ঈদে মিলাদুন্নবী কি ?

ঈদে মিলাদুন্নবী কি

ঈদে মিলাদুন্নবী কি? 

আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করব ঈদে মিলাদুন্নবী কি ।ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি তাই একটু ফুটবল খেলা আজকের আলোচনা করব ঈদে মিলাদুন্নবী সে সম্পর্কে বিস্তারিত। B.sc ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল খুশি হওয়া ফিরে আসা আনন্দ পাওয়া ইত্যাদি। 

ঈদে মীলাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে তিনি নবীর  আগমন কে বুঝিয়ে থাকেন। ঈদ্-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম্ বলতেন নবীর আগমনের খুশি উদযাপন করার জন্য। ঈদ্-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জন্ম বা আগমন।

অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আবরণ এর বুকে আধারের বুক চিরে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম শান্তি নিয়ে এসে মানবজাতিকে সত্যের সভ্যতা ও ন্যায়ের দিক নির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তির পরিপূর্ণ করে তুলেছেন। নবীজির পবিত্র মনের খুশি উদযাপন করাটাই হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম।

আরো পড়ুনঃ 

কিছু কিছু লোক রয়েছেন যারা ঈদ মিলাদ পালন করা কে বিদআত মনে করেন।

আবার ভাবেন নবীজী যেখানে ঈদ ই মিলাদুন্নবী পালন করেননি, সেখানে ভণ্ড সুন্নীরা নতুন ঈদের সৃষ্টি করেছে। মুসলমানের ঈদ দুইটি- ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। 

এবিষেয়ে কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করা হলো ... আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন “আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে খুশি পালন কর যা তোমাদের সমস্ত ধন দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়। - (সূরা ইউনুস-৫৮) 

এবং “স্মরণ কর আল্লাহর নিয়ামতকে যা তোমাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে” -(সূরা বাক্বারা-২৩১) আরেক আয়াতে বলা হয়... “হে হাবীব, নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি” -(সূরা আম্বিয়া-১০৯)

তিনটি আয়াত একত্রিত করে বিবেচনা করলে দেখা যায় আল্লাহর নবী আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত। তিনি যেদিন দুনিয়াতে তাশরীফ এনেছেন সেই দিনকে স্মরণ করে আমাদের খুশি পালন করা উচিত। এই কাজটিকে বলে থাকে  ঈদে মিলাদুন্নবী।

ঈদে মিলাদুন্নবী কি ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি। ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা, আনন্দ খুশি বলতে আমরা বুঝি যে গান-বাজনা কিন্তু এখানে সে কথা উল্লেখ করা হয়নি এখানে খুশির কথা বলা হয়েছে নবীর শানে দরুদ পড়ে জিকির করা নবীজির জীবনী নিয়ে আলোচনা করা ইত্যাদি সম্পর্কে।

আমাদের প্রিয় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের মিলাদুন্নবী পালন করেছেন কিনা জেনে নিন।

হযরত মুহাম্মদ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত  রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করা হলে তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখেন।

উত্তরের নবীজি ইসরাত করেন যে এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি। এই দিনে আমি পেয়েছি ও এই দিনেই আমার উপর পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে।

সহিঃ মুসলিম শরীফ দ্বিতীয় খন্ড 119  পৃষ্ঠাবায়হাকী আহসানুল কোবরা চতুর্থ খন্ড  286  পৃষ্ঠা  মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম খণ্ড ২৯৭ পৃ: মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খণ্ড ২৯৬পৃঃ হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খণ্ড ৫২ পৃঃ)

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদিন তিনি কিছু লোক নিয়ে নিজ গৃহে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মকালীন ঘটনাবলী বর্ণনা করছিলেন এবং তাঁর প্রশংসাবলী আলোচনা করে দুরুদ ও সালাম পেশ করছিলেন। ইত্যবসরে প্রিয়নবী (সঃ) হাজির হয়ে এ অবস্থা দেখে বললেন, তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত আবশ্যক হয়ে গেল। -(ইবনে দাহইয়ার আত-তানবীর)

নবীজি ঈদুল মিলাদুন পালনকে সমর্থন দিয়েছেন। ইদেমিলাদুন পালনের ফজিলত কত বিশাল তা বোঝা যায় আবু  লাহাবের ঘটনা থেকে জানতে পারবেন।

আবুলাহাব একজন কাফের হওয়ার পরও নবীজীর আগমণের দিন খুশি হয়ে সে তার সংবাদ দাতা দাসী সুয়াইবাকে আযাদ করে দেওয়ার কারণে পরকালে কঠিন আযাবের ভেতরে ও প্রতি সোমবার তার আযাব হালকা করে দেওয়া হয়। -(উল্লেখ্য যে আবু লাহাবের ঘটনা সম্পর্ক হাদিসটি আল্লামা ইবনে জাওযী, আল্লামা কুস্তালানী, আল্লামা জালালুদ্দিন সূয়ূতী সহ আরো অনেকে বর্ণনা করেছেন) ’

আরো পড়ুনঃ 

রেফারেন্স প্রয়োজন আরও কিছু সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো। জগদ্বিখ্যাত গ্রন্থ “আন নে’মাতুন কোবরা আলাল ফি মাওলিদি সাইয়্যেদ ওলদে আদম” এর ৭-৮পৃঃ থেকে এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। 

আল্লামা ইবনে হাজর হায়তামী(রহঃ) বলেছেন, খোলাফায়ে রাশেদীনগণের যুগেও মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম পালন করার নীতি প্রচলন ছিল। 

হযরত আবু বকর সিদ্দীক(রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর জন্য এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সাথী হবে। 

হযরত ওমর (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর সম্মান দিবে, সে দ্বীন ইসলামকেই জীবিত রাখবে। 

হযরত ওসমান (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের জন্য এক দিরহাম খরচ করবে সে যেন নবীজীর সঙ্গে জঙ্গে বদর এবং জঙ্গে হোনাইনে শরীক হলো। 

হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামকে তা’যিম করবে এবং মিলাদ পাঠ করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে সে ঈমানের সঙ্গেই দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে ঈদ্-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম সম্পর্কে। ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী  কি সম্পর্কে আলোচনা করেছি আমাদের সঙ্গে থাকুন। কোরআন ও হাদিসের থেকে বোঝা যায় যে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম পালন হচ্ছে জান্নাত পাওয়ার মাধ্যম।

সাহাবা একরাম এর আমল তাই সাহাবা একরাম এর সঙ্গে একমত পোষণ করে ইদেমিলাদুন নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মাহফিল করা ঈমানদারদেরকে জন্য খুবই প্রয়োজন।

ঈদে মিলাদুন্নবী খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকারিতা আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করব আমাদের কেতার হাবিব নবীগণের নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুমিন বানিয়েছেন।

শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads