মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়। জেনে রাখুন উপকারে আসবে

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়

আমরা সামাজিক জীব। জীবনে চলার পথে আমাদের অনেক সময় নানারকম ঘাত-প্রতিঘাত, প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবিলা করতে হয়। প্রতিটি মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিদিন অনেক পরিস্থিতির মকাবেলা করতে হয়।আর এগুলোর জন্য শারিরীক অসুস্থতার পাশাপাশি আমরা অনেক সময় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ বা অসুস্থ হয়ে পড়ি।

আমরা সকলেই নিজেদের শারিরীক স্বাস্থ্যের ব্যাপারের সচেতন হলেও অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে তেমন একটা খেয়াল রাখি না। কিন্তু উভয় ধরনের সুস্থতা আমাদের জন্য অপরিহার্য।

শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলে সেটা বোঝা যায়,কিন্তু মানসিক রোগ হলে সেটা অনেকেই বুঝতে পারে না।তাই তার চিকিৎসা ও করে না।কিন্তু সেটা ধীরে ধীরে আরও ব্যাপক হয়ে উঠে। যা পরিবার ও সমাজের জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

 আপনি যদি মানসিকভাবে কিছুটা অসস্তি বোধ করেন এবং মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন, এখানে বিস্তারত আলোচনা করা হয়েছে।এখানে আপনি মানসিক রোগ, চিকিৎসা, এবং এর সাথে জড়িত সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।এবং উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ। 

মানসিক রোগী বললেই সাধারণত রাস্তার পাশের উশকো-খুশকো চুলের ছেঁড়া কাপড় পরা কিছু মানুষের চেহারা চিন্তায় আসে। অথবা চোখের সামনে মানসিক হাসপাতালের চিল্লাচিল্লি করা বা হাসাহাসি করা লোকদের চেহারা ভেসে উঠে। শুধুমাত্র এরাই কি মানসিক রোগী? না। প্রকৃত বাস্তবতা একটু ভিন্ন কথা বলে। এ কারনে প্রকৃত অর্থে কারা মানসিক রোগী তা জানা উচিত।

মানসিক রোগ কি?

মানসিক রোগ হলো মস্তিষ্কের এক ধরনের রোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক রোগ হচ্ছে একজন ব্যক্তির সুস্থভাবে চিন্তা করতে, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সঠিকভাবে আচরণ করতে না পারা। মানসিক রোগ দুই ধরনের হতে পারে:

১. মৃদু ধরনের মানসিক রোগ
২. তীব্র ধরনের মানসিক রোগ

১. মৃদু ধরনের মানসিক রোগ: 

এক্ষেত্রে জীবনের স্বাভাবিক অনুভূতিগুলো (দুঃখবোধ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি) প্রকট আকার ধারণ করে৷ এ ক্ষেত্রে যেসব লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হচ্ছে: অহেতুক মানসিক অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা-ভয়ভীতি, মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, বুক ধরফর করা, একই চিন্তা বা কাজ বারবার করা (শুচিবাই), মানসিক অবসাদ, বিষন্নতা, অশান্তি, বিরক্তি, অসহায়বোধ, কাজে মন না বসা, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, অনিদ্রা, ক্ষুধামন্দা, আত্মহত্যার করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি৷

২. তীব্র ধরনের মানসিক রোগ:

 এক্ষেত্রে আচার আচরণ কথাবার্তা স্পষ্টভাবে অস্বাভাবিক হয় ফলে আশেপাশের মানুষরা এটা বুঝতে পারে। এসময় যেসব লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হচ্ছে: অহেতুক মারামারি, ভাঙচুর করা, গভীর রাতে বাড়ির বাইরে চলে যাওয়া, আবোল-তাবোল বলা, সন্দেহ প্রবণতা, একা একা হাসা ও কথা বলা, নিজেকে বড় মনে করা, বেশি বেশি খরচ করা, স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি লোপ পাওয়া, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো না করা।

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় জানার আগে আমাদের মনোবিজ্ঞানী ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সম্পর্কে জেনে নেয়া প্রয়োজন। আসুন মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

মনোবিজ্ঞানী ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ?

মনোবিজ্ঞানীরা মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে গবেষণা ও পড়াশোনা করে। যার ফলে তারা মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় ও এ সম্পর্কে ভালো জানাশোনা তথা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। যার ফলে পরবর্তীতে তাদের ডাক্তার হওয়াটা অনেক সহজ হয়ে উঠে।আর মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা তাদের চিকিৎসা জ্ঞান রোগীদের চিকিৎসার জন্যই ব্যবহার করেন। যেখানে মনোবিজ্ঞানীরা প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিক মানুষের আচরণ মোকাবেলার জন্য সাইকোথেরাপি কৌশল ব্যবহার করেন।তাই ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট হলেন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে এমফিল এর পেশাদার। তারা ক্লায়েন্টদের তত্ত্বাবধান এবং প্রশিক্ষণের অধীনে দেখার নিবিড় অভিজ্ঞতা পেয়েছেন । যারা মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর আছে তারা “ডক্টর” উপাধি বহন করতে পারে না যদি না তাদের ডক্টরেট করার যোগ্যতা থাকে।

মনোবিজ্ঞানী ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ তারা কি করে?

একজন মনোবিজ্ঞানী আক্রান্ত রোগীদের মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় ও সাইকোথেরাপি প্রদান করে। ক্লিনিকাল মনোবিজ্ঞানীরা মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা পরিচালনা, গবেষণা পরিচালনা এবং প্রশাসকদের সাথে কাজ করে থাকেন। তাছাড়া চিকিৎসা ও প্রতিরোধ কর্মসূচী বিকাশ বা মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করতে পারে। যদি আপনি বা আপনার কেউ প্রচুর মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন এবং উদ্বেগ এবং হতাশার লক্ষণ দেখে থাকেন। তাহলে একজন মনোবিজ্ঞানীর সাথে পরামর্শ করা ভাল। মনোবিজ্ঞানীরা তাদের অস্থির মনকে সহজ করার জন্য মানসিক থেরাপি সেশনের মাধ্যমে তাদের উপশম করার অবস্থায় নিয়ে যাবেন। একজন ব্যক্তি মানসিক রোগের গুরুতর অবস্থায় চলে গেছে সেক্ষেত্রে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদেরই পরামর্শ সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন হয়।

আপনি কিভাবে বুঝবেন যে মানসিকভাবে অসুস্থ কি না?

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় জানার আগে আমাদের পরিক্ষা করা উচিৎ বা জেনে নেয়া উচিৎ আসলেই আমরা এই রোগে আক্রান্ত কি না।খুব ছোট একটি পরিক্ষার মাধ্যমে আপনি তা প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করতে পারেন। মনে করুন কোনও একটা বিষয় নিয়ে আপনি কাউকে কিছু বলার ব্যাপার। আপনি সে বিষয়ে বিস্তর জানেন এবং সে বিষয়ে আপনার বিস্তারিত বলা দরকারও আছে। কিন্তু আপনার তা বলতে মন চাইছে না বা ইচ্ছে করছে না। তখনই বুঝতে হবে আপনার মাঝে কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আপনাকে দ্রুত জানতে হবে। আপনি এ প্র্যাকটিসটার জন্য একটি দিন এবং একটি সময় বেছে নিন।যখন আপনি নিজেকে ভালো বা ঠিক বোধ করছেন। আর আপনি যদি দুর্বল বোধ করেন তবে তা আপাতত করার দরকার নেই।

মানসিক অসুস্থতা দেখা দিলে যা হয় । মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়

এ সময় আপানার সামাজিক সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিবেন বা প্রত্যাহার করবেন। কারন আপনার কোনও কিছুই ভালো লাগবে না। আপনার খাওয়া দাওয়া বা ঘুমে অনেক পরিবর্তন আসবে।তাই সবার আগে আপনাকে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় ও জানে নিতে হবে। অনেক সময় কোনকিছুতে বেশী প্রতিক্রিয়া দেখানোও একটি মানসিক রোগ হিসেবে বিবেচিত হয়। কারন অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া বাইপোলার ডিসঅর্ডারের একটি লক্ষণ। কঠোর শব্দ শুনলে যে কারও জন্যই বেদনাদায়ক হয়। কিন্তু আপনি চরম রাগ বা অন্ধকার বিষণ্নতার সাথে ভালভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন। ফলে মানসিক রোগ মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করতে পারে। ভাগ্যক্রমে, থেরাপি এবং ওষুধের সংমিশ্রণ উদ্বেগ এবং হতাশার চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থতা আনতে পারে।

আপনি সবসময় হীনমন্যতায় ভুগবেন এবং নিজেকে সবসময় দু: খিত বা নিচু মনে হবে।। মাথায় বিভিন্ন বিভ্রান্ত চিন্তাভাবনা আসবে। তাছাড়া জরুরি বা কোনও বিষয়ে মনোনিবেশ করতে ইচ্ছে করবে না। চাইলেও সে ক্ষমতা থাকবে না। সবসময় অতিরিক্ত ভয় বা উদ্বেগ দেখা দিবে কোনও কারন ছাড়াই। নিজেকে বা নিজের মধ্যে চরম অপরাধবোধের অনুভূতি হবে তাও কোন কারন ছাড়াই। আপনার মেজাজ সবসময়য় এই খুব খারাপ আবার এই ভালো অর্থাৎ মেজাজের চরম পরিবর্তন দেখা দিবে। এটা অনেকটা হবে অবচেতনভাবে হয়তো আপনি নিজেই জানেন না যে আপনার মানিসিক সমস্যা রয়েছে। আবার কেউ আপনাকে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় বা এ সম্পর্কে বললে তাতেও আপনার খারাপ লাগবে।

একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মেখলা সরকার বলেন, যখন কোনো ব্যক্তির আচরনের বড় ধরনের ও লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যায়, বিশেষ করে আবেগ প্রকাশে পরিবর্তন আসে এবং সেটা দৈনন্দিন কর্মকান্ডে প্রভাব ফেলে তখন বুঝতে হবে সেই ব্যক্তি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ।

বিশেষজ্ঞরা মানসিক রোগের কিছু লক্ষণ উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলোঃ

১.হঠাৎ করে কারণ ছাড়াই উত্তেজিত হয়ে ওঠা অন্যদের সঙ্গ এড়িয়ে চলা
২.সবার সাথে ঝগড়া বা বাগবিতন্ডায় জড়ানো
৩.অনেকদিন যাবত নিজেকে সবার থেকে গুটিয়ে রাখা
৪.টানা ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে বিষন্নতায় ভোগা
৫.বিনাকারণে অন্যদেরকে সন্দেহ করা
৬.গোসল করা, দাত ব্রাশ করার মতো নিয়মিত কাজে গাফিলতি করা
৭.নিজের প্রতি উদাসীন থাকা এবং শারিরীক যত্ন না নেওয়া
৮.পূর্বে ভালো লাগতো এমন কর্মকান্ডে আগ্রহ কমে যাওয়া
৯.খাবারে অরুচি তৈরি হওয়া
১০.অতিরিক্ত শুচিবায়ুগ্রস্থ হয়ে ওঠা
১১.সামাজিক সম্পর্ক থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা
১২.পেশাগত কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হওয়া

সময়মতো না ঘুমানো এবং ঘুমের পরিমাণ কমে যাওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়া

উপরের অধিকাং লক্ষণগুলো যদি আপনার মাঝে অনুভব করেন তাহলে বুঝতে নিতে পারেন যে, আপনার মানসিক রোগ রয়েছে। এমতা অবস্থায় বিচলিত হওয়ার কোনো দরকার নেই।

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় কি?

যদি চিকিৎসা না করা হয় তাহলে উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। মানসিক ভাঙ্গন দেখা দিবে। নার্ভাস ব্রেকডাউন কখনও কখনও মানুষ একটি চাপের কারনে হয়ে থাকে। যেখানে তারা সাময়িকভাবে দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে অক্ষম। এটি সাধারণত ঘটতে পারে যখন জীবনের চাহিদাগুলি শারীরিক এবং মানসিকভাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। মনকে সবসময় বিষণ্ণতায় দেখা দেয়। বিষণ্নতার কারণ হিসেবে গবেষণায় দেখা গেছে। মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক পদার্থ খুব বেশি বা খুব কম থাকার কারণে বিষণ্নতা হয় না। বরং, হতাশার অনেক সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মস্তিষ্কের ত্রুটিপূর্ণ মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, জেনেটিক দুর্বলতা এবং চাপপূর্ণ জীবনের ঘটনা। সোজা কথায়, এটি তখনই হয় যখন আমরা যা চাই তা না হয়। দৈনন্দিন চাপের ক্ষেত্রে আমরা কীভাবে চিন্তা করি, অনুভব করি বা কাজ করি। তা পরিচালনা করা কঠিন মনে করা দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণ।

কোন বয়সে মানসিক রোগ শুরু হয় । মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়

গবেষণায় দেখা গেছে যে পঞ্চাশ শতাংশ মানসিক রোগ ১৪ বছর বয়স থেকে শুরু হয়। তিন-চতুর্থাংশ ২৪ বছর বয়সে শুরু হয়। মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়া স্বাভাবিক কিন্তু তা সাধারন কোনও বিষয়ও নয়। আবার অন্যভাবে বলতে গেলে মানসিক অসুস্থতা স্পষ্টভাবে অস্বাভাবিক। এর মধ্যে চিন্তা, অনুভূতি, উপলব্ধি এবং আচরণ জড়িত যা বেশিরভাগ মানুষের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার থেকে আলাদা। এটি মারাত্মক কষ্টের কারণ হতে পারে যা সাধারণ নয়। মানসিক অসুস্থতা বার্ধক্যের একটি স্বাভাবিক অংশ নয়। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মতে “প্রকৃতপক্ষে, মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাধিগুলি বয়স্কদের তুলনায় অল্প বয়স্কদের বেশি প্রভাবিত করে”।

কিছু মানুষের একটা প্রশ্ন থাকে যে মানসিক স্বাস্থ্য কতদিন স্থায়ী হয় । কিছু লোকের মানসিক রোগের একটি মাত্র অভিজ্ঞতা হতে পারে। যা শুধুমাত্র কয়েক দিন, সপ্তাহ বা মাস স্থায়ী হতে পারে। কিন্তু অন্যদের দীর্ঘমেয়াদী অবস্থা থাকতে পারে। যা সহজে যায় না এবং প্রায়ই ওষুধ খেতে হয়। তাদের ক্ষেত্রে মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। কারন সময় যত অতিক্রম হবে ততই সমস্যা বাড়তে থাকবে। অনেকে মনে করেন এবং বিশ্বাস করেন বয়স বাড়ার সাথে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হলে মানসিক রোগ কমে যায়। এটাও ভুল ও একধরনের অপবেক্ষা।

শিশুদের মানসিক রোগ কীভাবে বোঝা যাবে?

বাংলাদেশের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ঢাকা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে শিশু কিশোরদের আঠার শতাংশের বেশি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত।

অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার বলছেন, মানসিক রোগ হলে তার অনেকগুলো শারীরিক প্রভাবও দেখা যায়। যেমন মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, শ্বাসে সমস্যা, অনীহা বা দুর্বলতা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।

''এই রকম রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে যদি দেখা যায় যে, তার আসলে শারীরিক কোন সমস্যা নেই, তারপরেও তিনি এরকম সমস্যায় ভুগছেন। তখন এটা মানসিক কারণে হতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করি।''

''শিশুদের ক্ষেত্রেও তাই। অনেক সময় দেখা যায়, তার আচরণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সে খুব রেগে যাচ্ছে, ভাঙচুর করছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে পারছে না। পড়ালেখায় আগ্রহ নেই, ঘুম হচ্ছে না, খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করছে না। এসব লক্ষণ দেখা গেলে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।'' তিনি বলছেন।

মানসিক রোগের ভয়ংকর রুপ(সাইকো প্যাথি)

মানসিক রোগ বোঝার কোনো উপায় নেই। যে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত। কিন্তু এর পরিণাম যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা হয় তো অনেকেরই জানা নেই।এই ধরনের মানসিক রোগীরা ছোট বেলায় পাওয়া কোনো কষ্ট বা ভয়ংকর অবিজ্ঞতা থেকে হয়ে থাকে।তারা এতে এতটা কষ্ট পেয়ে থাকে যে সেই ঘটনা ভুলতে বা সামইক আনন্দ পেতে অন্যকে খুন ও করে ফেলতে পারে।তারা এই খুন বা অন্যকে কষ্ট দিয়ে পৈচাশিক আনন্দ লাভ করে।তাই এই ধরনের মানসিক রোগীদের সাইকো বলা হয়।তাই বলা যায় যে মানসিক রোগ যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে সে সম্পর্কে ও আমাদের সচেতন হয়া উচিৎ।

মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায়

প্রাকৃতিকভাবেই সকল মানুষ ও প্রাণীর মাঝে কম-বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এটা প্রভাব ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কারো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং কারো ক্ষেত্রে কিছুটা কম, তবে সবার মাঝেই এটি আছে।

নানারকম শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য এক ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলে। এটি মানুষের জৈবিক গঠন, মানসিক গঠন ও সামগ্রিক মনোদৈহিক প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে।

অন্যান্য রোগের মতো মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বেশ কতগুলো কার্যকরী উপায় আছে। সেগুলো হলোঃ

১. পরিস্থিতি এড়িয়ে না যাওয়াঃ

 আমাদের জীবনে কখনো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর, কষ্টদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হলে আমরা সেটাকে এড়িয়ে যেতে চাই এবং সেখান থেকে মুক্তি পেতে চাই। কিন্তু বেশিরভাগ সময় এই ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য নেতিবাচক প্রভাব হয়ে দাঁড়ায়।

এধরনের পরিস্থি এড়িয়ে না গিয়ে বরং সেটাকে মোকাবিলা করে সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আগামী দিনগুলো অতিবাহিত করা উচিৎ। এতে করে আমরা নিজেদের মাঝে একটা আত্মবিশ্বাস ও আত্মতৃপ্তি পাবো।

২. অতীত ও ভবিষ্যত নিয়ে না ভেবে বর্তমানে মনোযোগ দেওয়াঃ

 আমরা, মানুষেরা স্বভাবতই অতীত ও ভবিষ্যত নিয়ে বেশি চিন্তা করতে থাকি। অতীতের নানা রকম পাওয়া, না-পাওয়ার হিসাব আমাদেরকে আফসোস করায়। এতে নানারকম দুশ্চিন্তা তৈরি হয়।

আবার ভবিষ্যতের নানাবিধ পরিকল্পনা আমাদেরকে বিচলিত করে তোলে। বর্তমান কাজে মননিবেশ করতে পারি না। এতে করে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি।

৩. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবঃ 

মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুবই দরকারী। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থে বিরূপ প্রভাব পড়ে এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই শরীর ও মন সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে মানসিক ক্লান্তি ও বিষাদও দূর হবে।

৪. মানুষকে সঙ্গ দেওয়াঃ 

একাকিত্ব মানুষকে মানসিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়। মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করুন সবসময় ভালো মানুষদের সাথে থাকতে। সকলের সাথে হাসিখুশি আচরণ করলে এটা আপনাকে মানসিক তৃপ্তি দিবে এবং আপনি বিচলিত হবেন না বরং প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

৫. সৃজনশীল ও কর্মঠ হয়ে ওঠাঃ

 সৃজনশীলতা মানুষকে নতুন কিছু সৃষ্টিতে সাহায্য করে। আর মানুষ নিজে কিছু সৃষ্টি করতে পারলে তার আনন্দিত হয় এবং তৃপ্তি দেয়। এতে করে নিজেকে সবসময় ব্যস্ত রাখা সম্ভব এবং অন্যান্য দুশ্চিন্তা থেকে দূরে রাখা সম্ভব।

৬.নিজের অক্ষমতা স্বীকার করুন

এই সময় মনের মধ্যে বিপর্যয়মূলক বিভিন্ন চিন্তা আসতে পারে। যেমন: প্রিয় মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে কি না, চাকরি চলে যাবে কি না, পরিবার ও আত্মীয়স্বজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে কি না। বিপর্যয়মূলক চিন্তা এলে সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে এটাও চিন্তা করতে হবে যে আমাদের জীবনের সবকিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। সুতরাং এই অক্ষমতাটুকু অকপটে স্বীকার করে বিপর্যয়মূলক চিন্তাগুলোকে বাধা না দিয়ে বরং পরিবর্তনের স্বাভাবিক ইঙ্গিত হিসেবে সম্মান করার চেষ্টা করুন। এতে প্রিয় ও অপ্রিয় সবকিছুকে সাদরে গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়বে। একসময় দেখবেন বিপর্যয়মূলক চিন্তাগুলো আপনার মনের ভেতর বারবার ঘুরপাক খাওয়া নিজ থেকেই বন্ধ করে দেবে।

মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে কী করতে হবে?

পৃথিবীজুড়ে মানসিক রোগের দুই ধরণের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। তার একটি হচ্ছে কাউন্সেলিং বা পরামর্শ সেবা। আরেকটি ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম বলছেন, ''কেউ মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে মনোরোগবিদদের পরামর্শ নিতে পারেন। অনেক সময় কাউন্সেলিং থেরাপির মাধ্যমে সহজেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।''

''কিন্তু সেটা না হলে অবশ্যই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সহায়তা নিতে হবে। তখন তারা ওষুধের মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা করে থাকেন। প্রয়োজন ভেদে হাসপাতালে ভর্তি করেও চিকিৎসার দরকার হতে পারে।'' তিনি বলছেন।

তবে বাংলাদেশের সর্বত্র এখনো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সেবা পাওয়া যায় না। মূলত এই সেবাটি এখনো প্রধান শহরকেন্দ্রিক।

তবে মাহফুজা খানম পরামর্শ দিচ্ছেন, এখন অনেক বিশেষজ্ঞ অনলাইনে রোগী দেখছেন। এসব ক্ষেত্রে অনলাইনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।

দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ

মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে এই সাইকিয়াট্রিস্ট বলেন, ‘এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে চিকিৎসার আওতায় আসতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধিগুলো সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভ্রান্ত বিশ্বাস রয়েছে। অনেকে মনে করেন এ রোগ সারা জীবনের জন্য হয় অথচ সঠিকভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করলে কিছু রোগ ছাড়া অধিকাংশই দুই বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। পরিবারের কারও যদি সিজোফ্রেনিয়া বা গুরুতর বাইপোলার রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হয়ে থাকতে হবে। কারো যদি ঘুমের সমস্যা হয়, অতিরিক্ত কথা বলে অথবা ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন আসে তাহলে শিগগিরই চিকিৎসা নিতে হবে। এক্ষেত্রে তারা খুব সহজে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে।’সামাজিক কুসংস্কারের বিষয়ে ডা. ফাতিমা বলেন, ‘২০১৮-১৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য সমীক্ষায় দেখা গেছে- বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৬ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে মানসিক রোগে ভুগছেন। কিন্তু আক্রান্তদের অধিকাংশ চিকিৎসকের কাছে আসে না। দুই থেকে তিনভাগ লোক চিকিৎসকের কাছে আসলেও ভ্রান্তি, ভুল ধারণা বা এই রোগ সম্পর্কে না জানার কারণে চিকিৎসা না নিয়ে চলে যান। অর্থাৎ কুসংস্কারের ফাঁদে পা দেন তারা।

তারা মনে করেন, মানসিক রোগীরা কোনোদিন ভালো হয়না। এটা হয়তো জীনের আছর কিংবা কোনো পাপের বা খারাপ কাজের ফল। এ কারণে অনেক রোগী কবিরাজের কাছে চলে যান। পরবর্তীতে রোগ অনেক জটিল হয়ে যায়। একটা রোগ প্রথম দুই বছরের মধ্যে শনাক্ত হলে ৭০ শতাংশ ভালো হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘কবিরাজি চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেক সময় নারী ও প্রতিবন্ধী শিশুরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। তাদেরকে বিভিন্ন কবিরাজি চিকিৎসার মাধ্যমে শোষণ করা হয়। এসব ঝাঁড়-ফুকের মাধ্যমে ভুক্তভোগী রোগীদের পরিবারের স্বজনদের কাছ থেকে অনেক টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এসব ভ্রান্ত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

সহানুভূতি প্রকাশ । মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায়

মানসিক রোগীর সঙ্গে আচরণ কেমন হবে জানতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমাদের দেশে মানসিক রোগীর সঙ্গে খু্ব খারাপ আচরণ করা হয়। মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে সমাজ ও পরিবার থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়। এটি উচিৎ নয়। এ রোগ যে কারো হতে পারে। মস্তিষ্কের এই সমস্যা শারীরিক ব্যাধির মতো একটি অসুখ। মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধি নিয়ে অনেক ভুল ভ্রান্তির অবসান হয়েছে।’

মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধি সম্পর্কে অনেক প্রচারণা হচ্ছে। যেমন-এবারের মানসিক স্বাস্থ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার দিন’ এ জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রোগীদের পাগল বলে চিহ্নিত না করা, এক ঘরে না করা। তাদের সাথে আচারণটা এমন হবে যে, এটা একটি রোগ, এটির চিকিৎসা করাতে হবে। তাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার ও সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে হবে’, যোগ করেন ডা. ফাতিমা জোহরা।

১.নিরাময় হাসপাতাল, ঢাকা

 মানসিক স্বাস্থ্য ও মাদক নিরাময় কেন্দ্র, যেটা বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মাদকদ্রব্য বিভাগের অধীনে লাইসেন্সপ্রাপ্ত। এটা ঢাকার সেরা মানসিক হাসপাতাল। তারা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে মানসিক স্বাস্থ্য ও মাদক নিরাময়ের জন্য মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। আপনি চাইলে তাদের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে পারেন।

যোগাযোগের মাধ্যমঃ

  • ওয়েবসাইটঃ www.niramoyhospital.org
  • মোবাইলঃ ০১৭৭৫-০১৫০১০, +৮৮০২৪৮১২০১১২
  • ই-মেইলঃ info@niramoyhospital.org
  • ঠিকানাঃ ১৩/১৯, ব্লক-বি, বাবর রোড, মোহাম্মদরপুর, ঢাকা-১২০৭

২. পাবনা মানসিক হাসপাতাল

এটা বাংলাদেশের একমাত্র বিশেষায়িত মানসিক হাসপাতাল। এটি ৪০০ শয্যাবিশিষ্ট মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্র। পাবনা মানসিক হাসপাতালটি পাবনা জেলার হেমায়েতপুরে অবস্থিত।

যোগাযোগের মাধ্যমঃ

  • ওয়েবসাইটঃ www.facilityregistry.dghs.gov.bd/org_profile.php?org_code=10001486
  • মোবাইলঃ ০১৭১০-৮৬৪২০৩, +৮৮০২৫৮৮৮৪৬২৩১
  • ই-মেইলঃ pmh@hospi.dghs.gov.bd
  • ঠিকানাঃ হেমায়েতপুর, পাবনা, রাজশাহী

৩. লাইফ স্প্রিং, ঢাকা

  • যোগাযোগের মাধ্যমঃ
  • ওয়েবসাইটঃ www.lifespringint.com
  • ই-মেইলঃ contact@lifespringint.com
  • ঠিকানাঃ ৫৫/২, লেভেল-৬/১৪, পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫ (প্রধান শাখা)
  • বাসা-১০৮, রোড-১২, ব্লক-ই, লেভেল-৪, বনানী, ঢাকা-১২১৩

৪.  মডার্ণ সাইক্রেটিক হাসপাতাল (প্রাঃ) লিঃ

যোগাযোগের মাধ্যম

  • ওয়েবসাইটঃ http://www.mentalhealthbd.org
  • ঠিকানাঃ ১১৩/এ, মণিপুরি পাড়া, গেইট-১, ফার্মগেট, তেজগাও, ঢাকা-১২১৬

আমাদের শেষ কথা -

আজকের এই মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বলতে গিয়ে বোঝা যায় যে,মানসিক সমস্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ রোগে পরিনত হয়েছে। যার সম্পর্কে সচেতন না হলে অনেকেই অ এক ধরনের বিপদে পরতে পারি।শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিদের ও এই  রোগ হয়ে থাকে।তাই আমাদের প্রত্যেকেরই এই মানসিক এবং মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় জানার প্রয়োজন এবং সচেতন হয়া উচিৎ। আশা করি আমাদের এই লেখা দেখে আপনি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান পেয়ে যাবেন।

হাবিবা আফরিন

আমার নাম হবিনা আফরিন । ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি আমার শখ। sorolmanus.com আমার সেই শখ পুরণে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করছি আমার লেখার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন। সবাই আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads