গর্ভবতী মায়েদের মাথা ব্যাথা লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার

গর্ভবতী মায়েদের মাথা ব্যাথা  লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার
গর্ভবতী মায়েদের মাথা ব্যাথা  লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার

গর্ভবতী মায়েদের মাথা ব্যাথা  লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার

আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করব গর্ভবতী মায়েদের মাথাব্যথা লক্ষণ কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। মাঝে মাঝে দেখা যায় যে মাথা ব্যাথা যদি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিলে মাথা ব্যাথা সেই সেরে যায়। আবার অনেক সময় বিশ্রাম নেওয়ার পরও মাথাব্যথা থেকে যায় সেই লক্ষণগুলো কারণ গুলো জেনে নিন। আবার কিছু সময় দেখা যায় যে গর্ভবতী মায়েদের মাথা ব্যাথা দীর্ঘ সময় ধরে হয়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা চলে যায় এই অবস্থায় খুবই বিরক্ত মনে হয় এবং খারাপ লাগে। গর্ভবতী মহিলাদের মাথা ব্যাথার কারণ এটি একটি সাধারণ লক্ষণ এবং সমস্যা গর্ভকালীন সময় মাথা ব্যাথা করবে বমি বমি ভাব হবে ইত্যাদি এসব হবে। মাথা ব্যাথা থেকে শুরু করে ঘাড় পর্যন্ত ব্যাথা হয়ে থাকে বা হতে পারে গর্ভকালীন সময়ে মাথা ব্যাথা মা ও শিশুর জন্য কোন সমস্যা নাই। গর্ভকালীন সময় মাথা ব্যাথা হতে পারে এটা স্বাভাবিক একটি সমস্যা। নিচে উল্লেখ্য করব গর্ভবতী মায়েদের মাথা ব্যাথা কারণ প্রতিকার রক্ষণ সম্পর্কে।

গর্ভবতী মায়েদের মাথা ব্যাথার কারণসমূহঃ

গর্ভকালীন সময় যদি মাথা ব্যথা হয়ে থাকে এই সময় কোন ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই এবং ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। গর্ভকালীন সময় অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে বমি বমি ভাব মাথা ব্যাথা ঘাড় ব্যাথা ক্লান্তি ক্লান্তি অনুভব ইত্যাদি গর্ভকালীন সময় এই সমস্যা গুলো। তবে এটা কি মেনে নিতে হবে। তার মধ্যে কিছু। সমস্যা জেনে নেই।

মাথা ব্যাথার কারণ সমূহঃ

ক্ষুধা,, হরমোনের পরিবর্তন,, পানি শূন্যতা ঘুম কম হওয়ার কারণে, রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকলে, শারীরিক ও মানসিক চাপ থাকলে, উচ্চ রক্তচাপ হলে, দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার মোবাইল কাজ করলে, আপনার গর্ভে বাচ্চা বড় হওয়ার আপনার ওজন বৃদ্ধির কারণে, শরীরের বৃদ্ধির ফলে চামড়া ও বেশি প্রাণ লাগল,

চিকিৎসাঃ

গর্ভকালীন সময় আপনি চাইলে মাথা ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেতে পারেন। যদি ঔষধ খেতে না চান সে ক্ষেত্রে উপরে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো মেনে চলুন মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে। আর যদি মাথা ব্যাথার ঔষধ খেতে চান তাহলে মাথা ব্যথার ওষুধ খেয়ে নেবেন।

ঔষধের বিকল্প বেশ কিছু উপায় রয়েছে সেগুলো জেনে নিনঃ

গোসল করুনঃ গর্ভকালীন সময় অনেক কিছু নিষেধ থাকে তবে আপনি যেকোনো কাজ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাজ করবেন যে আমার গর্ভকালীন অবস্থায় আপনার যদি কোন রকমের সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারে পরামর্শ নেই আর যদি মাথা ব্যথার কারণ হয় তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোসল করতে। নিষেধ যদি না থাকে গোসল করে নিন কুসুম গরম পানি দিয়ে

বিশ্রাম করুন অন্ধকার ঘরেঃ মাথা ব্যাথা দূর করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ঘর অন্ধকার করে ঘুমাতে হবে যেমন বিভিন্ন ধরনের আলো যদি থেকে থাকে সেগুলো বন্ধ করে তারপর ঘুমানোর চেষ্টা করুন অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যায়। ঘরের লাইট বন্ধ করতে হবে মোবাইল ল্যাপটপ কম্পিউটার ইত্যাদি থাকলে সেগুলো বন্ধ করতে হবে তারপর পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।

চোখের পরীক্ষাঃ গর্ভকালীন সময় মহিলাদের চোখ সুক্ষ হয়ে যায় এবং দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন করে প্রবাহিত করে তাই অব্যক্ত কোন চক্ষু চিকিৎসা হো চোখে সমস্যা গুলি থেকে মাথা ব্যাথা উপশম করতে বিকল্প প্রস্তাব দিতে পারেনি।

প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করুনঃ বিকল্প সব যত্ন যেমন মালিশ মেসেজ বা আকৃতি পোষ্ট মাথা ব্যাথা অপছন্দ করতে সহায়তা করতে পারে

মহিলা রোগ বিশেষজ্ঞ সাহায্য নিনঃ যদি আপনার মাথা ব্যাথা অতিরিক্ত হয় সে ক্ষেত্রে কোন অভিত্ত গাইনি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করান।

কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবেঃ

মাথা ব্যাথা আসলে তেমন কঠিন কোন সমস্যা নয় সাধারণ একটি সমস্যার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া যায় অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রা যদি মাথাব্যথা হয়ে থাকে যেটা সহ্য করার মতো না সে ক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিন তারপরে চিকিৎসা নিতে পারেন মূলত কথা হচ্ছে যে ইমারজেন্সি হলে সে ক্ষেত্রে আপনি তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন যদি দীর্ঘ সময় ধরে বা অনেক ঘন্টা যাবত মাথা ব্যাথা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।। এমন অবস্থায় যদি ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে গর্ভকালীন অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়া ভালো।

যে সমস্যাগুলো দেখার পর দ্রুত ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবেঃ

কি কি সমস্যা হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে সেগুলো জেনে নিন অতিরিক্ত বমি বমি ভাব চোখে ঝাপসা দেখা অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা শরীর ব্যথা শরীরের ফোলা ফোলা ভাব ইত্যাদি।যদি আপনার প্রাকৃতিক চিকিৎসা হতো কাজ না করে এবং ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ থেকে যদি আপনার মাথা ব্যাথা সূত্রপাত হয়।
শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া জ্বর হওয়া ইত্যাদি।

ঔষধ গ্রহণের পূর্বে এটি আপনার জন্য নিরাপদ কিনা তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেই।

শেষ কথাঃ

গর্ভবতী মায়েদের মাথা ব্যাথা সাধারণ একটি সমস্যা। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম শারীরিক মানসিক চাপমুক্ত টেনশন মুক্ত ইত্যাদি এসব যদি ঠিকঠাক হয় সেক্ষেত্রে মাথা ব্যাথা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে না পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়ার পর ঠিক হয়ে যায় কিন্তু গর্ভকালীন সময় একটু ভিন্ন এই সময় শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে প্রথম হচ্ছে বা তার মধ্যে হতে পারে বমি বমি ভাব চোখে ঝাপসা দেখা মাথা ঘুরানো পেটে ব্যথা শরীর দুর্বলতা ক্লান্তি অনুভব ইত্যাদি এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাই এগুলো সহ্য করার মতো নয় গর্ভকালীন সময় এমনিতেই সবকিছুতে বিরক্ত মনে হয় এবং কষ্ট লাগে যার ফলে সাধারণ যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে সেটা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনার যদি মাথাব্যথা অতিরিক্ত মাত্রই হয় ঘরে বসে না থেকে চিকিৎসা করাতে হবে। কিছু কিছু সময় দেখা যায় যে গর্ভকালীন সময়ে মাথা ব্যাথা খুবই মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায় যা পরবর্তীতে বিপদজনক হয়ে থাকে তাই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ নিবেন। মাঝে মাঝে দেখা দেয় যে মাথা ব্যাথার কারণে মা ও শিশু দুজনেরই বিপদজনক হতে পারে তাই মা ও শিশুকে ভালো রাখার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করা। একটি কথা মনে রাখবে অনেকক্ষণ বা অনেক দিন অনেক ঘন্টা পর কখনো ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না সমস্যা দেখার দেওয়া মাত্রই খুব দ্রুত চিকিৎসাতে জানাতে হবে। আজকের আলোচনাটা আলোচনা করা হয়েছে গর্ভকালীন ]সময় মাথা ব্যাথা কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads