মেট্রোরেল রচনা। বাংলা রচনা ও প্রবন্ধ

মেট্রোরেল রচনা। বাংলা রচনা ও প্রবন্ধ
মেট্রোরেল রচনা

মেট্রোরেল রচনা। বাংলা রচনা ও প্রবন্ধ  

ভুমিকাঃ একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম কারণ হচ্ছে যাতায়াত ব্যবস্থা। বর্তমানে যাতায়াত ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিটি দেশ এগিয়ে রয়েছে।সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থার দিকে প্রথমেই নজর আসে।স্কুল, প্রতিষ্ঠান, কলেজ,অফিস, আদালত থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মসংস্থানে পৌছাতে যাতায়াত ব্যবস্থার সমস্যার সমাধানের বিকল্প কিছুই নেই।কিন্তু আমাদের দেশে যানযট একটি অন্যতম সমস্যা। সেই সমস্যা থেকে রেহায় পাওয়ার একটি অন্যতম সমাধান হচ্ছে মেট্রোরেল।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নির্মিত হচ্ছের স্বপ্নের মেট্রোরেল। যেহেতু ঢাকা বিশ্বের জনবহুল মেগা সিটি গুলোর অন্যতম, সেহেতু এই শহরের ট্রফিক সমস্যা দূর করার জন্য মেট্রোরেল। 

এই প্রকল্পটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে মেট্রোরেল আগে থেকেই রয়েছে। ঢাকার যানযট কমিয়ে আনার জন্য বর্তমান সরকার ২০১২ সালে মেট্রোরেল নির্মানের উদ্দ্যেগ নেন।ঢাকাতে এখনো কোনো মাস-ট্রনজিট ব্যবস্থা নেই।তাই মেট্রোরেল প্রকল্প ঢাকাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মেট্রোরেল কী?

বর্তমান যাতায়াত ব্যবস্থায় রেলপথ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সল্প ভাড়ায় নিরাপদ যাতায়াতের জন্য বর্তমানে রেলপথ এবং ট্রেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা বহন করে।ঢাকা মেট্রোরেল ব্যবস্থাকে মাস র‍্যাপিড ট্রান্সপোর্ট।সংক্ষেপে (MRT)হিসেবে ও উল্লেখ করে রা হয়।এটা সুবিধাজনক দ্রুতগামী।স্বাচ্ছন্দ্যময় নাগরিককেন্দ্রিক যানবাহন। মেট্রোরেল একটি বিদ্যুৎচালিত পরিবহন।

দেশে দেশে মেট্রোরেলঃ

মেট্রোরেল বিশ্বের অনেক বড় শহরে গণপরিবহনের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ১৮৬৩ সালে  লন্ডনে প্রথম দ্রুত ট্রানজিট সিস্টেম চালু ব্যবহার করা হয়েছিল। যা এখন 'লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড '-এর একটি অংশ। ১৮৬৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এনওয়াইতে তার প্রথম দ্রুত ট্রানজিট রেলব্যবস্থা চালু করে এবং ১৯০৪ সালে নিউইর্য়াক সিটি সাবওয়ে প্রথমবারের জন্য খোলা হয়েছিল।এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে জাপান হলো প্রথম দেশ যেটি ১৯২৭ সালে একটি পাতাল রেলব্যবস্থা তৈরী করে।ভারত ১৯৭২ সালে কলকাতায় তার মেট্রোরেল সিস্টেম নির্মান শুরু করে। এর পরে ভারত অন্যান্য শহরেও মেট্রোরেল ব্যবস্থা তৈরী করে।বর্তমানে, বিশ্বের ৫৬ টি দেশের ১৭৮ টি শহরে ১৮০ টি পাতাল রেলব্যবস্থা চালু রয়েছে।

প্রকল্প বর্ণনাঃ

ঢাকা মহানগরী ও তার পার্শবর্তী এলাকায় যানযট নিরসনের জন্য মেট্রোরেলের সুবিধাকেই বেছে নেয়া হয়েছে।গণপরিবহনের অঅত্যাধুনিক উন্নয়নের জন্য ৬ টি মেট্রোরেল সমন্বয়ে Dhaka Mass Transit Company Limited-(DMTCL)-এর আওতায় মোট ১২৮.৭৪১ কি.মি (উরাল  ৬৭.৫৬৯ কিমি ও পাতাল ৬১.১৭২ কিমি) দীর্ঘ ও ১০৪ টি স্টেশন (উরাল ৫১ টি ও পাতাল ৫৩ টি) বিশিষ্ট  একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করার নিমিত্তে সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ গ্রহণ করেছেন।তার বিস্তারিত বর্ণনা পর্যালচনা করা হলো -

এমআরটি লাইন ১ (বিমানবন্দর যাত্রাপথঃ

২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর এমআরটি-১ নামক লাইনটির নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এমআরটি-১ প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর ও নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত মোট ৩১.২৪ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল নির্মিত হবে। এ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান সরকার দেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, বাকি ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে। এমআরটি-১ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩.৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রানজিশন লাইনসহ ৩১.২৪ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এই মেট্রোরেলের ১২টি স্টেশন থাকবে মাটির নিচে।

এমআরটি লাইন 1 (পূর্বাচল যাত্রাপথ)

নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৭ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে যার কাজ ২০২৮ সাল নাগাদ শেষ হতে পারে। এর ফলে খুব দ্রুত সময়ে প্রায় ২০ মিনিটে নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ যাওয়া যাবে। 

এমআরটি লাইন ২

২০৩০ সালের মধ্যে গাবতলী থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ জি২জি ভিত্তিতে পিপিপি পদ্ধতিতে এমআরটি লাইন-২ নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে জাপান ও বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

এমআরটি লাইন ৩

পিপিপি পদ্ধতিতে কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে ট্রাকের পাশ দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল মেট্রোরেল হিসেবে এমআরটি লাইন-৩ নির্মাণের উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন, যা শেষ করা হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।

এমআরটি লাইন ৪(উত্তর)

এমআরটি-৪নির্মাণ প্রকল্পে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা দেবে জাপান আর বাকি ১২ হাজার ১২১ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের মোট ২০ কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে আর বাকি সাড়ে ৬ কিলোমিটার হবে উড়াল পথে। এ রুটে মোট ১৪টি স্টেশন হবে, যার মধ্যে ৯টি হবে পাতাল আর ৫টি হবে উড়ালপথে।

এমআরটি লাইন ৫(দক্ষিণ)

২০৩০ সালের মধ্যে গাবতলী থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ১৭.৪০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। তার মধ্যে পাতাল ১২ দশমিক ৮০ কিলোমিটার এবং উড়াল ৪ দশমিক ৬০ কিলোমিটার।

এমআরটি লাইন ৬ঃ

এমআরটি লাইন ৬ কে ২ টি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে  তা আলোচনা করা হলো -

প্রথম পর্যায়:

এমআরটি লাইন ৬-এর মানচিত্র

প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য এমআরটি-৬ নামক ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথকে নির্ধারন করা হয়। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জাইকা দেবে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেল চালু হলে দু'দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। এমআরটি-৬ এর চূড়ান্ত রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো- উত্তরা তৃতীয় ধাপ-পল্লবী-রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে (চন্দ্রিমা উদ্যান-সংসদ ভবন) খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট-সোনারগাঁও হোটেল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। এ রুটের ১৬টি স্টেশন হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর। ট্রেন চালানোর জন্য ঘণ্টায় দরকার হবে ১৩.৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যা নেওয়া হবে জাতীয় গ্রিড থেকে। এর জন্য উত্তরা, পল্লবী, তালতলা, সোনারগাঁ ও বাংলা একাডেমি এলাকায় পাঁচটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থাকবে।

২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি-৬ প্রকল্পের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে শুরু হয় ঢাকা মেট্রোর নির্মাণকাজের সূচনা। এমআরটি-৬ এর স্টেশন ও উড়ালপথ নির্মাণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় ২০১৭ সালের ২ আগস্ট। এদিন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারের উড়ালপথ ও স্টেশন নির্মাণ শুরু হয়।

অবশেষে, এমআরটি-৬ লাইনের প্রথম পর্যায়ের দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ জনসাধারণের চলাচলের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন এবং তিনিই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম যাত্রাটি করেন। এটিই বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মেট্রোরেল, যা ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ জনসাধারণের জন্যে খুলে দেয়া হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়:

এমআরটি-৬ লাইনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল ২০২৩ সালের ৭ই জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে। আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে এবং ২০২৫ সাল নাগাদ কমলাপুর পর্যন্ত চালু হতে পারে।

মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণচুক্তিঃ

বর্তমান সরকারের মেট্রোরেল পরিকল্পনা বাস্তবয়ানের লক্ষ্য একটি বিড়াট প্রকল্পের ঋণচুক্তি গ্রহণ করেছেন। মেট্রোরেল ব্যবস্থা বাস্তবয়ানের জন্য জাপান সরকারের দাতা সংস্থা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার সংঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের ঋণচুক্তি  স্বাক্ষরিত হয়েছে। এবং ২০১২ সালের ১৮ ই ডিসেম্বর সরকারের অগ্রাধিকারমূলক মেট্রোরেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহি কমিটিতে অনুমোদন লাভ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের মেট্রোরেলের প্রয়োজনীয়তাঃ

বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির জন্য মেট্রোরেল ব্যবস্থা করা বাংলাদেশের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়। ২০০৪ সালে ঢাকা শহরে যানবাহনের গড় গতি ছিল ২১ কি.মি/ঘন্টায়।  ২০১৫ সালে এসে তা হয়েছে ৭ কি.মি ঘন্টায়।আর মানুষের হাটার গতি ঘন্টায় ৪ কি.মি।তাই বলা যায়, একটা সময় যানবাহনের গতি এমন ছিল যে, মানুষ হেটেই যানবাহনের আগেই গন্তব্যে স্থানে পৌছাতে পারবে।যদিও পরর্বতিতে সেটা হয়নি।তবে ঢাকায় উত্তরা থেকে মতিঝিল আসতে মানুষের সময় লাগত ৩/৪ ঘন্টা। ঢাকা শহরের যানযটের কারণে বছরে প্রায় ৪.৪ বিলিয়ন খরচ হয় আর প্রতিদিন মানুষের অনেক কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়।মেট্রোরেলে প্রতিবছর ২.৪ বিলিয়ন টাকা সাশ্রয় করবে।এবং উত্তরা থেকে মতিঝিল আসতে সময় লাগবে ৪০ থেকে ৪৫  মিনিট। মেট্রোরেল একই সাথে ঢাকা শহরের যানযট নিরসনে অবদান রাখবে এবং  এটা থেকে সরকারের অনেক টাকা রাজস্ব আয় সম্ভব হবে।তাই মেট্রোরেল বাংলাদেশের জন্য অনেক প্রয়োজন।

মেট্রোরেলের সুযােগ-সুবিধাঃ

সাধারণ ট্রেন সার্ভিসের থেকে মেট্রোরেলের ট্রেনে অধিকতর আধুনিক সুযােগ-সুবিধা থাকবে। এগুলাে নিচে উল্লেখ করা খহলাে-

উড়াল সড়ক: 

মূল সড়কের মাঝ বরাবর উড়াল সড়ক নির্মিত হবে ! উড়াল সড়কের উপর স্থাপিত রেললাইনের উপর দিয়ে চলবে ট্রেন। যানজট যাতে না হয়, সেভাবেই উড়াল সড়ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য : 

রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ০১ কিলােমিটার। এই দীর্ঘ রুটে ১৬টি স্টেশন থাকবে। এগুলাের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত থাকবে ৯টি স্টেশন। এগুলাে হচ্ছে উত্তরা নর্থ, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা সাউথ, পল্লবী, মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া এবং আগারগাঁওখ। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত থাকবে ৭টি স্টেশন।

এগুলাে হচ্ছে বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (টিএসসি), বাংলাদেশ সচিবালয় এবং মতিঝিল শাপলা চত্বর।

বগি ও কামরা :

প্রতিটি ট্রেনে ৬টি করে বগি থাকবে। প্রতিটি কামরা হবে সুপরিসর। সেখানে যাত্রীদের জন্য থাকবে আরামদায়ক আসন।  এছাড়া প্রতিটি কামরা হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

ট্রেন সংখ্যা ও সময় :

উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচল করবে, ১৪টি ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনে ৯৪২ খজন যাত্রী বসে এবং ৭৫৪ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে পারবে। প্রতি ০৪ মিনিট পর পর খট্রেন ছেড়ে যাবে। ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ৩২ কিলােমিটার। শেষ গন্তব্যে পৌঁছতে ট্রেনের সময় লাগবে ৩৮ মিনিট। প্রতি স্টেশনে ট্রেন অবস্থান করবে ৪০ সেকেন্ড।

যাত্রী বহন ক্ষমতা ও ভাড়া আদায় : 

মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে দুই প্রান্তের ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতেসক্ষম হবে। মেট্রোরেল ব্যবস্থায় যাত্রীদের সুবিধার্থে স্টেশনে প্রবেশের সময় মেশিনে ভাড়া সংগ্রহ করা হবে। স্বয়ংক্রিয় কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশােধ করবেন যাত্রীরা।

প্রকল্প ব্যয় ও অর্থায়নঃ

পুরাে ২০ দশমিক ০১ কিলােমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেল বাস্তবায়নে মােট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা প্রকল্পের ৮৫ গশতাংশের ব্যয় বাবদ ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা দেবে কয়েক ধাপে। বাকি ৫ গহাজার ৪ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।

মেট্রোরেল উদ্ভোদনঃ

জাইকা ও ডিএমটিসিএল ২০৩০ সালের মধ্যে  ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল স্টেশন ও ৫৩টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।

২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে এমআরটি লাইন ৬-এর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকায় মেট্রোরেল আংশিক চালু হয় এবং তিনি মেট্রোরেলের প্রথম আনুষ্ঠানিক যাত্রার অংশ ছিলেন, যা ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়।শুরুতে শুধু উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) এবং আগারগাঁও এই দুইটি স্টেশনে ট্রেন থামত, এরপর ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ পল্লবী স্টেশন খুলে দেওয়া হয়। মার্চ মাসের শেষের দিকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সব স্টেশন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মেট্রোরেলের গুরুত্বঃ

ঢাকা শহর বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী এবং যানযটের শহর হিসেবেই বিশেষ ভাবে পরিচিত। সকাল,দুপুর, বিকেল,রাত সব সময় এই শহরে যানযট লেগেই থাকে।প্রতিদিন এখানে লাখ লাখ বাস, ট্রাক,অটো রিকশা, রিকশা, সিএনজি, কার,বাইক চলাচল করে।২ /৩ ঘন্টা আগে রওনা হয়েও সঠিক সময়ে গন্তব্য স্থানে পৌছালো যায় না।রাস্তায় যানযট  বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় সমস্যা। যার ফলে প্রতিনিয়ত মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বর্তমান সরকার এর সমাধের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।তার মধ্যে ওভার ব্রিজ, উরাল সেতু,আন্ডারপাস, লিংরোড নির্মান করেছেন।কিন্তু তার পরেও যানযট সবস্যার নিরসন হয় নি।এ কারণে যাত্রীদের দাড়িয়ে থাকতে হয় বাসের অপেক্ষায়। সিএনজি, রিকশা চালকের কাছে ভাড়া বেশি চাওয়ার পরেও বাধ্য হয়েই যেতে হয় অনেক সময়। ঝড়,বৃষ্টি, হরতালের কারণে মানুষের ভোগান্তির সীমা হাকে না।এই অবস্থায় মেট্রোরেল চালু হলে সময়ের অপচয় যেমন হ্রাস পাবে তেমনি সঠিক সময়ে গন্তব্য স্থানে পৌছানো সহজ হয়ে যাবে।মেট্রোরেলের সুযোগ সুবিধা সাধারণ ট্রেন সার্ভিসের থেকে অনেক আলাদা আর উন্নত মানের হবে।

মেট্রোরেলের উপকারীতাঃ

মেট্রোরেল জাতীয় অর্থনীতি, পরিবেশ প্রভৃতিতে অবদান রয়েছে।তাছাড়া মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার খরচ কমবে এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।নিচে মেট্রোরেলের উপকারী দিক গুলো তুলে ধরা হলো -

অর্থনীতিতে অবদান:

প্রতিটি মেঘা প্রজেক্টের মুনাফা অর্জনের বানিজ্যিক দিক রয়েছে। কিন্তু সবসময় যে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব তা নয়।অনেক সময় সরকারকে ক্ষতি সম্মুখীন ও হতে হয়, এবং এর জন্য সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়।মেঘ প্রজেক্টের উদ্দেশ্যে হল বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি  দেশ ও জনগণের উন্নয়নের সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরী করা। সাশ্রয়ী মুল্যে জনগণ যেন পরিষেবা গ্রহণ করতে পারে সেটাও মেঘা প্রজেক্টের উদ্দেশ্যে। 

মেট্রোরেল প্রকল্পে সরকারের লাভ হবে নাকি লোকসান হবে তা ভাড়া নির্ধায়নের উপর নির্ভর করে। তাই দেশের অর্থ উন্নয়ন এবং ঋণ পরিশোধ করাতে হলে শুধু ভাড়ার উপর নির্ভর করলে যথেষ্ট হবে না।এ জন্য রাজস্ব তৈরির  জন্য প্রতিটি স্টেশনে ট্রানজিট সহ আরো সুযোগ সুবিধা সংযুক্ত করা হবে।যাতে করে ৩০ শতাংশ রাজস্ব  আয় সম্ভব হবে। তাই বলা যায় মেট্রোরেল সরকারের অর্থনীতি তে ব্যপকভাবে অবদান রাখবে। 

 কর্মসংস্থান সৃষ্টিঃ

মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন করার জন্য অনেক লোকবলের প্রয়োজন হবে।এগুলোর মধ্যে আছে অপারেটিং রুম,টিকিট কাউন্টার,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা,এস্কেলেটর, লিফট, প্রার্থনা বা নামাজের স্থান অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। এতে নতুন নতুন কর্মচারী নিয়গ দেয়া হবে।তাছাড়াও মেট্রোরেলের আসেপাশে ব্যক্তিগত ব্যবস্থা গড়ে উঠবে যাতে করে অনেকের কর্মসংস্থান তৈরী হবে।

দূর্ভোগ প্রশমন:

ঢাকা শহরে গণপরিবহনে অধিকাংশ মানুষ যাতায়াত করে। অনেক সময় বাস পাওয়া যায় না,তাছাড়া বাসে প্রচুর ভিড় থাকে। এবং ঠেলাঠেলি করে উঠতে হয়।ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে থাকতে হয়। তার উপর অতিরিক্ত ভাড়া ও ভোগান্তি তো আছেই।মেট্রোরেল এই দুর্ভোগ নিরশনে সহায়তা করতে সক্ষম হবে। 

ঢাকার উপর চাপ কমবে:

৪/৫ কোটি মানুষের বাসস্থান হচ্ছে ঢাকা।ঢাকার আশেপাশের অঞ্চল গুলো থেকেও  মানুষ এসে ঢাকায় বাসা নিয়ে থাকে।মেট্রোরেল হওয়ার ফলে ঐসব অঞ্চলের মানুষ এখন তাদের নিজ নিজ বাসা থেকেই প্রতিদিন এসে কর্মস্থলে অংশগ্রহণ করতে পারবে।এতে ঢাকা শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব কমবে।

যানযট দুরীকরণ:

ঢাকায় সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হচ্ছে যানযট। এবং ঢাকার জনসংখ্যা ১.৭০ কোটির বেশি লোক।আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি।তাই যানযট সমস্যা নিত্যদিনের সঙ্গি।মেট্রোরেল প্রকল্পতে  ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে বলে যানযট অনেকটা কমবে বলেই আশা করা যায়।

জনগন সহজেই যাতায়াত করতে পারবে:

ঢাকায় যানবাহনের তুলনায় জনসংখ্যা অপ্রতুল। লোকজন গণপরিবহনে ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করে।বৃদ্ধ, শিশু, প্রতিবন্ধী, নারীদের জন্য এভাবে চলাফেরা করা খুব কষ্টকর।মেট্রোরেল যথা সময়ে অনেক যাত্রায় পরিবহন করবে বলে লোকজন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারবে।

সময়ের অপচয় রোধ :

ঢাকাবাসীর সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হচ্ছে সময় মত স্কুল প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থানে সময় মতো পৌছাতে না পারা।মেট্রোরেল প্রতি স্টেশনে প্রায় ৪০ সেকেন্ড দারাবে।তাই সকলে সময় মতো গন্তব্য স্থানে পৌছাতে পারবে।

পরিবেশগত অবদানঃ

ঢাকার রাস্তায় চলমান সব যানবাহন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করে, যা পরিবেশ দূষণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। এ ছাড়া ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের উদ্যোগ চলছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ধারাবাহিকভাবে শীর্ষে রয়েছে। মেট্রো রেল রাজধানীর পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ঢাকার বায়ুদূষণ অন্যান্য মেগাসিটির তুলনায় অনেক বেশি তীব্র। যেহেতু মেট্রোরেল ‘বিদ্যুৎ চালিত’ এবং প্রতি ঘণ্টায় বেশি যাত্রী বহন করতে পারে, তাই ঢাকায় বাস ও অন্যান্য পরিবহনের মাধ্যমে যাতায়াতের প্রবণতা কমে যাবে। এতে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কমবে, যা পরিবেশের জন্য উপকারী হবে। এ ছাড়া শব্দ, শক এবং কম্পন কমাতে মেট্রো রেলে ম্যাস স্প্রিং সিস্টেম [এমএসএস] প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। শব্দদূষণ রোধে কংক্রিটের পাশের দেওয়ালও করা হবে। এ প্রযুক্তি পরিবেশের ওপর মেট্রোরেলের প্রভাব কমাবে।

মেট্রোরেলে উঠার নিয়মঃ

স্টেশনের তৃতীয় তলায় প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর আগেই কয়েকটি ধাপ আসবে যাত্রীর সামনে। প্রথমে সড়ক থেকে সিঁড়ি বা চলন্ত সিঁড়ি কিংবা এস্কেলেটরে করে যেতে হবে দোতলায়; সেটি কনকোর্স এলাকা।

কনকোর্সের কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। মেট্রোরেলের দুই ধরনের টিকিট আছে। দীর্ঘমেয়াদি টিকিট হিসেবে এমআরটি পাস নিতে হবে। একবারের যাত্রার টিকিটও কেনা যায়। দুটোই পাওয়া যাবে কাউন্টারে। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় ‘টিকিট বিক্রয় মেশিন’ থেকে সংগ্রহ করা যাবে একবারের যাত্রার টিকিট।

টিকিট কাটার পর ট্রেন ধরতে ঢুকতে হবে পেইড জোনে। সে জন্য অটোমেটেড প্রবেশ পথে নির্ধারিত জায়গায় টিকিট ছোঁয়ালে খুলে যাবে দরজা।

মেট্রোরেল ভাড়াঃ সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ভাড়া। মেট্রো রেলের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয় বলে জানিয়েছে।

দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া ৬০ টাকা,পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা,মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা,শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৫০ টাকা।

পল্লবী থেকে শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা।

মিরপুর-১০ নম্বর থেকে ফার্মগেট ৩০ টাকা

মিরপুর–১০ স্টেশন থেকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া ৫০ টাকা।

মিরপুর-১০ থেকে সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে যেতে ৬০ টাকা।

গতিশীল অর্থনীতি ও সহজ  যাতায়াতঃ

বিপুল জনসংখ্যার শহর রাজধানীতে যানযট নিরসনের জন্যই মেট্রোরেল প্রকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং সেটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।যথা সময়ে প্রকল্পের সমাপ্তিতে যাত্রী পরিবহন শুরু হলে অর্থনীতি কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।সরকার এর থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবে যা ব্যাপক ভুমিকা পালন করবে।এদিকে মেট্রোরেল মানুষের নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। এবং একটি উন্নত স্মার্ট, পরিছন্ন দেশ গড়ে উঠবে।

মেট্রোরেল কাজের অগ্রগতিঃ

ক্রমাগত এগিয়ে চলছে মেট্রোরেলের কাজ। এরই মধ্যে  চালু করেছে মেট্রো ট্রেন। ২৪টি ট্রেন সেটের মধ্যে ১২টি ঢাকার উত্তরার ডিপোতে পৌঁছেছে। এখন আরও দুটি ট্রেন সেট ডিপোতে পৌঁছানোর অপেক্ষায়। এজন্য সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে ২ জুন।সব মিলিয়ে মেট্রোরেলের কাজের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। তবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের অগ্রগতি ৯২ দশমিক ২ শতাংশ বলে জানায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএল জানায়, ২০২১ সালের ১১ মে বাংলাদেশে প্রথম বিদ্যুৎচালিত মেট্রো ট্রেন প্রদর্শন হয়। সেই সঙ্গে শুরু হয় ডিপোর ভেতরে ফাংশনাল কাজ। বর্তমানে ডিপোতে যেসব মেট্রো ট্রেন রয়েছে সেগুলোর পর্যায়ক্রমে ফাংশনাল চলছে।

এবং ধারণা করা হচ্ছে দ্রুতই এই প্রকল্পটির সমস্ত কাজ শেষ হবে।

উপসংহারঃ মেট্রোরেল বাংলাদেশের  জন্য একটি মাইলফলক। স্বপ্নের এই মেট্রোরেল দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে। ঢাকা শহরের মানুষের জন্য স্বস্তির গণ পরিবহন সংযোজন করেছে এই মেট্রোরেল। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করবে এই মেট্রোরেলে। মানুষের সময়ের যেমন সাশ্রয় হবে, তেমনি হবে অর্থের সাশ্রয়। মেট্রোরেল এদেশের সম্পদ। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সবার।

হাবিবা আফরিন

আমার নাম হবিনা আফরিন । ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি আমার শখ। sorolmanus.com আমার সেই শখ পুরণে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করছি আমার লেখার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন। সবাই আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads