গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন

গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন

গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন

আমাদের আজকের আর্টিকেল এর বিষয়টি হলো গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে।  তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আমরা আজকে আর্টিকেল গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে। 

একজন গর্ভবতী মা

একটা মেয়ে গর্ভবতী হবে এর থেকে সুখের সংবাদ আর অন্য কিছু নয়।  আমাদের সবার আগেই বুঝতে হবে গর্ভবতী হওয়ার আগে ওই মহিলাটা একটা মানুষ।  তাই গর্ভ অবস্থায় তার ভালো লাগা না ভালোলাগা সবকিছুই আমাদের আশেপাশের মানুষের খেয়াল রাখতে হবে। তার কোন বিপদ হচ্ছে কিনা বা শরীরে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা।  এই সকল বিষয় আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।  তাই আজকে আমরা জানবো গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে।  আর দেরি না করে আমাদের আজকের আর্টিকেল গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন শুরু করা যাক 

একজন নারীর গর্ভবস্থা

গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানতে হবে গর্ভাবস্থা সম্পর্কে। গর্ভবস্থা হলো অন্য যে কোন সময় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি সময়।  এই সময় একটা সুস্থ সন্তান জন্মদানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।  আর এই সময় গর্ভবতী মায়ের দিকে সব সময় খেয়াল রাখতে হয়।  কারণ মায়ের সাথে সন্তানের সবকিছু সংযুক্ত থাকে।  কেননা শিশুর খাদ্য, দৈহিক বৃদ্ধির উপাদান, শক্তি, প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি সন্তান তার মায়ের কাছ থেকে পেয়ে থাকে। আর গর্ব অবস্থায় যদি মায়ের যত্নে ত্রুটি হয় তাহলে সন্তানের জন্মদানের ঝুঁকি সৃষ্টি হবে।  তাই গর্ভবতী মায়ের সুবিধা-অসুবিধা বিপদ চিহ্ন ইত্যাদির দিকে সব সময় নজর রাখতে হবে।  আমাদের দেশে মা ও শিশু মৃত্যুর হার সবথেকে বেশি।  যদিও আগের তুলনায় এখন অনেকটা কমে গেছে।  এবং আমরা যদি এই ধারা বজায় রাখতে চাই তাহলে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।  এবং একজন মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো সবার জানা উচিত।  সেই জন্য আমরা গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। 

গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন

এখন আমরা জানবো গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে। গর্ভবতী মায়ের কিছু বিপদ চিহ্ন থাকে সেগুলো সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ।  এখন আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে আলোচনা করব।  এবং এর পাশাপাশি আরও কিছু বিপদ চিহ্ন সম্পর্কেও আলোচনা করব। 

অ্যালোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

চোখে ঝাপসা দেখা এবং তীব্র মাথাব্যথা

গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন এর মধ্যে অন্যতম একটি চিহ্ন হল চোখে ঝাপসা দেখা এবং তীব্র মাথাব্যথা করা।  অনেক সময় দেখা যায় গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পরে অনেক গর্ভবতী মায়ের শরীরে পানি জমতে থাকে।  আর ঠিক এই সময় যদি প্রচুর মাথা ব্যাথা হয় কিংবা চোখে ঝাপসা দেখে তাহলে এটিও একটি বিপদের লক্ষণ।  অবশ্যই মায়েদের এই ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।  আপনি যদি আপনার মধ্যে তীব্র মাথা ব্যথা কিংবা চোখে ঝাপসা দেখেন তাহলে সাথে সাথে কাউকে জানাবেন।  এবং সাথে কাউকে নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।  এবং চিকিৎসক আপনাকে যেই ভাবে চলতে বলবে আপনি ঠিক সেইভাবেই চলবেন।  এই চিহ্ন টা দেখার পরে কোনরকম দেরি না করেই চিকিৎসকের কাছে চলে যাবেন। 

জ্বর

জ্বর হলে গর্ভবতী মায়ের বিপদ চিহ্ন এর মধ্যে অন্যতম। কেরালা গর্ভ অবস্থায় যদি প্রচন্ড জ্বর বা প্রসবের পর তিনদিন পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া খুবই খারাপ লক্ষণ।  কেননা অতিরিক্ত জ্বর ও প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া মূত্রনালীর সংক্রমণ লক্ষণ হয়ে দাঁড়ায়।  আপনি যদি আপনার মধ্যে এই ধরনের লক্ষণ দেখতে পারেন।  তাহলে কোন রকম দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।  এবং চিকিৎসককে সবকিছু সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনার চিকিৎসা শুরু করুন। কেননা এইসকল লক্ষণগুলো দেখে আপনি কখনোই বাসায় বসে দেরি করবেন না। 

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

খিচুনি 

গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন এর মধ্যে একটি হলো খিচুনি।  গর্ভকালীন সময়ে বা প্রসবের সময় খিঁচুনি খুবই খারাপ একটি লক্ষণ।  মূলত খিঁচুনি হলে একলামশিয়া রোগের উপসর্গ।  আর গর্ভবতী অবস্থায় একলামশিয়া রোগ গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আর গর্ভাবস্থায় হঠাৎ খিঁচুনি ওঠা মা ও শিশু উভয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর গর্ভবতী মায়ের মধ্যে যদি খিচুনির লক্ষণ দেখা দেয় তবে কোনরকম দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিন।  আপনি যদি এরূপ লক্ষণ দেখে বাসায় কোনরকম দেরি করেন তাহলে এই দেরী মা ও শিশুর মৃত্যুর সংকেত বয়ে নিয়ে আসবে।  কেননা গর্ভবস্থায় খিঁচুনি হলে বা কিংবা শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়।  অথবা এই খিচুনির কারনে দুই জনের মৃত্যুর সম্ভাবনা দেখা দেয়।  তাই খিচুনির লক্ষণ দেখলে দ্রুত তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যান এবং চিকিৎসা শুরু করুন। 

হঠাৎ রক্তপাত

গর্ভবতী মায়ের বিপদ চিহ্ন এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো হঠাৎ রক্তপাত। কেননা সন্তান প্রসবের সময় স্বাভাবিক ভাবেই অনেক রক্তপাত হয়ে থাকে। কিন্তু এর আগেই যদি গর্ভাবস্থায় কোন সময় রক্তপাত শুরু হয় সেটি অবশ্যই ভয়ের কারণ।  তাছাড়াও অনেকে প্রসবের সময় স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি রক্তপাত হয়ে থাকে।  এবং এর ফলে গর্ভফুল না পড়া আর একটি বিপদের লক্ষণ। এসকল জটিলতা মূলত রক্ত জমাট বাঁধতে দেরি হওয়ার কারণে হয়ে থাকে।  তাই বলা যায় যে সন্তান প্রসবের আগে গর্ভবতী মায়ের রক্ত সংক্রান্ত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে হয়। এছাড়া সন্তান যদি গর্ভে থাকে এবং সে অবস্থায় যদি অতিরিক্ত রক্তপাত হয় তাহলে সেটা সন্তানের জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। আপনি যদি আপনার মধ্যে হঠাৎ রক্তপাত কিংবা অতিরিক্ত রক্তপাতের মতো বিপদ চিহ্ন গুলো দেখেন তাহলে কোন রকম দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। কেননা এ রক্তপাতের ফলে আপনার শরীরে রক্তের পরিমাণ অনেকটা কমে যেতে পারে।  এবং আপনার যদি প্রসবের আগে এত পরিমান রক্তপাত হয় তাহলে প্রসবকালীন সময়ে আপনার রক্তপাত হলে রক্তের সংকট দেখা দিতে পারে। তাই এই ধরনের বিপদ চিহ্ন গুলো দেখে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান এবং পরামর্শ গ্রহণ করুন। 

স্থায়ীভাবে লিঙ্গ বড় করার উপায়

প্রসবের সময় লাগা

প্রসবের সময় লাগা গর্ভবতী মায়ের বিপদ চিহ্ন এর মধ্যে অন্যতম একটি। ক্যামেরা সন্তান প্রসবের আগে স্বাভাবিকভাবে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়।  এবং এই ব্যাথাটা শুরু হয় আপনার মাজা থেকে এবং তলপেট থেকে। আর এই প্রসবব্যথা 12 ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হওয়া মোটেও স্বাভাবিক নয়। এছাড়া প্রসবের সময় বাচ্চার মাথা আগে না বের হয়ে যদি অন্য কোন অঙ্গ আগে বের হয় তাহলে এটা সবথেকে বড় ঝুঁকির কারণ।  কেননা নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য অবশ্যই বাচ্চার মাথা আগে বের হতে হবে।  

আর যদি বাচ্চার মাথা আগে বের না হয় তাহলে এটা কোন ভাবেই নরমালে ডেলিভারি করা সম্ভব না। এছাড়া প্রসবের ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে এটা মা এবং শিশুর জন্য যুগের কারণ।  কেননা ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার ফলে মা এবং শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে।  তাই এরূপ কোন সমস্যা দেখলে অবশ্যই দ্রুত তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।  এবং চিকিৎসকের উপদেশ অনুযায়ী চলুন।  আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ মনে করে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য একটু সময় লাগে কিংবা ব্যথা বেশি হয় বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা।  কিন্তু একটি কথা সব সময় মাথায় রাখবেন প্রসব ব্যথা 12 ঘণ্টার বেশি যদি হয় তাহলে এটা কখনোই স্বাভাবিক নয় ঝুঁকিপূর্ণ একটি কারণ। এই অবস্থায় গর্ভবতী মাকে বাসায় বসে না রেখে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করুন।  

স্বাভাবিক কিছু বিপদ চিহ্ন

একজন গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের বিপদ হয়ে থাকে।  যেমন তলপেটে ব্যথা, তলপেটে ব্যথা খুব মারাত্মক বিপদ চিহ্ন না।  কিন্তু তবুও এটা পরবর্তীতে বড় ধরনের বিপদের কারণ হতে পারে।  আবার দেখা যায় অনেক সময় গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস এর সূচনা হয়।  কিন্তু এটা শুধু গর্ভকালীন সময়ের জন্য হয়ে থাকে। তাই এই ডায়াবেটিস খুব একটা মারাত্মক বিষয় না হলেও পরবর্তীতে বিপদের কারণ হতে পারে।  তাই এ সকল বিষয় থেকে সাবধানতা অবলম্বন করবেন। 

আমাদের আজকের আর্টিকেল এ বিষয়টি ছিল গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে।  আশা করি আপনারা সকলেই বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে।  আপনাকে আমাদের আজকের গর্ভবতী মায়ের পাঁচটি বিপদ চিহ্ন আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার জন্য ধন্যবাদ


Md.Mahmud

আমার নাম মোঃ মাহমুদুল হাসান বাবু । আমি পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি। এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি । আমি বিজ্ঞান এবং টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি । আমি আমার কাজের ফাঁকে ফ্রিল্যান্সিং ব্লগে লেখালেখি করি। 01921822498

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads