মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা । মোটা হওয়ার কিছু সহজ উপায়

মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা । মোটা হওয়ার কিছু সহজ উপায়

মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা ।আমরা প্রায় চিকন ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানতে  পারি বা শুনতে পাই । তাদের মনে সব সময় প্রশ্ন থাকে কিভাবে মোটা হওয়া যায় ।  তারা সব সময় আতঙ্কে থাকে যে এত খাচ্ছি তবুও কেন মোটা হচ্ছে না । যারা একেবারেই চিকন বা  রোগীদের মত তারাই হয়তো ভাবে একটু মোটা হলে ভালো হত । দেখতে ভালো লাগবে ।  তবে বেশি শুকনা লোক দেখতে আসলেই খারাপ লাগে।

মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকার ব্যপারে অনেকের মনে অনেক রকমের প্রশ্ন থেকে যায় ।  তবে বেশি চিকন অথবা বেশি মোটা হওয়া একেবারে ঠিক নয় ।  তাই যাদের শরীর একেবারে শুকনা বা চিকন তারা মোটা হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন । তবে চিকন বা মোটা  অনেকেই হতে পারে না । মোটা থেকে চিকন হওয়ার যেমন কষ্টকর ।  তেমনি চিকন থেকে মোটা হওয়া একই রকম কষ্ট । তবে আপনি যদি  প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেতে পারেন বা শরীরের যত্ন নিতে পারেন তাহলে পরিবর্তন আসতে পারে । নিয়ম অনুযায়ী খাবার খেলে ।  রাতের ঘুম ঠিক রাখা  । এরকম বিভিন্ন ধরনের নিয়ম মেনে চললে । আপনি মোটা হতে পারবেন । খেতে খেতে পেট ভরে যায় তারপরও অনেকেই মজা পেয়ে খেতেই থাকে ।  

আরো পড়ুনঃ কুকড়া চুল সোজা করার ঘরোয়া উপায়

এই যে আমাদের অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে অনেকেই মোটা হয়ে যায় ।  আবার অনেক লোক আছে যারা এত এত খেতে পারে ।  কিন্তু কোনোভাবেই তারা মোটা হচ্ছে না । আপনার শরীরের অন্য অন্য পুষ্টিকর খাবার যেমন কাজ করবে তেমনি রুটি ভাত  ইত্যাদি । এসব কারণে আপনার শরীরের পুষ্টিকর খাবার বৃদ্ধি পাবে ।  এরপর আপনি ধীরে ধীরে মোটা হতে থাকবেন । কোন রকম চিন্তা চেতনা দুশ্চিন্তা টেনশন ঘুম কম হলে । এসবের কারণে আপনি কখনো মোটা হতে  পারবেন না । একটা প্রশ্ন আসে যে অতিরিক্ত খাবার খাচ্ছি এবং নিয়ম অনুসারে চলছে কিন্তু মোটা হচ্ছে না কেন । তবে এর কারণগুলি হচ্ছে আপনি নিয়ম অনুযায়ী খাবার খাচ্ছেন না এবং নিয়ম অনুযায়ী অনেক কিছু করছেন না । কিন্তু আপনি মোটা হচ্ছেন না ।এসব নিয়ে আপনি বেশ চিন্তিত আছেন 

খাবারের প্রতি মনোযোগ না থাকলে।  অরুচি খাবার খেলে আবার শুধু ক্ষুধা মিটানোর জন্য খাবার খেয়ে থাকি । অতএব আপনি ঠিকমতো খাবার খাচ্ছেন । কিন্তু অন্য নিয়মগুলো আপনি মেনে চলছেন না ।  এরকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে আপনার  সফল হবে না।   সেটা হচ্ছে মোটা হওয়া ।  তাই সব কিছুতে মনোযোগ দিয়ে করলে ভালো হয় । অনেকেই রাতে ঠিক সময় ঘুমোতে যায় না । অনেক রাত ধরে মোবাইল ল্যাপটপ কম্পিউটার বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে বিজি থাকে । তাদের জন্য মোটা হওয়ার কোন সম্ভাবনা হতে পারে না । 

আরো পড়ুনঃ  চুল সিল্কি করার উপায়

আপনার প্রতিনিয়ত ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে হবে । তবে উল্টাপাল্টা খাবার খেলে চলবে না, এতে করে গ্যাসের প্রবলেম হতে পারে ।  বেশি বেশি করে পানি খেতে হবে । শুধু শুধু অতিরিক্ত খাবার খেলে চলবে না ।  প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে ।  আপনি যদি নিয়ম অনুযায়ী প্রোটিনযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে ধীরে ধীরে আপনার শরীরের পরিবর্তন দেখা দেবে । তাই প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো খেলে দেহে নতুন নতুন কোষ তৈরি করে  । চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে আপনার শরীরের পরিবর্তন আসতে পারে ।  যদি আপনি নিয়ম মেনে চলতে পারেন । 

মোটা হওয়ার জন্য খাবার তালিকা

 প্রথমে বলবো সকালের খাবারের কথা। সকালের খাবার আমাদের সারাদিনের শক্তি সরবরাহ করে । সকালে খাবার খাওয়ার নিয়ম ঠিক সময় সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত । এর মধ্যেই খেতে হবে । তবে আপনার তবে প্রতিদিন এক সময় খেতে হবে ।  আবার অনেকেই আছে  নির্দিষ্ট একটি সময়ে ছাড়া বিভিন্ন সময়ে খাবার খেয়ে থাকে তাদের জন্য মোটা হওয়া কোনভাবেই সম্ভব না ।  আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে সবগুলো নিয়ম অনুসারে চলা খুব জরুরী ।  চিনি মানুষকে অনেক মোটা করে দেয় ।  তবে অতিরিক্ত চিনি খেলে আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা দিতে পারে ।  ডায়াবেটিস হলে আপনি মোটা হতে পারবেন না ।  ডায়াবেটিস শরীরের অনেক ক্ষতি করে দেয় । 

আরো পড়ুনঃ চুল পড়া কমানোর  চমৎকার সব উপায়

শাক সবজির মিষ্টিকুমড়া কাঁচা কলা পেঁপে সবকিছু পরিমাণমতো নিয়ে খেতে পারেন ।  এরপর আছে গরুর মাংস গরুর মাংস তে রয়েছে প্রচুর চর্বি । এই খাবারগুলো যদি খেতে পারি তাহলে দ্রুত মোটা হতে পারব। গরুর মাংস খেতে পারেন মোটা হওয়ার জন্য তাহলে তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন ।  ফাস্ট ফুড খাবার  তেলে ভাজা খাবার ঘি মাখন দুধ ।  ইত্যাদি ইত্যাদি । 

মোটা হওয়ার জন্য সকালের খাবার

১ কিসমিস ও বাদাম 

মোটা হওয়ার জন্য  কিসমিস ও কাঠ বাদাম পরিমাণমতো নিয়ে সারা রাতের জন্য ভিজিয়ে রাখুন ।  ঘুমানোর আগ মুহূর্তে । সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেয়ে নিন । সাতটা অথবা 8 টার ভিতরে খেয়ে নিন । সঙ্গে ভেজানো পানি খেতে পারবেন । এক থেকে দুই মাস খেলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীরের ওজন আগের চেয়ে কত পরিবর্তন আসছে । আপনার শরীর আগের থেকে অনেক সুন্দর হবে ।  এবং শক্তিশালী হবে । 

২. ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালোরি ।ডিমের কুসুমে রয়েছে অনেক ফ্যাট । মোটা হওয়ার জন্য অনেক জরুরি । সকালের দুই থেকে তিনটি ডিম খেতে পারেন ।  ডিম সিদ্ধ থেকে ভাজি করে খাওয়া অনেক কার্যকারী  । তবে চেষ্টা করবেন ভাজি করে খাওয়ার জন্য । 

৩. পরোটা

পরোটা ভরপুর তেলযুক্ত তৈরি হয় ।  আপনি যদি মোটা   হতে চান।  তাহলে পরোটা খেতে পারেন । কিন্তু এসব তেলেভাজা জিনিস খেলে আপনার গ্যাসের প্রবলেম হতে পারে ।  তবে বেশি বেশি করে পানি পান করুন  । আরেকটি কথা আপনি যদি বাইরে থেকে না খেয়ে বরঞ্চ  ঘরে বসে বানিয়ে খান তাহলে অনেক ভালো হবে । 

৪. সবজি

আপনি চাইলে পরোটার সঙ্গে যে কোন সবজি নিয়ে খেতে পারেন ।  যেমন কলিজা ভুনা আলু গাজর সিম ডাল ইত্যাদি এসব ওজন বাড়াতে সাহায্য করে । 

৫.  নেহারি কলিজা ও গিলা

 আপনি মোটা হতে পারেন ।  তবে আপনি   পরোটা বা রুটির সঙ্গে সবজি না খেয়ে ।  আপনি কলিজা গিলা ও নেহারি খেতে পারেন । গিলা কলি নেহারী রয়েছে প্রচুর ফ্যাট । 

৬.ফলমূল

সকালের নাশতাতে রাখবেন ফলমূল ।ফলমূলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন । ফলের মধ্যে থাকবে কলা,আপেল,আঙ্গুর,কমলা,মিষ্টি জাতীয় জিনিস ইত্যাদি ।


সকালের খাবার এর সময় সাতটা আটটার দিকে খেতে হবে ।  এর  পর 11-12 সময় হালকা কিছু খাবার খেতে হবে । আপনার জন্য খুব কার্যকরী । কি  কি খাবার খেতে হবে ।  যেমন; সিঙ্গারা,সমুচা, ডাল পুরি

১. ডালপুরি

ডালপুরি খুব তেলে ভাজা  খাবার । এবং খুব সুস্বাদু একটি লোভনীয় খাবার ।  ডালপুরি  স্বাস্থ্যও মোটা হতে সাহায্য করে । 

২. সমুচা

সমুচা বা যে কোন তেলে ভাজা খাবার আপনারা বাহির থেকে না খেয়ে  বরং ঘরে বসে তৈরি করে খেতে পারেন ।  সেটা  হবে স্বাস্থ্যমান খাবার ।

৩. সিঙ্গারা

আমরা সাধারণত বাহিরের যেকোনো তেলে ভাজা জিনিস খেয়ে থাকি। হোটেলে বা যে কোন রেস্টুরেন্টে আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি । এসব খাবার  ঘরে তৈরি করে খেতে পারেন ।  স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো  । 

মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকায় এসব এর পরিবর্তে আপনি আরও অনেক কিছু খেতে পারবেন যেমন চা কফি বিস্কুট কেক করা ইত্যাদি । 

মোটা হওয়ার জন্য দুপুরের খাদ্য  তালিকা 

 দুপুরের খাবার খেতে হবে পেট ভরে ।  কিছুক্ষণ  1 থেকে  2 ঘন্টা ঘুমাতে পারেন ।  এতে করে আপনার স্বাস্থ্য মোটা হতে পারে ।  বেশি বেশি  ঘুমাতে পারলে আপনি অতি তাড়াতাড়ি মোটা  হতে পারবেন ।  দুপুরে খাবার পর ঘুমানো একটি কারণ হচ্ছে ।  আপনি খাবার দেহে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি গুন বাড়াতে সাহায্য । 

১.ভাত

ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পরিমাণে ফ্যাট । আমরা যদি অতিরিক্ত ভাত খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের শরীরে শুধু চর্বি জমে যাবে ।  বা ভুঁড়ি জমে যাবে ।  আমরা অনেক ভাত মানুষ মোটা হয় । কিন্তু এটা আসলে ভুল ধারণা ।  আমাদের সব সময়  মত খেতে তাহলে মত মত তাহলে আপনি ।  কিন্তু সব  আবার পরিমাণ মত খেতে হবে । 

২ আলু ও পরোটা

 আমরা অনেককেই  ভাত খেতে পারি না ।  এর জন্য আপনি ভাতের পরিবর্তে আলুর পরোটা খেতে পারবেন ।এর সঙ্গে খিচুড়ি বিরানি এবং রুটি খাওয়া যাবে । 

৩. কফি- চা 

দুপুরে খাওয়ার পর আপনি ইচ্ছা মতে চা খেতে পারেন ।  বা কফি খেতে পারেন ।  কিন্তু আপনি যদি সময় মত খেতে পারেন  ।তাহলে অল্প দিনে আপনি মোটা হতে পারবেন । 

৪  শাক-সবজি

মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা দুপুরে খাবার  এর সঙ্গে শাক, সবজি ,ভর্তা, ভাজি ,ও সবুজ, তরকারি সবকিছু বেশি বেশি খেতে হবে ।  শাক সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ।  বিভিন্ন ধরনের খাবার একসঙ্গে অনেকগুলো খেতে পারবেন ।

৫. মাংস

আপনার শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য  প্রতিদিন মাংস খেতে হবে। মুরগির মাংস খাসির মাংস গরুর মাংস ইত্যাদি । মাংস তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উচ্চমাত্রার প্রোটিন ।  ক্যালরি ফ্যাট ওজন বাড়াতে সাহায্য করে ।  তবে আমরা সব সময় শেষ করব চর্বি চর্বিজাতীয়  মাংস খাওয়ার জন্য । চর্বি  আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর ।  তবে মোটা  হওয়ার জন্য আপনি  এসব খাবার খেতে   পারবেন ।

৬. মাছ

মাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন । মাছ শরীরের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে ।   বড় মাছ  2 পিস খাবেন । বড় মাছ যেমন পাঙ্গাশ তেলাপিয়া মাগুর বোয়াল ইলিশ রুই কাতলা ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ।  এবং ক্যালরি আছে ।  আবার মাঝে মাঝে শুটকি মাছ খেতে পারেন ।  শুটকি মাছে অনেক পুষ্টি ।  শুঁটকিতে রয়েছে প্রোটিন । 

 এইসবের  পাশাপাশি আপনি দুপুরের খাবার খিচুড়ি বিরানি ইত্যাদি খেতে পারেন ।  রাতের বেলা এই খাবারগুলো খেতে পারবেন ।  তবে আপনি যদি প্রতিনিয়ত সময় মত রেগুলার খাবার ঠিকমতো খেতে পারেন তাহলে অল্প কিছু দিনে আপনার শরীর হবে মোটা ও স্বাস্থ্যবান । 

 বিকেলে যেসব খাবার খেলে মোটা হওয়া যায়

 বিকেলের নাস্তা হালকা কিছু খেয়ে নিবেন । আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে বিকেলের নাস্তা অবশ্যই খেতে হবে ।  বিকেলে অথবা সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে কিছু খেয়ে নিন ।  বিকেলের নাস্তা দেহের অতিরিক্ত ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে ।  তবে চলুন কি কি খেলে আপনি অতি তারাতারি মোটা হবেন সেগুলো দেখে নিন । যেমন; ফলমূল, মোগলাই পরোটা, মিষ্টি, বিস্কিট ও কেক, চিকেন ফ্রাই

১.চিকেন ফ্রাই

চিকেন ফ্রাই অথবা গরুর মাংসের কাবাব বিকেলের নাস্তার জন্য পারফেক্ট ।  বিকেলে বা সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আপনি চিকেন ফ্রাই খেয়ে নিবেন ।  মোটা হওয়ার জন্য চিকেন ফ্রাই সবথেকে বেস্ট একটি খাবার ।  তাই বিকেলের নাস্তা  আপনি চিকেন ফ্রাই খেতে পারেন ।

২ বিস্কুট ও কেক

বিকেলের নাস্তার আপনি চাইলে দুধ চা ও কফি দিয়ে আপনি বিস্কুট খেতে পারেন ।   বিকেলের নাস্তা আপনি খেতে পারবেন ।  কেক ও বিস্কুট আপনি পরিমাণমতো খেয়ে নিন । 

৩. ফলমূল

 বিকেলের নাস্তা আপনি ফলমূল খেতে পারেন ।  ফলমূল শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে ।  আপনি যেকোন ধরনের ফল খেতে পারবেন ।  যেমন; কলা , কমলা, জাম, পেয়ারা, খেজুর, পাকা পেঁপে, কাঁঠাল, আম, কামরাঙ্গা, কালোজাম, বেদেনা, ইত্যাদি। এইসব ফল আপনার শরীর স্বাস্থ্য বা মোটা হতে সাহায্য করবে । তাই নিয়ম অনুযায়ী আপনি এই ফলমূল খেতে পারেন । 

৪. মিষ্টি

 যে কোন দেশে অনেক ধরনের বা বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায় ।  তাই আপনি বিকেলের নাস্তার সাথে মিষ্টি খেতে পারেন ।  মিষ্টি  যেমন; রসগোল্লা ,রসমালাই, স্পঞ্জ মিষ্টি , জিলাপি, ছানার মিষ্টি, গোলাপজাম, সন্দেশ, ছানা জিলাপি,  মিষ্টি দই, ইত্যাদি ।  মিষ্টি আপনি যদি পারেন তাহলে আপনি অতি তারাতারি মোটা হতে পারবেন ।  আরেকটি কথা আপনার সব সময়  খাবারের সাথে থাকতে  হবে তাহলে আপনি অতি তাড়াতাড়ি মোটা হতে । 

৫. মোগলাই  পরোটা

 বিকেলের নাস্তার জন্য আপনি মোগলাই পরোটা খেতে পারেন । বিকালের নাস্তার জন্য সুস্বাদু একটি খাবার ।  তবে আমরা যদি বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে অনেক ভালো হবে । 

বিকেলের নাস্তার জন্য অনেক কিছুই খাওয়া যায় ।  সিঙ্গার, পুরি, সমুচা, কমলা ,আপেল,, কলা,বিস্কুট, কেক,, ফল, মোগলাই পরোটা, রুটি, ইত্যাদি ইত্যাদি। 

 মোটা হওয়ার জন্য খাদ্য তালিকা, মোটা হওয়ার সহজ উপায়

মোটা হওয়ার জন্য রাতের খাবার খুব কার্যকারী । কারণ সারাদিনের খাবার আপনার পরিশ্রম করার পর খাবার শরীরে ভালোভাবে কাজ করে না । পরিশ্রম পরিশ্রম করলে আপনার খাবারগুলো অতি তাড়াতাড়ি খরচ হয়ে যায় বা শেষ হয়ে যায় ।  রাতে খাওয়ার পর আমরা অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ি । এই জন্য আমাদের শরীরের কোন নড়াচড়া না হওয়ার কারণে রাতের খাবার গুলো অতি তারাতারি মোটা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ।  

প্রয়োজনীয় ক্যালরি এবং প্রোটিন রাতে অতিরিক্ত শরীরের জমে থাকে ।  সকালে ও দুপুর এবং বিকেলে খাওয়ার পর আমরা সবাই সারাদিনের কাজগুলো করে থাকে এর ফলে আমাদের স্ক্রিল এ মোটা হওয়ার জন্য যে খাবারগুলো আমরা খেয়ে থাকি সেগুলো শরিলে কাজ করে কম ।  তবে আপনি যদি দুপুরে খাওয়ার পর এক থেকে দুই ঘন্টা ঘুমাতে পারেন তাহলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।  রাতের খাবার খেতে হয় সাতটা অথবা 8 টায় ।  আটটায় এর আগ মুহূর্তে হালকা পাতলা কিছু খেয়ে তারপর ঘুমাতে যান । 

 রাতের খাবার মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা

১.ভাত

আমরা সাধারণত রাতে ভাত খেয়ে থাকি ।  তবে অল্প পরিমাণে ভাত নিয়ে আপনি যদি অতিরিক্ত বা বেশী পরিমানে সবজি তরকারি খেয়ে থাকেন তাহলে শরীরের জন্য অনেকটা উপকারে আসবে ।  আমরা বাঙালিরা সব সময়ের জন্য খাবারের তালিকায় ভাতের পরিমাণ বেশি রেখে দেই ।  বেশি খেয়ে থাকি ।  তবে এই বেশি ভাত খাওয়ার কারন  ভাতে  প্রচুর ফাইবার ।  ফাইবার পেট ভরানো বা চর্বি কমানোর জন্য কাজ করে ।  অতএব শরীরের অন্য কোন কাজে লাগে না ।  তবে আমরা সবসময় চেষ্টা করব ভাতের থেকে সবজি বেশি খাওয়ার জন্য । 

২.মাংস 

রাতে খাবারের জন্য আপনি সাধারণত মুরগির মাংস খেতে পারেন না ।  এক পিস মাংস করা করে ভেজে তারপর আপনি করা করে ভেজে তারপর আপনি কয়েকটি  সালাত দিয়ে খেতে পারেন ।  মুরগির মাংসের হাড় গুলো বেশি বেশি খেতে হবে ।  তবে মুরগি  বুকের মাংস প্রচুর ফাইবার থাকে ।  তাই আপনার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর ।  তবে আপনি সবসময়ের জন্য মুরগির হাড় গুলোই খাবেন ।  বুকের অংশ খাওয়া একেবারেই নিষেধ ।  মাংস যে  যেভাবে খেতে ভালো লাগে ঠিক তৈরি করে । 

৩. রুটি

রাতের জন্য আপনি রুটি খেতে পারেন ।  তবে বেশি খাওয়া যাবেনা দুই থেকে চারটি রুটি খেতে পারেন ।   রুটির সঙ্গে গরু খাসি মুরগি এর মাংস বা বিভিন্ন ধরনের সবজি মিষ্টি দিয়ে ও ডাল ভুনা দিয়ে খেতে পারেন। 

৪. মাছ

 ওজন বাড়ানোর জন্য বা মোটা হওয়ার জন্য আপনি রাতের বেলায় ছোট মাছ খেতে পারেন ।  বড় ও ছোট দুটি খেতে পারবেন ।  কিন্তু ছোট মাছ খেলে বেশি ভালো হবে ।  মাছ খেলে আপনার শরীলে পুষ্টি গুণ বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি প্রচুর ক্যালোরি পাওয়া যাবে ।

ঘুমানোর ঠিক আগ মুহূর্তে আপনি দুধ ও মধু খেতে পারেন ।  ওজন বাড়ানোর জন্য ও মোটা হওয়ার জন্য আপনি এই নিয়মগুলো অবলম্বন করতে পারেন ।  রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যইআপনার পুষ্টিকর  কিছু খাবার  খেতে হবে ।  ঘুমানোর তিন থেকে চার মিনিট আগে আপনি এক গ্লাস গরম দুধ এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন ।  এতে করে আপনার শরীর অতীত তাড়াতাড়ি মোটা হতে সাহায্য করবে । 

মোটা হওয়ার জন্য বা ওজন বাড়ানোর জন্য খাবারের পাশাপাশি আপনি সময় মত ঘুমাতে যাবেন ।  তবে এখানে একটি কথা আপনি যদি অতিরিক্ত ঘুমাতে পারেন এতে করে আপনার শরীর দ্রুত মোটা হতে সাহায্য করবে । খাওয়ার পর পর আপনি সাধারণত তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন এর ফলে আপনি অনেকটাই মোটা হয়ে যাবেন অতি তাড়াতাড়ি । দুপুরে খাওয়ার পর আপি সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ুন ।  দুপুরে খাওয়ার পর আপনি যদি কিছুক্ষণ ঘুমাতে পারেন তাহলে মোটা হতে পারবেন ।  সারাদিন আমরা এত এত খাবার খাই এই খাবারগুলো শরীরের বিশ্রামের দরকার ।  আর শরীরের বিশ্রাম হল  ঘুম । 

এক পলকে মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা 

 সকালের খাবার

 বাদাম কিসমিস, ডিম, পরোটা, রুটি, সিঙ্গারা, গিলা কলিজা, ফলমূল,, সমুচা, সবজি, ডাল পুরি, ইত্যাদি ।

দুপুরের খাবার

ভাত, রুটি, আলু পরোটা, মাছ, মাংস, সবজি, বিরানি,, খিচুড়ি, ইত্যাদি।

বিকেলের খাবার

চা-কফি, বিস্কুট, ফলমূল, মোগলাই পরোটা, মিষ্টি, পুডিং, কেক, ব্রেড, চিকেন ফ্রাই, ইত্যাদি।

রাতের খাবার

ভাত, রুটি, মাছ, মাংস, দুধ ও মধু, শশা, গাজর  টমেটো, ইত্যাদি । 

শেষ কথা

মোটা  হওয়ার জন্য আপনি অনেক নিয়ম পালন করতে পারেন ।  আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে ওপরে যা যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সেগুলো নিয়মমতো মেনে চলুন । তাহলে অল্প দিনে মোটা  হতে পারবেন । আমরা যদি একটু কষ্ট করে যদি উপরের নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে পারি তাহলে আমরা মোটা হতে পারব । 

আজকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের মোটা হওয়ার জন্য ঔষধ পাওয়া যায় ।  সেগুলো মূলত রুচি বাড়াতে সাহায্য করেনা । আপনি যদি বাহিরে কোন ঔষধ খেয়ে  থাকেন ।  তবে বাইরের জিনিস না ব্যবহার ঘরে ঘর তৈরি যেকোনো যে কোন ধরনের খাবার খেতে  পারবেন ।  মোটা হওয়ার জন্য আপনি অন্তত পক্ষে ঘরে তৈরি জিনিস খান । 

মোটা হওয়ার জন্য আপনি যদি নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে অতি তাড়াতাড়ি মোটা হতে পারবেন ।  তবে এর পাশাপাশি আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন । 


শাহীন

আমার নাম মোঃ শাহীনুর ইসলাম । সবাই শাহীন বলে ডাকে। ব্যবসা সংক্রান্ত আলোচনা এবং টেকনোলজি নিয়ে পড়ে থাকতে ভাল লাগে। আমি চাই এই ব্লগের মাধ্যমে আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে।

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم

Ads

Ads