদেরকে আমরা যেকোনো কাজ এতে সব সময় না না বলে থাকি এটা করা যাবে না সেটা করা যাবে না এটা ভালো না সেটা ভালো না এই ধরনের মানসিক চাপ তাদের ওপরে প্রভাব ফেলে দেয় যার ফলে বাচ্চার নেগেটিভ চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে যায় এবং তারা অভিভাবকের সাথে অনেক রাগান্বিত হয়ে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকে ।

এজন্য আপনাদের সকলকে আমি বলব বাচ্চাদের যে কোনো চাওয়া-পাওয়া কে কখনো নানা শব্দ উচ্চারণ করবেন না। সব সময় চেষ্টা করবেন বাচ্চাদের বোঝানোর জন্য যে বিষয়টা নিয়ে বাচ্চারা বায়না ধরে থাকে সেই বিষয়টা এভাবে সেভাবে যেভাবেই হোক বুঝিয়ে বলবেন যার ফলে আপনার বাচ্চা বোঝার চেষ্টা করবে এবং সেই কাজগুলো এসে মানার চেষ্টা করবে। আপনি যদি বলেন যে না এটা করো না সেটা করো না এতে করে বাচ্চার মন মানুষিকতা এবং মন খারাপ হতে পারে।

অনেক প্রাপ্তবয়স্ক লোকের আর না শব্দটা শুনতে পারে না সে ক্ষেত্রে বাচ্চাদের এইনা সভ্যতা কিভাবে তাদের সহ্য হয় সেদিকে খেয়াল রেখে অবশ্যই আপনাকে না শব্দ থেকে দূরে থাকতে হবে যার ফলে আপনার বাচ্চা থাকবে  সুস্থ । বাচ্চা রোহিত একটি বায়না ধরে থাকে যেমন আমি চকলেট খাব কিন্তু তাঁরা জানেন না এই চকলেট খাওয়ার ফলে তার কি ক্ষতি হতে পারে এর জন্য অভিভাবকরাও ভালো জানে এজন্য তারা বাচ্চাদেরকে সবসময় বললেন না না এটা খাওয়া যাবে না কিন্তু এই চকলেট খাওয়ার ব্যাপারটা আপনি যদি তাকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে বুঝিয়ে বলেন তাহলে সে মানার চেষ্টা করবে। 

বলুন চকলেট খেলে দাঁতে পোকা হয় চকলেট খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় চকলেট খাওয়া ঠিক না চকলেট খেলে খাবারে রুচি নষ্ট হয় এসব বলতে হবে এসব বলার ফলে আপনার সন্তান হয়তো এই চকলেটটা খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে যদি আপনি বলেন না এটা খাওয়া যাবে না না এটা খাওয়া যাবে না সেক্ষেত্রে আপনার বাচ্চা অনেক রাগান্বিত হবে এবং আপনার সাথে মান অভিমান করে বসবে যার ফলে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। এসব কাজ করার পর একদিন এই বাচ্চাটি অনেক রাগী হবে এবং আপনার সাথে পাল্লা দিয়ে চলার চেষ্টা করবে তাই সব সময় যে না বলতে হবে এমন কোন কথা নেই তাকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন ।

আপনি যদি প্রতিটা কাজের মধ্যে না উচ্চারণ না করে এর পরিবর্তে এর কারণগুলো উল্লেখ করে বাচ্চাদের সাথে বোঝানোর চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে বাচ্চারা সহজে মেনে নিতে চেষ্টা করবে। এবং মেনে নেওয়ার জন্য তারা বাধ্য পরবর্তীতে নিজ থেকেই এই ব্যাপার গুলো এড়িয়ে চলবে বাচ্চারা পজিটিভ মানসিক নিয়ে গড়ে উঠবে। তাই অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে সব কথাতে না না বলে বাচ্চাদেরকে বিরক্ত করবেন না বরঞ্চ তাদেরকে সবসময় বোঝানোর চেষ্টা করবেন এবং প্রত্যেকটি কথা ভেঙে তারপর বোঝানোর চেষ্টা করবেন এতে তারা খুব অল্প সময়ে বুঝতে পারবে।

 আজকের আলোচনায় এ পর্যন্তই সকলে ভাল থাকবেন। আজকের আলোচনা পড়েছিল বাচ্চাকে সবসময় না বলেন এর প্রভাব জানেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আমাদের এ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে সকলে অসংখ্য ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আবার কোনো নতুন পোষ্ট আপনাদের সঙ্গে হাজির হব।


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads