সাধারণ সিম এবং ইসিমের মধ্যে পার্থক্য কি

সাধারণ সিম এবং এই সিমের মধ্যে পার্থক্য কি
 সাধারণ সিম এবং এই সিমের মধ্যে পার্থক্য কি

সাধারণ সিম এবং এই সিমের মধ্যে পার্থক্য কি। আজকের পোষ্টে আমরা এ ব্যাপারে সম্পর্কে জানব যে ই-সিম কি এবং এর সঙ্গে সাধারণ সিম এর পার্থক্য কি। 

সিম কার্ড সম্পর্কে মোটামুটি আমরা সবাই জানি যে এটি ছাড়া একটি মোবাইল অচল। সিম কার্ডের সঙ্গে মোবাইল ব্যবহারকারীদের পরিচয় হয়েছে শুরু থেকে। তাই নতুন করে আপনাকে সিমকার্ড কি সে সম্পর্কে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে নতুন একটি প্রযুক্তি ইলম সম্পর্কে কিছু বলা আছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে দিন দিন নতুন নতুন উদ্ভাবনের সম্মুখীন হচ্ছে আমরা সাধারন মানুষেরা। তেমনি নতুন একটি প্রযুক্তির সাথে আমরা পরিচিত হতে চাই আর সেটা হচ্ছে ইসিম। 

e-sim এমন একটি প্রযুক্তির যেটার মাধ্যমে মোবাইলকে নেটওয়ার্কের সঙ্গে কানেকশন করানোর জন্য ফিজিক্যাল সিম কার্ড এর প্রয়োজন হয় না। যেমনিভাবে একটি মোবাইলের সঙ্গে একটি ইয়ারফোন কানেকশন করানোর জন্য বর্তমানে 3.5 জ্যাক এর প্রয়োজন হয় না। কারণ ওয়ারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমেই হেডফোন কে মোবাইলের সঙ্গে সংযুক্ত করা যাচ্ছে। ফলে এখানে 3.5 জ্যাক এর প্রয়োজন হচ্ছে না ঠিক তেমনিভাবে মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন অথবা নেটওয়ার্ক কানেকশন সচল রাখার জন্য সিম কার্ডের প্রয়োজন ছাড়াই করা যাচ্ছে। 

আগে জানবো সিম কার্ড কিভাবে কাজ করে?

একটি সিমকার্ড ছাড়া একটি মোবাইল অচল এটা আমরা মোটামুটি সবাই জানি। একটা মোবাইল চালানোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যোগাযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করা কিন্তু যদি সেই ফোনটাতে সিম কার্ড না থাকে তাহলে সেই ফোনের মূল কাজ তাই ব্যাহত হয়। অর্থাৎ মোবাইলের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি হচ্ছে সিম কার্ড। একটি সিমকার্ড সাধারণত ছোট্ট একটা ডিভাইস যেটাতে একটা নির্দিষ্ট হচ্ছে লাগানো থাকে এবং সেই চিপ এর মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট অথবা তার তথ্য থাকে যেই তথ্যের মাধ্যমে সিম কার্ড মোবাইলে নেটওয়ার্ক সচল করে। 

শুধুমাত্র মোবাইলের নেটওয়ার্ক সচল করা নয় বরং এছাড়াও আরো অনেক কাজ রয়েছে একটা সিম কার্ডের মধ্যে। নেটওয়ার্ক সচল করার পাশাপাশি আপনি যেই কোম্পানির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন সেই কোম্পানি জানতে পারছে যে আপনি তাদের একটি গ্রাহক। 

অর্থাৎ নেটওয়ার্ক সাপ্লাই কারী প্রতিষ্ঠানগুলো সিম কার্ডের মধ্যে এমন কিছু তথ্য ইন্সটল করে দেয় যেটার কারনে সেই সিম কার্ড দিয়ে আমরা শুধুমাত্র সেই কোম্পানির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারি। দেখুন ব্যাপারটা এমন যে আমরা যখন একটা সিম কার্ড কিনে ধরুন রবি সিম কার্ড কিনলাম তাহলে সেই সিম কার্ড দিয়ে শুধুমাত্র রবি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারব। এটার মানে হচ্ছে একটা সিম কার্ডের মধ্যে নির্দিষ্ট কম্পানির নির্দিষ্ট তথ্য সংযুক্ত করা থাকে ফলে আমরা চাইলেই এই কোম্পানির বাইরে অন্য কোম্পানির সিম ব্যবহার করতে পারছিনা। 

তাই আমরা বলতে পারি একটা সিম কার্ডে যে তথ্য থাকে সেটার মাধ্যমে আমরা নেটওয়ার্ক সচল করতে পারছি পাশাপাশি যে কোম্পানির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে তারাও বুঝতে পারছেন যে আমরা তাদের গ্রাহক। যদিও বর্তমানে এক কোম্পানির সিম মোবাইলে সংযুক্ত করে অন্য কোম্পানির নেটওয়ার্ক চালু করার সুবিধা চালু হয়েছে। 

প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনের বিষয়ে চিন্তা করলে সবকিছুই সম্ভব মনে হয়। এখন একটা মোবাইলে নেটওয়ার্ক সচল করার জন্য ফিজিক্যাল সিম কার্ডের প্রয়োজন হচ্ছে না। অর্থাৎ একটা সিম কার্ডের চিপ এর মধ্যে যে তথ্যগুলো দেওয়া থাকে বর্তমান আবিষ্কৃত প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই তথ্যগুলো ডিজিটালি একটা মোবাইলে ইন্সটল করা সম্ভব। ফলে এখন থেকে আর মোবাইলে নেটওয়ার্ক সচল করার জন্য আলাদা ফিজিক্যাল সিমকার্ডে প্রয়োজন হচ্ছে না। আর সেই আবিষ্কৃত প্রযুক্তিটির নাম হচ্ছে ই-সিম। 

সাধারন সিম এবং ইসিমের পার্থক্য

এস এম এবং সাধারন সিমের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই দুটোর কাজ একই রকম। এই সিমের মাধ্যমে মোবাইলের নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার জন্য ডিজিটাল ইন্সটল করা যায় কিন্তু সাধারন সিমের মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট সিম কার্ড এবং কোথাকার ছিপের তথ্যগুলো মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সংযুক্ত হয়। 

একটি nano-sim আকারে ছোট হলেও ইসিম তার চেয়েও ছোট। e-sim সাধারণত একটা মোবাইলের মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে। 

একটি সাধারণ সিম পরিবর্তন করার জন্য সিম খুলে সিম লাগাতে হয় কিন্তু এই সিমে এমন টা করতে হয় না। আপনি যে যেই অপারেটরের সিম ব্যাবহার করতে চাচ্ছেন সেই সেই অপারেটরে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিলেই হয়। 
সাধারণ সিম কার্ড মোবাইলে প্লাগিন করলেই কাজ করে কিন্তু ই-সিম সংযুক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট কিউ আর কোড এর প্রয়োজন হয়। 

বর্তমানে সিংহভাগ মোবাইলের ইসিম সাপোর্ট করেনা কিন্তু সাধারণ সিম দিয়ে চালানো যায়। কিছু দামী এবং প্রিমিয়াম স্মার্টফোনেই বর্তমানে সিম ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। যেমন পিক্সেল সিরিজ আইফোন স্যামসাংয়ের এস সিরিজের ফোনগুলোতে সিম ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। 

বাংলাদেশি ইসিম এর প্রচলন

বাংলাদেশ গ্রামীনফোন কোম্পানির মাধ্যমে ইসিম এর প্রচলন শুরু হয়। যেহেতু এখনও পর্যন্ত লো বাজেটের স্মার্টফোন অথবা মিদ লেভেল স্মার্টফোনগুলোতে এর প্রচলন শুরু হয়নি তাই এখনও বাংলাদেশ এভাবে ইসিমের প্রসার ঘটেনি। যদিও বিষয়টি এখনও সকলের কাছে নতুন তবে কিছুদিনের মধ্যেই এটা খুব সাধারন ব্যাপার হয়ে যাবে। 

এস এম এর ফলে অনেকগুলো সুবিধাও রয়েছে। এটা যে শুধুমাত্র ফিজিক্যাল নন ফিজিক্যাল এমনটা নয় এর বাইরেও আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। একটা মোবাইল চুরি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। নিরাপত্তাজনিত সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এলেক্ট্রিক বর্জ্য থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। একটি ফিজিক্যাল সিম নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু ইসির নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। এধরনের আরো অনেক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ইসিম ধীরে ধীরে সকলের কাছে পরিচিত হচ্ছে। 

শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads