ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে

ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে

ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে

বাচ্চা পেটের কোন দিকে থাকে, ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে নড়ে? নাভি কেমন হলে ছেলে হয়, বেবি বাম্প যদি নিচের দিকে ঝুলে থাকে তাহলে ছেলে হবে বলে মনে করা হয়   ।অন্যদিকে মেয়ে সন্তান থাকলে বেবি বাম থাকে পেটের মাঝামাঝি জায়গায় উঁচু হয় বেশি।

ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে বা নড়ে

আমরা যদি বিষ পূর্বের কথা চিন্তা করি তাহলে দেখা যাবে তখনকার সময়ে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছিল না তেমন। তাই গর্ভবতী নারীরা জানতে পারেনি তাদের পেটের ছেলে সন্তান নাকি মেয়ে সন্তান।

এটির জন্য ওই সময় থেকেই মানুষের জল্পনা-কল্পনা যে কিভাবে জানা যায়, অনেক  দিনের এই জানার প্রচেষ্টা ফলে তারা সক্ষম হয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে কিছু বিশেষ লক্ষ্যে দেখে চিহ্নিত করা যায়  ভ্রুন টি ছেলে সন্তান নাকি মেয়ে সন্তান। আজকে আমরা জানবো কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনার গর্ভের বাচ্চা ছেলে শিশু।

চলুন আমরা জেনে নেই আজকের আর্টিকেলটি ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে সেই সম্পর্কে। সংক্ষেপে বলতে গেলে ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে বলতে গেলে বাম যদি নিজের দিকে ঝুলে থাকে তাহলে ছেলে বলে মনে করা হয়। বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।

গর্ভবতী নারীর   নিচু  পেট হলে

অনেকে মনে করে থাকেন যে গর্ভবতী নারীর পেট যদি নিচু হয়ে থাকে মনে খুব বেশি উঁচু না দেখায় তাহলে ছেলে সন্তান হবে। এটি একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা আসলে দ্বিতীয় বা তৃতীয় গর্ভবতী হলে তখন সেই নারীর পেট প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার চেয়ে উঁচু হতে পারে। অধিকাংশ মহিলাদের এমনি দেখা যায় এটি দিয়ে লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায় না।

গর্ভ অবস্থায় যদি পেটের সন্তান একটু নিচের দিকে থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার পুত্র সন্তান হবে। ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে একটি জানতে হলে আরো বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল। তাই আমাদের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ছেলে শিশু যখন ধরে তখন বেশি লাথি মারে

ছেলে শিশুর মায়ের পেট থেকেই ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে পৃথিবীতে, মায়ের পেটে খুব জোরে লাথি মারে এবং খুব বেশি লাথি মারতে থাকে এ লাথি মারার গতি থেকে মায়েরা  বলে দিতে পারে শিশুটি ছেলে নাকি মেয়ে শিশু।

শিশুর নড়াচড়া যদি তাড়াতাড়ি শুরু হয়

যদি গর্ভের শিশু থাকে তাহলে 16 থেকে 20 সপ্তাহের মধ্যে নড়াচড়া শুরু করে। সাধারণ মেয়ে শিশুর তুলনায় অনেক আগেই নড়াচড়া করতে শুরু করে ছেলে সন্তান রা। এই নড়াচড়া ধরন থেকে মায়েরা বুঝতে পারে যে গর্ভে তাদের পুত্র সন্তান রয়েছে।

বাচ্চা যদি খুব ছটফটে হয়

মেয়ে শিশুকে অনেকেই মনে করে এরা ছেলে শিশুর থেকেও বেশি শক্তিশালী, এই তথ্যটি বৈজ্ঞানিকদের মতে প্রমাণিত যে ছেলে শিশুর তুলনায় মেয়ে শিশুর অনেক বেশি শক্তিশালী। মেয়েদের ব্রুনেই যেহেতু এক্স এক্স ক্রোমোজোম থাকে তাই ছেলে থেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। এর ফলে মেয়ে শিশু গর্ভে অনেক বেশি নড়াচড়া করে। আধাঘন্টা যদি তিন বার ভ্রূণের আন্দোলন হয় তাহলে সেটাকে স্বাভাবিক মনে করা হয়। তবে এর থেকে বেশি নড়াচড়া করলে বুঝতে হবে মেয়ে সন্তান হবে।

ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয়

1981 সাল থেকে 2011 সাল পর্যন্ত 5 লক্ষ 74  000 হাজার এর বেশি অস্ট্রেলিয়ান বাচ্চার জন্ম গ্রহণ  পরীক্ষা করার পরের ডক্টর বলেন মেয়ে সন্তানের তুলনায় ছেলে সন্তানের অপরিণত অবস্থায় জন্ম হবার সম্ভাবনা বেশি দেখেছেন।

ছেলে সন্তান 20 থেকে 24 সপ্তাহের মধ্যে জন্মগ্রহণ করার সম্ভাবনা। 27 ভাগ বেশি থাকে এছাড়াও 30 থেকে 33 সপ্তাহের জন্মগ্রহণ করার ঝুঁকি 24 শতাংশ বেশি থাকে। এবং 34 থেকে 36 সপ্তাহের সম্ভাবনা শতভাগ বেশি হয়ে থাকে।ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ অনেক রয়েছে। তার  মধ্যে কিছু লক্ষণ নিচে দেওয়া হল:-

লবণাক্ত  এবং টক জাতীয় খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা

গর্ভবতী মায়েদের কিছু মিনারেলসের ঘাটতির কারণে অদ্ভুত অদ্ভুত খাবার খাওয়ার আশংকা বেশি থাকে। এই বিভিন্ন জিনিস খাওয়ার ইচ্ছে ভিতর বাচ্চা লিঙ্গের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে গর্ভে কন্যা সন্তান থাকলে মিষ্টি খাবার খেতে বেশি ইচ্ছে করে। মিষ্টি খাবারের পরিবর্তে টক জাতীয় লবণ পুত্রসন্তানের পুত্র সন্তান হবে বলে মনে করা হয়। লবণাক্ত এবং জাতীয় খাবার খেলেই যে ছেলে সন্তান হবে তা কিন্তু নিশ্চিত নয়, এগুলো আমাদের দেশের বুড়ো মা চাচীরা মনে করে থাকেন।

ত্বকে ব্রণ ও তৈলাক্ত

যদি কোন গর্ভবতী মায়ের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দেখা যায় অথবা ব্রণের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় তাহলে এ দ্বারা তারা গর্ভে ছেলের সন্তান আছে নাকি মেয়ে সন্তান আসে তার সঠিক খবর জানতে পারবেন না, কারণ এগুলোর সাথে সন্তানের কোনো সম্পর্ক নেই। হরমোনের প্রভাবে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ হতে দেখা যায়। গর্ভবতী মায়েদের এন্ড্রোজেন হরমোন পরিমাণ বেড়ে যায় এর ফলে দেখা যায় সিরাম উৎপন্ন বেশি হয়। এগুলো বন্ধ করে দেয় এ কারণে ব্রণ ওঠার পরিমাণ বেড়ে যায়।

গর্ভবতী নারীর পেটের বাচ্চা দ্রুত হৃৎস্পন্দন হার

আগ্রহের সাথে ডাক্তারের কাছে যান অনেক পিতা মাতা গর্ভের বাচ্চার হৃদস্পন্দন হার কত তা জানার জন্য তারা অনেকের কাছে আগেই শুনেছে যে বাচ্চা হৃদস্পন্দন হার যত বেশি থাকতে হবে ততই বেশি কন্যা বা মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হবে।

অনেকেই মনে করেন যে গর্ভস্থ বাচ্চার হৃদস্পন্দন হার প্রতি মিনিটে 140 প্লাস হলে বাচ্চা টিমে সন্তান হয়, কিন্তু এটি তাদের ভুল ধারণা। গর্ভবতী ভ্রূণের ভ্রূণের বাচ্চার হৃদস্পন্দন মায়ের 80 থেকে 85 এর মধ্যে থাকে। এরপরে নবম সপ্তাহ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত হারে বাড়তে থাকে, এ সময় স্পন্দন হার প্রতি মিনিটে 170 থেকে 200 এর মধ্যে হয়ে থাকে।

সপ্তাহ পরে আবার হৃদস্পন্দন হার কমতে থাকে 120 থেকে 160 এর মধ্যে থাকে। প্রক্রিয়া শুরুর পর ছেলে শিশুদের তুলনায় মেয়ে শিশুদের স্পন্দন হার বেশি থাকে। ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে আরও বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।

সকালবেলা বেশি অসুস্থ দেখা যায়

গর্ভবতী মায়েদের সকাল বেলা বমি ও বমিবমি ভাব বেশি দেখা যায় এটি হলো সাধারণ একটি উপসর্গ মাত্র। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ বেশি দেখা যায়। এই বিষয়টি বুঝতে হবে বউ গর্ভবতী হয়েছে। রক্ত শর্করা কমে গেলে অথবা হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে গর্ভবতী নারী সকালবেলায় অসুস্থতা অনুভব করতে পারে। অনেকেই মনে করেন যে গর্ভবতী নারী সকাল বেলার সময়টা যদি বেশি অসুস্থতায় ভোগেন তাহলে কন্যা বা মেয়ে সন্তান জন্ম হবে। কিন্তু এটিও কোন বৈজ্ঞানিক বুড়ো বুড়ি  মন গড়া  মত।

অনেকেই মনে করে থাকেন যে গর্ভবতী নারীর পেট যদি নিচু হয়ে থাকে মনে খুব বেশি উঁচু না দেখায় তাহলে ছেলে সন্তান হবে।  এটি একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা আসলে দ্বিতীয় তৃতীয় গর্ভবতী হলে তখন সেই নারীর পেটে প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার চেয়ে কম উঁচু হতে পারে বা অধিকাংশ মহিলাদের দেখা যায় এটি দিয়ে লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায় না।

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ গুলো

* গর্ভবতী নারীর যদি সামনের দিকে থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।

* গর্ভবতী নারীর তলপেট যদি সামনের দিকে থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার ছেলে সন্তান হবে।

* অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন আপনার ডাক দিকের স্তন সাঈদীকে তুলনায় বেশি বড় হয়ে থাকে প্রাকৃতিক ভাবে তাহলে আপনার ছেলে সন্তান হবে।

* অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কালীন যদি বামদিকে ফিরে ঘুমাতে ভালো লাগে তাহলে আপনার পুত্র সন্তান হবে।

* গর্ভবতী অবস্থায় আপনার চুল যদি হয় তাহলে আপনার ছেলে সন্তান হবে।

* ছেলে সন্তান হলে গর্ভবতী নারীর চুল লম্বা হয়।

পরিশেষে বলা যায় যে ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে আসলে এই ধারণাটি ভুল। কারণ এটি বৈজ্ঞানিক। আগে বুড়ো বুড়ি এটি থাকত ধারণা করে। তবে ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে তারচেয়ে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ রয়েছে। আপনারা আপনার এই আর্টিকেলটি পড়লে বুঝতে পারবেন ছেলে সন্তান পেটের কোন পাশে থাকে এই বিষয়ে।


Md:Aklacur Rahaman

মোঃএখলাছুর রহমান,আমি উত্তরা টাউন ইউনিভার্সিটি কলেজে পলিটিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্টে অধ্যায়নরত আছি,আমি sorolmanus.com ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে থাকি।আমার ব্যক্তিগত arnilofficial.com একটি তথ্যমূলক ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত লেখালেখি করে থাকি।টেকনোলজির প্রতি আমি পাগল।বই পড়তে আমার ভালো লাগে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads