উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু কতটা কার্যকরী তা জানুন

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু কতটা কার্যকর এটা সম্পর্কে অনেকের জানার কৌতূহল রয়েছে। তাই উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবুর উপকারিতা সম্পর্কে আজকের পোস্ট। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক ধরনের পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে লেবু অন্যতম একটি মাধ্যম। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু কিভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। 

সারা বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় অনেক মানুষ ভুক্তভোগী। হাই ব্লাড প্রেসার অথবা উচ্চ রক্তচাপের কারণে মানুষ যেকোনো সময় হার্ট অ্যাটাক , স্রেরেবেরাল অ্যাটাক এবং স্টোক বা কিডনি ফেইল হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের যদিও তেমন কোন লক্ষণ নেই তবে হালকা মাথাব্যথা, , অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে, দৃষ্টিশক্তি লোপ পেতে পারে, বমি বমি ভাব হতে পারে। 

স্বাভাবিক রক্তচাপের সীমা হচ্ছে বা ব্লাড প্রেসারের সীমা হচ্ছে ১২০/৮০। যদি কারো ব্লাড প্রেসার ১৪০/৯০ এর চেয়ে বেশি হয় তাহলে সেটি হাই ব্লাড প্রেসার জনিত সমস্যা। আর যদি কারো রক্তচাপ ১২০/৮০ এর চেয়ে কম হয় তাহলে সেটি লো ব্লাড প্রেসার জনিত সমস্যা। অর্থাৎ রক্তচাপ অথবা ব্লাড প্রেসার সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এটাকে বাড়তেও দেওয়া যাবে না আবার কমতেও দেওয়া যাবে না। 

উচ্চ রক্তচাপ অবশ্যই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যদিও অতিরিক্ত উচ্চ রক্তচাপ হয় তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু এবং পাশাপাশি আর কি কি কাজে লাগতে পারে সে নিয়ে আলোচনা করব। 

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু

লেবু রক্তনালীর কাঠিন্যকে দূর করে নমনীয় করে রাখে। তাই রক্ত চলাচলে স্বাভাবিক গতি বজায় থাকে। নিয়মিত পা তুলেবুর রস খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। লেবু পানীয়তে বেশ কিছু খনিজ পদার্থের চিহ্ন রয়েছে যা রক্তচাপ কমাতে উপকারী হতে পারে। ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম উভয়ই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের রক্তচাপ কমাতে পারে। কিছু সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে লেবু জল অবিলম্বে উচ্চ রক্তেচাপের সংখ্যাটিকে স্বাভাবিক পরিসরে আনতে সাহায্য করতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে আরো কিছু খাবার

শাকঃ পরিমিত পরিমাণে শাকসবজি গ্রহণ করার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শা কে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। বলা হয় শাক পাতা স্ট্রেস হরমোন উৎপাদন কমায় তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটা রাখতে পারেন। 

কলাঃ একটি কলাতে ৪৫০ মিলিগ্রামের মত পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম থাকার কারণে এটি শরীরের সোডিয়ামের মাত্র কমায়। তাই রক্তচাপ কমানোর জন্য প্রতিদিন দুইটি করে কলা খাওয়া যেতে পারে। 

রসুনঃ রসুন এমন এক উপাদান রয়েছে যেটি ধমনী এবং শিরায় জমে থাকা কোলেস্ট্রল কমাতে পারে। এটি শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড ও হাইড্রোজেন সালফেট এর উৎপাদন বাড়ায়। এছাড়া রক্তের প্রবাহ বাড়ানো এবং ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত দুই চা চামচ রসুনের রসের সঙ্গে চার চা চামচ পানি মিলিয়ে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। 

পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের রসে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যেটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য প্রতিদিন হাফসে চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। 

মধুঃ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য মধু অন্যতম একটি মহা ঔষধ। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, এক চা চামচ মধু , দুই চা চামচ আদার রস এবং দুই চা চামচ জিরার গুঁড়া মিলিয়ে খাওয়া যেতে পারে। 

লালমরিচঃ শরীরে প্লাটি চলেটকে একসাথে জমাট বাঁধতে বাধা দেয় লাল মরিচ। ফলে শরীরে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বিদ্যমান থাকে। স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বিদ্যমান থাকলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকাটাই স্বাভাবিক। 

তরমুজের বিচিঃ কিউকারবসিট্রিন  নামের এক বিশেষ উপাদান রয়েছে তরমুজের বিচিতে। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে তরমুজের বিচির গোড়া এবং প্রস্তু দ্বারা মিশিয়ে খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে। 

শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads