বাবা দিবস কবে 2023 এবং বাবা দিবস কেন পালন করা হয়

বাবা দিবস কবে এবং বাবা দিবস কেন পালন করা হয়
বাবা দিবস কবে

বাবা দিবস কবে এবং বাবা দিবস কেন পালন করা হয় এই সম্পর্কে আমাদের আজকের আলোচনা। তাই বাবা দিবস কবে এবং কেন বাবা দিবস পালন করা হয় এটা সম্পর্কে কৌতুহল রয়েছে তারা এই পোস্টটি পড়তে পারেননি। এছাড়া বাবা দিবসের ইতিহাস কোন দেশের সর্বপ্রথম বাবা দিবস পালন করা হয়, আর বাবা দিবসের সূত্রপাত কিভাবে হলো সব কিছু সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। বাবা দিবসের এত গুরুত্ব বেড়ে চলেছে। 

বাবা দিবস কবে । বিশ্ব বাবা দিবস কবে ২০২৩

প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস পালন করা হয়। উল্লিখিত দিনক্ষণ হিসেবে এই বছর অর্থাৎ 2023 সালে বিশ্ব বাবা দিবস ২০২৩ পালন করা হবে জুন মাসের ১৮ তারিখ রোজ রবিবার। ইতিহাস বলে সর্বপ্রথম ১৯১০ সালে ১৯শে জুন বিশ্ব বাবা দিবস পালন করা হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছরই বাবা দিবস পালন হয়ে আসছে বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব বাবা দিবস পালন করা হয়। বিশ্বের প্রত্যেক দেশের বাবা দিবস পালন করা হয় আশা করছি বাবা দিবস কবে সেটা আপনারা জানতে পেরেছেন। বিশ্ব বাবা দিবস কবে সেটা আমরা জানলাম এবার এটা সম্পর্কে আরো কিছু ইতিহাস জানব। 

বিশ্ব বাবা দিবস কবে থেকে এবং কেন পালন করা হয়

জানা যায় গ্রেট গোল্ডেন ক্লেটন সর্বপ্রথম বাবা দিবসের প্রচলন শুরু করেন। সর্বপ্রথম বাবা দিবস পালনের জন্য আবেদন করেছিলেন পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ার মন্টবাসী। ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৯০৭ সালের ডিসেম্বরে ভার্জিনিয়ার মনোনগাহয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয় যেখানে প্রায় 360 জন পুরুষ মারা যায় যাদের অধিকাংশই সন্তানের বাবা ছিলেন। এর ফলে অনেক শিশু পিতৃহারা হয়ে পড়ে। আর এই বিষয়টি গ্রেস গোল্ডেন কেপিরা দেয় ফলে তিনি এই শহীদ বাবাদেরকে স্মরণ রাখার জন্য পাঁচ জুলাই রোববার ১৯০৮ সালে সর্বপ্রথম বাবা দিবস হিসেবে এই দিনকে উৎসর্গ করেন। 

আর এই বাবা দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো একজন নারীর অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে । তার মধ্যে বিশ্বব্যাপী মা দিবস পালন করা হয় কিন্তু বাবা দিবসের কোন প্রচলন নেই। যদিও ওয়াশিংটনে মা দিবসে ব্যাপক প্রচলন ছিল কিন্তু বাবা দিবসের কোন প্রচলন ছিল না। তাই ওই নারী ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাবা দিবসের দিন ধার্য করার অনুমতি চান। মূলত তিনি তার বাবাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই বাবা দিবসের সূচনা ঘটন কারণ তার বাবা তাদের মা মারা যাওয়ার পর ৬ জন সন্তানকে একাই মানুষ করেন। আর এই কারণে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই কাজটি করেন। 

১৯১৩ সালে বাবা দিবসকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ১৯১৬ সালে সে সময়কার প্রেসিডেন্ট উইড্রব উইলসন এটি অনুমোদন করেন তারও আরো পরে ১৯২৪ সালে প্রেসিডেন্ট কেলভিন ক্যুলিজ  বাবা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা দেন। 

বিশ্ব বাবা দিবস কবে এটা সর্ব সম্পর্কে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হচ্ছে প্রতি জুন মাসের তৃতীয় রোববার এটা পালন করা হবে। আর এটার প্রচলন করেন ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন। 

বাবা দিবস উপলক্ষে কি করা যায়

বিশ্ব বাবা দিবস কবে কেন বিশ্ব বাবা দেশ পালন করা এটা সম্পর্কে আমরা জানলাম এবার বিশ্ব বাবার দিবসকে কিভাবে উদযাপন করবেন সে সম্পর্কে কিছু আইডিয়া দিচ্ছি। আমাদের প্রত্যেকের কাছে আমাদের বাবা অনেক মূল্যবান। তাকে শ্রদ্ধা জানানোর অনেক কিছুই রয়েছে কিন্তু এই দিনটিকে আলাদাভাবে বাবাকে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানানোর অনেক উপায় রয়েছে। চলুন বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে বাবাকে সম্মান জানানোর জন্য যা করতে পারি সেটা জেনে নেই। 
বাবাকে বিশেষ উপহার দিতে পারেন: নিশু বাবা দিবসকে উপলক্ষ করে বাবাকে বিশেষ কিছু উপহার দিতে পারেন। বাবা কি পছন্দ করে সেটা অবশ্যই আপনি জানেন তাই সেই রকম করে তার পছন্দ মত কোন কিছু উপহার দিতে পারেন। 

বাবা দিবস উপলক্ষে ভ্রমণ: এই দিনটিকে উপলক্ষ করে বাবাকে নিয়ে পাশাপাশি বাড়ির প্রত্যেক সদস্যকে নিয়ে বিশেষ কোনো জায়গা থেকে ঘুরে আসে যেতে পারে। ভ্রমণ করলে মন ভালো থাকে তাই বিশেষ এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এবং মনকে ফ্রেশ করার জন্য ঐতিহাসিক স্থান থেকে ঘুরে আসার বিকল্প কিছু হতে পারে না। 
যাদের কারণে বাবাকে পেয়েছেন তাদের স্মরণ: যাদের কারণে আপনি আপনার বাবাকে পেয়েছেন তাদেরকে স্মরণ করতে পারেন অর্থাৎ আপনার দাদা-দাদীকে এই দিনটিতে বিশেষভাবে স্মরণ করতে পারেন এবং সেই উপলক্ষে নানান কিছুর আয়োজন করতে পারেন। এছাড়া আপনার বাবার যারা আত্মীয়-স্বজন রয়েছে তাদেরও খোঁজখবর নিতে পারেন। 

বাসায় বিশেষ কিছুর আয়োজন: বাবা দিবস উপলক্ষে বাবা দিবসের দিনটিতে বাড়িতে বিশেষ কিছুর আয়োজন করতে পারেন। বাবার জন্য বাবার পছন্দের খাবার রান্না করতে পারেন। সেই সাথে এই দিনটিতে বাবার পরিচিত বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত করে এই দিনটিকে আলাদাভাবে সেলিব্রেট করতে পারেন। 

জনকল্যাণমূলক কাজ: বাবা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য জনকল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত হতে পারেন। সমাজে অসহায় দরিদ্র মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে নিজের আত্মাকে তৃপ্তি দিতে পারেন। কারণ নিজে ভোগ করে সুখ করার চেয়ে অন্যকে সুখ দেওয়ার আনন্দ অনেক বেশি। 

বৃদ্ধাশ্রম অথবা এতিমখানায় খাবার দিতে পারেন: বাবা দিবসের এই দিনটিকে আরো বেশি আনন্দময় করে তোলার জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম হতে পারে বৃদ্ধাশ্রম অথবা এতিমখানায় খাদ্য বিতরণ অথবা সাহায্য করার। বাবা দিবসকেও সেলিব্রেট করার জন্য যদি আপনি একটি দিন বা একটি বেলা বৃদ্ধাশ্রমে এতিমখানায় খাবার খেতে পারেন সেটা তাদের জন্য বেশ আনন্দদায়ক হবে পাশাপাশি আপনার মনেও তৃপ্তি আসবে। 

বাবা দিবসের গুরুত্ব এবং তাৎপর্য: 

বাবা আমাদের প্রত্যেকের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ

শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads