দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

আসসালামু আলাইকুম আজকের আলোচনাতে রয়েছে দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে ইসলামে কি বলে। অনেক পুরুষ হয়েছেন বেশ কিছু পুরুষ রয়েছে যারা বিয়ে করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আজকের এই আলোচনা। দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ইসলামে কি বলে এই বিষয়ে অনেকে জানতে চায় তাই তাদের জন্য আজকের আলোচনা দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে ইসলামে কি বলে।

দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে ইসলামে কি বলেঃ

দ্বিতীয় বিয়ে জায়েজ করা হয়েছে ইসলামে একান্ত প্রয়োজন হলে। কিন্তু একাধিক বিয়েকে কখনোই উৎসাহিত করেনি। নেট দুনিয়ায় বর্তমান সময়ে কিছু অতি উৎসাহ মানুষ রয়েছে যারা একাধিক বিয়ে করার ব্যপারটাকে উৎসাহিত করে। রাসুল সাঃ সাহাবাদের একাধিক বিয়েকে উৎসাহিত করার ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা যা করেছিল সে কি ছিল প্রয়োজনের তাগিদে।

দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে ইসলামে কি বলে আমাদেরকে প্রথমে এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে আল্লাহ তাআলা কুরআনে দ্বিতীয় বিয়ে কে অযথাই উৎসাহিত করেনি। একাধিক স্ত্রী থাকলেই তাদের সবার মধ্যে সমতা বিধান করার স্বামীর কর্তব্য। তবে যদি কোন স্ত্রী ক্ষেত্রে কম বেশি হয় সে ক্ষেত্রে বিচারের দিন স্বামীকে জবাদিহি করতে হবে এবং তাকে শাস্তি পেতে হবে।

এ ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যদি তোমরা আশঙ্কা করো এতিমের প্রতি ইনসাফ করতে পারবে তাহলে যেসব মহিলারা তোমাদের পছন্দ হয় তাদের মধ্যে থেকে এক দুই তিন অথবা চারজনকে বিয়ে করতে পারবে। যদি তোমাদের আশঙ্কা হয় যে তোমরা তাদের মধ্যে ইনসাফ করতে পারবে না তাহলে একজনকে বিয়ে করো এসব মহিলাকে যারা তোমাদের মালিকানায় এসেছে অবিচার থেকে বাঁচার জন্য এটাই বেশি সহজ

ওহীদের যুদ্ধের সময় এই আয়াতটি নাযিল করা হয়েছে। অনেক মুসলিম ওহিদের যুদ্ধে শহীদ হন তাদের স্ত্রী ও সন্তানরাও অভিভাবক কারী হয়ে ওঠে তাদের খাদ্য আশায় পারিবারিক পরিবেশ প্রয়োজন ছিল এ কারণে তাদেরকে বিভিন্ন জনের পদার্থেরই রাখা হতো।

হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত যে এক ব্যক্তি এতিম মেয়ে ছিল। সে ব্যক্তির একটি বাগান ছিল যার মধ্যে উক্ত এতি ম বালিকাটির অংশ ছিল। সে ব্যক্তি ওই মেয়েটিকে বিয়ে করে নিল। নিজের পক্ষ থেকে দেনমোহর আদায় তো কর বাগানে মেয়েটির যে অংশ ছিল তাও সে আত্মসৎ করল এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপরের আয়াত নাজিল হয়

মুসলমানদের একাধিক বিয়ে করা ফরজ অথবা পছন্দনীয় কাজ নয়। বিশেষ কিছু অবস্থান পরিপ্রেক্ষিতে এটি আল্লাহতালা জায়েজ করেছেন এটি একটি সুযোগ মাত্র্ একাধিক বিয়ে করা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থ যুক্ত। কারণ প্রতিটি স্ত্রীকে সমান অধিকারী দেখতে হবে যদি কেউ কমবেশি অধিকার  পেয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে সেই জবাব বা সেই হিসাব স্বামীকে দিতে হবে

কোন পুরুষ স্ত্রীদের মাঝে সমতা বিধান না করতে পারে তাহলে সে পুরুষকে একটি বিবাহ সন্তুষ্ট থাকার কথা বলা করতে পারলে একাধিক বিয়ে করা হারাম একাধিক বিয়ে করলে প্রতিটি স্ত্রী সমতা বিধান করার খরচ ইসলামে দৃষ্টিকোণ থেকে একাধিক বিয়ে করাকে নিষিদ্ধ করে কিন্তু কোন সাহিত্য করেছে

ইসলামে চারটি বিয়ে করার কথা কি বলেছেনঃ

কেন ইসলামে বলেছে চারটি বিয়ে করতে হবে। ইসলামে চারটি বিয়ে করার কথা কেন বলেছে। অনেক বিধর্মী ও অনেক মহিলারা জানতে চায় ইসলামের চারটি বিয়ে করার কথা কেন বলা হয়েছে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন বিবাহ করো মহিলাদের মধ্যে হতে যাকে তোমাদের ভালো লাগে দুই তিন অথবা চারটি। আর যদি আশঙ্কা করো যে মাঝে সুবিচার করতে পারবে না,। সেক্ষেত্রে একটি বিয়ের কথা বলা হয়েছে। 

এই আয়াতে বোঝা যাচ্ছে যে যে কোন মুসলমান ইচ্ছা করলে একের অধিক বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু তাতে শর্ত হলো তাকে তার স্ত্রীদের মাঝে সুবিচার অর্থাৎ একাই রকম ভালোবাসা খাদ্য বস্তুর দিতে হবে সমান পরিমাণ দেখভাল করতে হবে।

যদি কোন ব্যক্তি একাধিক বিয়ে করতে ইচ্ছা হয় সেক্ষেত্রে তার মনে ইচ্ছে তার স্ত্রীদের মাঝে সুবিচার বা সমতা রাখতে পারবে না তাহলে একটি বিয়ে সন্তুষ্ট ত্রিভুদের মাঝে সুবিচার করার নিশ্চয় কঠিন একটি কাজ আল্লাহ মানুষকে সাবধান করে বলেছে তোমরা যতই আগ্রহ করো না কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে কখনো সক্ষম হবে না। 

উপরে আয়া থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ইসলামে চারটি বিবাহ করা বৈধ কিন্তু একটি বিবাহ করতে উপদেশ দেওয়া হয়েছে এবং বহুবিবাহ বিদিত প্রদর্শন করা হয়েছে যেমন আল্লাহ বলেছেন তোমরা এক জনের প্রতি সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকেপর না ও অপরকেও অপর স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দিও না। 

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি দুইজন স্ত্রী আছে কিন্তু তার মধ্যে একজনের দিকে ঝুলে যায় অপর ব্যক্তি কেয়ামতের দিন ওর দেহ ধসা অবস্থা ও অবদান তো হবে

দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি প্রয়োজন রয়েছে কিনা

কিছু কিছু পুরুষ রয়েছেন যারা মনে করে যে একের অধিক বিয়ে করতে হলে প্রথম স্ত্রীর অনুমতির কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু এ ধারণাটি সম্পূর্ণরূপে ভুল একের অধিক বিয়ে করতে আগে প্রথম স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন হয়েছে। যদি কেউ একের অধিক বিয়ে করতে চায় সেক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে তারপর বিয়ে করতে হবে। 

জেনে নিন প্রথম স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে কিনা

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে একের অধিক বিয়ে করাকে জায়েজ করা হয়েছে বাংলাদেশী আইনের অনুমতি নিতে হবে ১১ দিক বিয়ে করতে হলে যদি কোন পুরুষ একটি স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আবার বিয়ে করতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া তাহলে প্রথম স্ত্রী যদি মামলা করে তাহলে জেল হয়ে যাবে। কিন্তু ইসলামী আইনে প্রথম স্ত্রী অনুমতি প্রয়োজন পড়ে না কিন্তু বিয়ের সময় এমন শর্ত থাকলে অনুমতির প্রয়োজন পড়বে অবশ্যই।

শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads