হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে কিভাবে কন্ট্রোল করা যায়

রক্তচাপ বেড়ে গেলে কিভাবে কন্ট্রোল করা যায়

হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে কিভাবে কন্ট্রোল করা যায়

বর্তমান যুগে সমাজে উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগে ভুগে থাকে বেশ কিছু লোক রক্তচাপ  এসব  রোগী পরিচিত অনেকেই তবে আপনি যদি সময় মত রোগ নিয়ন্ত্রণ না করেন চিকিৎসক সঙ্গে পরামর্শ না করে চিকিৎসা করান সে ক্ষেত্রে মারাত্মক বিপদ হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাক মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ মানুষের জন্য খুবই বিপদজনক মারাত্মক একটি সমস্যা তাই এই সমস্যা থেকে বেরোনোর জন্য আপনাকে খুবই স্বাভাবিক থাকতে হবে।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাঁরা সেই সম্পর্কে অবগত থাকেনা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রায় অর্ধেক রোগী জানে না যে তারা এই রোগে ভুগছেন আবার অনেকে বুঝতে পারে না যে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে তারা বসবাস করছেন গবেষণায়  উঠে এসেছে যে এমন সব তথ্য আবার অনেকেই অজানা তথ্য নিয়ে ভুল ধারণা নিয়ে রক্তচাপে ভোগে থাকেন তাদের মারাত্মক বিপদ হতে পারে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে রক্তচাপ কখনো অবহেলা করা উচিত নয় কারণ এতে বিপরীত হতে পারে। 

 হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে কিভাবে কন্ট্রোল করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব জেনে নিন

অতিরিক্ত মাত্রায় লবণযুক্ত খাবারঃ

  • হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অবশ্য কাঁচা লবণ এবং যেকোনো লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা খুবই জরুরী আল্লাহ অনেকসময় না জেনেই অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেয়ে তারপরে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
  • লবণযুক্ত স্ন্যাকস বা নাস্তা- ইনস্ট্যান্ট নুডলস, পাস্তা, চটপটি, অতি মাত্রায় বিট লবণ ও চাট মসলা যুক্ত ফুচকা, লবণযুক্ত বাদাম, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, অন্যান্য ফাস্ট ফুডস, চিপস, কুকিস, নিমকি, চানাচুর, পপকর্ন, বিভিন্ন রকম প্রসেসড ফুড যেমন ডালপুরি, সিঙ্গারা, নাগেটস  ইত্যাদি
  • উচ্চমাত্রায় লবণযুক্ত পানীয়- বোরহানী, জিরা পানি, ঘোল, লাবাং বা মাঠা।   এছাড়াও ফল লবণ দিয়ে খাওয়া, রেডিমেড মসলা, আচার, চাটনি, মেয়োনিজ, টমেটো সস, সয়া সস, বারবিকিউ সস, সালাদ ড্রেসিং ইত্যাদি উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।

কোন প্রকার মেডিসিন ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় জেনে নিনঃ

প্রথমে আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবেঃ

 আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন বা পেটে চর্বি জমার কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যায় যার ফলে আমাদের অনেক মারাত্মক বিপদ হয় তাই শরীরের ওজন কমানো খুবই জরুরী কখনো শরীরের ওজন বাড়াতে যাবেন না প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য কোমরের মাপ যদি 40 ইঞ্চির বেশি হয় মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি কোমরের মাপ 35 ইঞ্চির বেশি হয় তবে তার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অবশ্যই থাকবে

ওয়ার্ক আউট করতে হবেঃ

শরীর সুস্থ রাখার জন্য শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর জন্য এবং পেটের চর্বি কমানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে ব্যায়াম আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যায়াম করা খুবই জরুরী ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারবেন অবশ্যই তাই নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন ।
প্রতিদিন নিয়মমতো 30 মিনিট হালকা ব্যায়াম করতে হবে অথবা 30 মিনিট হাঁটতে হবে এক্সারসাইজ , যোগী সাঁতার কাটা ইত্যাদি এই রকম ব্যায়াম আপনি করতে পারেন আপনার শরীর সুস্থ রাখার জন্য এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বসে ব্যায়াম করা খুবই জরুরী

হেলদি ডায়েট চার্টঃ

 উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে যেমন শাকসবজি ফলমূল শস্য জাতীয় খাবার বিভিন্ন ধরনের সব ইত্যাদি।  শরীরে উচ্চ রক্তচাপ ন নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে হেলদি খাবার খেতে হবে প্রতিদিনের খাবার তালিকা  অবশ্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবার খাওয়ার নিয়ম করে ফেলুন অবশ্যই আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

ডার্ক চকলেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিনা

উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কাঁচা লবণ এড়িয়ে চলতে হবেঃ

 কাঁচা লবণ রয়েছে সোডিয়াম এজন্য অবশ্যই উচ্চরক্তচাপ থাকলে এবং পেশার অতিরিক্ত হলে কাঁচা লবণ কে এড়িয়ে চলুন কাঁচা লবণ আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক তাই কাঁচা লবণ উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য একেবারে নিষেধ করা হয়েছে।  একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ 1 চা-চামচ আয়োডিনযুক্ত লবণ খেতে পারবে সারাদিনের সব খাবার মিলিয়ে। 

অ্যালকোহল ও  ধূমপানঃ

আমাদের মধ্যে অনেকেই এমন কিছু লোক রয়েছেন যারা ধূমপান মদ পান অ্যালকোহল ইত্যাদি এসব খেয়ে থাকেন এই বাজে নেশা আপনার জীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে তাই এই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকুন উচ্চ রক্তচাপ যাদের রয়েছে হাইপেশার যাদের রয়েছে তারা ধূমপান মদ্যপান ইত্যাদি এসব থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে এই বাজে নেশা গুলো আপনাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে তাই এগুলো থেকে বিরত থাকুন

টেনশন থেকে মুক্ত রাখুন নিজেকেঃ

উচ্চ রক্তচাপ হাই ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি  এইরকম যত ধরনের বড় বড় সমস্যা গুলো রয়েছে তাদেরকে আমি অবশ্যই বলব যে আপনারা মানসিক চাপ চিন্তা অহেতুক টেনশন এসব থেকে বিরত থাকো। যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং হাই ব্লাড প্রেসার রয়েছে তাদের অবশ্যই হাসিখুশি থাকতে হবে দুশ্চিন্তা টেনশন মানসিক চাপ এগুলো আপনাকে আরো বিপদে ফেলে দিতে পারে এজন্য অবশ্যই এসব থেকে বিরত থাকুন।

ঘুমের সমস্যা হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুনঃ

উচ্চ রক্তচাপ হাই ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি আপনি  এসব যদি ভালো রাখতে চান অবশ্যই আপনাকে সময় মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ।   প্রতিদিন ঘুমানোর নিয়ম আধঘন্টা আধঘন্টা আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে পারলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকবে অবশ্যই।

 বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা মানসিক চাপ টেনশন অতিরিক্ত চিন্তার কারণে আমাদের ঘুমের অনেক ঘাটতি হতে পারে কিন্তু অবশ্যই যখন আমরা ঘুমাতে যাব ওই মুহূর্তে অন্য কিছু না ভেবে ঘুমানোর অতিরিক্ত চিন্তার কারণে আমাদের ঘুমের অনেক ঘাটতি হতে পারে কিন্তু অবশ্যই যখন আমরা ঘুমাতে যাব ওই মুহূর্তে অন্য কিছু না ভেবে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেওয়া অতিরিক্ত চিন্তার কারণে আমাদের ঘুমের অনেক ঘাটতি হতে পারে কিন্তু অবশ্যই যখন আমরা ঘুমাতে যাব ওই মুহূর্তে অন্য কিছু না ভেবে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেওয়া উত্তম। 

গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন

প্রতিদিন নিয়মিত রক্তচাপ মনিটর করতে পারেনঃ

উচ্চ রক্তচাপ হাই ব্লাড প্রেসার রোগীদের কে অবশ্যই নিয়ম মত মনিটর করতে হবে।  শারীরিক অসুস্থতা দ্রুত চেকআপ করানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ঘরে বসে থাকা যাবে না যত দ্রুত পারেন শারীরিক অসুস্থতা দ্রুত চেকআপ করানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ঘরে বসে থাকা যাবেনা যত দ্রুত পারেন মনিটর করতে হবে । 

এই সমস্যাগুলো হলে আপনাকে ভুলে গেলে চলবে না সবসময় মনে রাখতে হবে কারণ উচ্চ রক্তচাপ এবং হাই প্রেসারের রোগীদের নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকা লাগে তাই অবশ্যই সময়মতো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে ।

যদি হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় তার করণীয় কি জেনে নিনঃ

  •  মাথায় বরফ বা পানি দিয়ে সামরিক উপশম  মাথায় বরফ বা পানি দিয়ে সামরিক উপশম করতে হবে এসব রোগীদের কে অবশ্যই দুশ্চিন্তা টেনশন মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকতে হবে
  •  অতিরিক্ত মাত্রায় যদি উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে কিছুক্ষন শুয়ে থাকার অভ্যাস করুন
  •  হাই ব্লাড প্রেসার উচ্চ রক্তচাপ যদি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টেনশন বাড়িয়ে না যে স্বাভাবিক অবস্থায় চলাফেরা করুন
  •  আপনি প্রতিদিন পেশারের ওষুধ খেয়ে থাকেন সেই ঔষধ খাওয়ার চেষ্টা করুন
  •  সুস্থ ব্যক্তিদের যদি হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপ এবং হাই ব্লাড প্রেসার হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন
  •  হাই ব্লাড প্রেসার ভালো রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
  •  এডমিট চিংড়ি উচ্চমাত্রার লবণ এমন খাবার থেকে বিরত থাকুন

 তেতুল পানি কি হাই ব্লাড প্রেসার কমিয়ে দিতে পারেঃ

অনেকে প্রেশার বাড়লে তেঁতুলের শরবত খায়, চিকিৎসা শাস্ত্রে এই নিয়ে কোনো নীতিমালা নেই। তবে তেঁতুলে থাকা অ্যাসিড রক্তকে কিছুটা লঘু করে এবং এতে ব্লাড প্রেশার কমে। তেঁতুলে পটাশিয়াম থাকায় তা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনতে কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এটা কোনো স্থায়ী সমাধান দেয় না, তাই চিকিৎসকের পরামর্শে যথাযথভাবে মেডিসিন নিতে হবে। 

 হুট করেই রক্তচাপ বেড়ে গেলে কী কী করা উচিত, সেগুলো আমাদের জানা হয়ে গেলো। জীবনধারায় কিছু স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনলে সেটা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। এছাড়া ইতোমধ্যে উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। বিভিন্ন রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে। আপনার জন্য কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে উপযুক্ত তা জানতে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোতে আলোচনা করা হয়েছে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেলে কিভাবে সেটা কন্ট্রোল রাখা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে সকলের মনোযোগ দিয়ে আমাদের পোস্ট এর সঙ্গে থেকে নিয়মমতো হাই ব্লাড প্রেসার ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করুন।


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads