জাতীয় চার নেতা

 জাতীয় চার নেতা বলতে আমরা সৈয়দ নুরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ,ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান এই চার নেতাকে বুঝায়। এই জান এটা যে আসলে জাতীয় নেতা সেটা আমরা অনেকেই জানিনা। আজ আমরা এই চার নেতার জেল হত্যা সম্পর্কে জানবো।


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে এবং ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা সূত্রে গাঁথা।মূলত আওয়ামীলীগের নেতৃত্বশূন্য করতেই ৪৮ বছর আগে ১৯৭৫ এর ৩ রা নভেম্বর কারাগারের অন্ধকারে প্রকোষ্ঠে জাতীয় নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। প্রতিবছর জাতীয় জীবনে এত সেরা নভেম্বর ফিরে এলে জাতীয় চার নেতা সর্বজনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম তাজউদ্দিন আহমেদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান এর আত্মত্যাগ জাতীয় গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে থাকে। 

বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তারা বারবার আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধাদের রক্ত ঝরা দিনগুলো সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বাঙালির জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে মোহন ভাসি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতীয়তা বাদে আন্দোলনের সূচনা করে বাংলার মানুষকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় মুক্তির মোহনায় দাঁড় করান। ১৯৭১ সালের ২৫ এ প্রহরের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে এর নির্জন সেলে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। 


★ সৈয়দ নজরুল ইসলাম 


সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯২৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার দামপাড়া জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৭ সালে এম এ করেন এবং ১৯৫৩ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।১৯৫৭ সালে ময়মনসিংহ জেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬-৬৯ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের উপরাষ্ট্রপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমানের অনুভূতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভা পরিষদের মন্ত্রী শিল্পমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 


★ তাজউদ্দিন আহমেদ 


তাজউদ্দিন আহমেদ ১৯২৫ সালের গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার দরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব বাংলা ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৫২ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে তিনি গ্রেফতার হন এবং কারা নির্যাতনে ভোগেন। আমার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে কারাবন্দি অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আইনশাস্ত্রের ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ছিলেন।


★ এ মনসুর আলী 


মোহাম্মদ মনসুর আলী সিরাজগঞ্জ জেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামে ১৯১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা শুরু করেন গাজীপুরের গান্দাইল হাই স্কুলে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এখান থেকেই। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর 1941 সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। তারপর ভর্তি অন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মত নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯৪৫ সালে এখান থেকে অর্থনীতিতে এমএ এবং ল পাশ করেন। এরপর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাবনা ১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক গণিত ও বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। 


★ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান 


নাটোর মহকুমার থানা মালঞ্চে রেলস্টেশন সংলগ্ন নুরপুর গ্রামে মামার বাড়িতে ১৯২৬ সালের ২৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন এএইচএম কামারুজ্জামান। পড়াশুনা শুরু রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। এরপর চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে তিনি মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর আসে কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স স্নাতক পাস করেন। এরপর রাজনীতি যুক্ত হয়ে ১৯৬২ ও ১৯৬৬ সালে পরপর দুবার পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পুনরায় তিনি রাজশাহী থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের নতুন মন্ত্রিসভায় তিনি শিল্পমন্ত্রী দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। 

 


যেদিন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয় সেদিন আমি ময়মনসিংহ কারাগারে বন্দী। তখন দুঃসহ জীবন আমাদের। কারাগারের কনডেম ছেলে ফাঁসির আসামিকে যেখানে রাখা হয় আমাকে সেখানে রাখা হয়েছিল। সহকারি বন্দি ছিলেন 'দ্যা পিপল 'পত্রিকায় সম্পাদক আব্দুর রহমান। আমরা দুজন দুটি কক্ষে ফাঁসির আশির মায়ের মত জীবন কাটিয়েছি। হঠাৎ খবর এলো কারাগারের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। কারারক্ষী সহ কারাগারে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। জেল সুপার ছিলেন শ্রী নির্মলেন্দু রায়। কারাগারে আমরা যারা বন্ধু ছিলাম তাদের প্রতি তিনি ছিলেন সহানুভূতিশীল। সেদিন গভীর রাতের নির্মলেন্দু রায় আমার ছেলে এসে বলেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মিস্টার ফারুক আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।আমি জিজ্ঞাসা করলাম এত রাতে কেন? তিনি বলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আপনাদের থেকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা কারাগারের চতুর্দিকে পুলিশ দ্বারা বেষ্টন করে রেখেছি জেল পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এসপি সাহেব এসেছেন আপনাকে নিয়ে যেতে। আমি বললাম না এভাবে তো যাওয়ার নিয়ম নেই। এভাবে যাব না। পরবর্তী সময়ে শুনেছি সেনাবাহিনীর একজন মেজর সেদিন জেলখানায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নির্মলেন্দু রায় বলেছেন, আমি অশনি কাউকে কারাগারে প্রবেশ করতে দিব না। কারাগারে চারপাশে সেদিন যারা আমাকে রক্ষা করার করেছিলেন তাদের মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে আমার সভাপতি জনাব ওদুদ।আমি নির্মলেন্দু রায় ও ওদুদ এর কাছে ঋণী। 


ময়মনসিংহে কারারুদ্ধ কালে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের দুঃসংবাদটি সব শুনেই মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতীয় চার নেতার কত অবদান। স্মৃতির পাতায় আজ সে সব ভেসে ওঠে। দল পুনরুদ্ধ জীবনের পর ৬৪ তে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু পুনরায় সাধারণ সম্পাদক এবং তাজউদ্দিন আহমেদ সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৬৬ এর ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে যে সর্বদলীয় নেত্রী সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা অধ্যাপন করেন সেই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাজ উদ্দিন ভাই যোগদান করেন। ছয় দফা দেওয়ার পর ১৮ ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি হোটেল আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও বঙ্গবন্ধু সভাপতির তাজউদ্দিন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রথম সহ্য সভাপতি এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান নিখিত পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাজউদ্দিন আহমদ নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু সারা বাংলাদেশের ছয় দফার সমর্থনে জনসভা করেন যেখানেই যান সেখানেই তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিনি জামিনে মুক্ত হন। অবশেষে ৮ মে নারায়ণগঞ্জের জনসভার শেষে ধানমন্ডির বাসভবনে ফেরা মাত্রই তথাকথিত পাকিস্তান রক্ষা আইনে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমদ সহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা কর্মী কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। এর প্রতিবাদে আমরা ৬৬ এর ৭ জুন হরতাল পালন করি। সফল হরতাল পালন শেষে এক বিশাল জনসভায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম শহীদ অফার তথা বাঙালি সময়সূচি বাস্তবায়নের বঙ্গবন্ধু ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে ঐতিহাসিক বক্তৃতা দিয়েছিলেন।তিনি ছিলেন আনলবর্ষী বক্তা। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের ফলে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। 


সূত্রের ঐতিহাসিক নির্বাচনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম তাজউদ্দিন আহম্মক কামারুজ্জামান সাহেব পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। কে কোন পদে নির্বাচিত হবেন তার বঙ্গবন্ধু নির্ধারণ করেন। ৭০ এর নির্বাচনে আমি মাত্র ২৭ বছর বয়সে এম এন এ নির্বাচিত হই। ৭১ এর ২৩ ফেব্রুয়ারির আওয়ামীলীগের পার্লামেন্টারি পার্টি মিটিংয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ নেতা নজরুল ইসলাম উপনেতা তাজউদ্দিন আহমেদ পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা এবং কামারুজ্জামান সাহেব সজীব নির্বাচিত হন। আর প্রাদেশিক নেতা নির্বাচিত হন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলে ক্যাপ্টেন এম হবেন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য মনসুর আলী সাহেব কে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের মনোনয়ন দেন। এভাবে বঙ্গবন্ধুর সেটআপ করা হয়েছিল। কিন্তু একাত্তরের এক মার্চ পূর্ব ঘোষিত জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থাপিত হলে বঙ্গবন্ধু ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম পর্ব। সাত মার্চের ঐতিহাসিক সর্বাত্মক স্বাধীনতা ঘোষণার পর শুরু হয় অসহযোগের দ্বিতীয় পর্ব। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড সুচারুরুপে পরিচালনা করে অসহযোগ আন্দোলন। 


মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তা যদি নামে দূরদর্শিতা সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। দেশ স্বাধীনের পরে কাতুরের 22 ডিসেম্বর জাতীয় চার নেতা বিজয়ীর বেশি প্রিয় মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন। আর নয় মাস চৌদ্দ দিন কারো রুদ্ধ থাকার পর পাকিস্তানের জিন্দানথানা থেকে মুক্তি হয়ে বিজয়ের পরিপূর্ণতা জাতির পিতা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। ৭২ এর ১১ জানুয়ারি তাজ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার বিষয় সহ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর সংসদীয় গণতন্ত্রের ফিরে যাবেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী হবেন বঙ্গবন্ধু সহায়ক নুরুল ইসলাম শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী যোগাযোগ মন্ত্রী এবং এ এইচএম কামরুজ্জামান সাহেব প্রান ও পুনর্বাস মন্ত্রী। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ১৪ই জানুয়ারি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হওয়ার। সেই থেকে বঙ্গবন্ধুর কাছে থেকেছি শেষ পর্যন্ত। 


বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের পরই তখন এ চারজন নেতা ছিলেন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শেখ মুজিবকে হত্যার প্রায় আড়াই মাস পরে কারাগারে হত্যা করা হয়। 

চার সিনিয়র নেতা সহ অনেকে কারাগারে এবং অনেকে আত্মগোপনে ছিলেন। বাকি নেতারা প্রকাশ্যে প্রকাশ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোস্তফা আহমেদের সাথে সমঝোতা করেন। অনেকে আবার রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। তৎকালীন রাজনীতির বিশ্লেষক এবং গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন যে হত্যা কান্ডের সাথে তেশরা নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেক মোশাররফের নেতৃত্ব পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কিত। কারণ মজিব হত্যাকারী সেনা কর্মকর্তা ভেবেছিলেন খারাপ মোশারফ নেতৃত্বে সেই অবস্থান লীগের বাকশালের পক্ষে হচ্ছিল।

★ শেষ কথা 

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জাতীয় চার নেতা সম্পর্কে জানাতে চেয়েছি। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জাতীয় চার নেতার জন্ম, পড়াশোনা, তাদের অবদান, ও মৃত্যুর সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চেয়েছি। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads