ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি? Freelancer ID Card Bangladesh

ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি? Freelancer ID Card Bangladesh

ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি? Freelancer ID Card Bangladesh

ফ্রিল্যান্সার আইডি নামটা শুনেই নড়েচড়ে বসেছে দীর্ঘদিনের ফ্রিল্যান্সাররা, ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি এইটা আবার কি?  ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ, এতদিন বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে আসছেন  হয়তো অবশেষে মিলতে চলেছে সরকারি স্বীকৃতি। আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার এই কথাটি এখন থেকে আপনার আইডি কার্ডে প্রমাণ করে দেবে।

কিন্তু আদতে এই ফ্রিল্যান্সার কার্ড ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ বা   ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি? এই আইডি কার্ড কি সব ফ্রিল্যান্সারদের করতে হবে? আর এই আইডি করলে আপনি কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন। আজকে আমাদের  ব্লগ টিতে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব।হ্যাঁ আপনাদের এই সমস্ত হাজার প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকে আমাদের এই আয়োজন।

আরো পড়ুনঃ শিশুকে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখার উপায়

সরকার থেকে দেয়া হচ্ছে এই আইডি কার্ড

যার মাধ্যমে আপনি ও আপনার পেশা পাবে সরকারি স্বীকৃতি।

ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি, ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ, Freelancer ID Card Bangladesh

আদতে এটা হল একটি পরিচয় পত্র। এর আগে আমরা যারা ফ্রিল্যা Freelancer ID Card Bangladesh  ফ্রিল্যান্সার  জগতে আছি তাদের বিভিন্ন সময় পাসপোর্ট অথবা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নিজের পেশা হিসেবে দেয়ার মত কিছুই থাকত না। অন্তত সেই কষ্ট থেকে মিলবে মুক্তি। আর অনন্য সুযোগ সুবিধার কথা ধীরে ধীরে বলছি। প্রথমত যেহেতু আইডি কার্ডটি সরকার থেকে দেয়া হচ্ছে তাই আশা করা যায় যে সরকারি নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা পেতে যাচ্ছে। আর আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আরো বিভিন্ন কালেক্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জেনে নিতে পারবেন। এছাড়া আরেকটি সমস্যার সম্মুখীন অনেক ফ্রিল্যান্সার রায় হয়ে থাকেন আর সেটা হল কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা নিজের একাউন্টে নিয়ে আসবেন বা নিয়ে আসতে হয়।

বর্তমানে অনেকেই পেওনিয়ার কার্ড এর মাধ্যমে বাইরে থেকে টাকা নিয়ে আসেন। তবে আশা করা যাচ্ছে যে সরকার যেহেতু ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজ করছে তাই অতি দ্রুত ফ্রিল্যান্সারদের কাছে আরও কিছু অপশন চলে আসবে।

ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কিভাবে করব, ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন ইন বাংলাদেশ

এই আইডি কার্ডটি যদি আপনি পেতে চান তাহলে প্রথমত আপনাকে এর জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সরকারের https://freelancers.gov.bd 

ওয়েবসাইটে প্রথমে আপনি যাবেন। আর সরাসরি আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার আইডি রেডিসন পেজে চলে যেতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করে যেতে পারবেন ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন, 

এখানে দেওয়া লিংকটিতে প্রবেশ করুন লিংকটিতে প্রবেশ করার পর পাবেন একটি ফরম পাবেন এখানে দেয়া খালি জায়গা গুলোতে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী দিয়ে ফিলাপ করুন। এরপর সাইন আপ বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার ইমেইলে ভেরিফিকেশন মেইল চলে যাবে সেখানে যে লিঙ্ক পাবেন সেই লিংকে ক্লিক করলে আপনার ই-মেইল আইডি ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে এবং একই সাথে আপনি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন এবং নিম্নে পেজটি ওপেন করবেন। 

ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নামক একটি বাটন রয়েছে। সেখানে ক্লিক করার সাথে সাথে একটি আবেদন ফরম ওপেন হবে। এই ফরমটি ফিলাপ করে নিন এই ফরম পূরণের সময় আপনাকে যে তথ্যাবলী দিতে হবে সেগুলো হলো 

৊নাম জন্ম তারিখ।

৊ ন্যাশনাল আইডি।

৊ ইমেইল আইডি মোবাইল নাম্বার এবং ঠিকানা।

৊ আপনার আয়ের এর একটি বিবরণ।

৊ আপনার কাজের যোগ্যতার রেটিং প্রদান করতে হবে।

৊ সবশেষে আপনার একটি ছবি প্রদান করতে হবে। আর ছবিটি যেন কিছুদিনের মধ্যেই তোলা হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

আপনার পেমেন্ট পরবর্তী প্রায় সাত দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া টি শেষ হতে।

উল্লেখ্য যে আপনি যদি কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে থাকেন,ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি তাহলে সেই মার্কেটপ্লেস কি কাজ করেন এইসব বিস্তারিত জানাতে হবে। বর্তমানে ফাইবার অন্যতম একটি মার্কেটপ্লেস। ফাইবার কি এবং ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে কিভাবে কাজ করবেন সে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

এরপর আইসিটি ডিভিশন থেকে একজন আপনাকে ভিডিও কলের মাধ্যমে সকল তথ্য ভেরিফাই করে নিবে এই ভেরিফিকেশনের সময় আপনার কম্পিউটার স্ক্রিন শেয়ার করতে পারে। আপনার কম্পিউটার স্ক্রিনে শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার ফ্রিল্যান্সিং সম্পৃক্ততা ভেরিফিকেশন করা হবে।

আপনার প্রদান করা যাবতীয় তথ্য যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনার ভার্চুয়াল আইডি কার্ড দিয়ে দেয়া হবে। আপনি এই সাইটে লগইন করার মাধ্যমে এই আইডি কার্ড একচেঞ্জ করতে পারবেন।

সেখান থেকে আপনি চাইলে এই আইডি প্রিন্ট করে নিজের সাথে আইডি কার্ডের মত রাখতে পারবেন এবং ব্যবহার করতে পারবেন ।

আইসিটি ডিভিশন প্রদত্ত ফ্রিল্যান্সারদের আইডি কার্ড থেকে আপনি কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন

প্রথমত বলে নেয়া ভাল যে আইডি কার্ড টি পেতে হলে আপনাকে ১৫০০- পনেরশো টাকার মতো খরচ করতে হবে। তবে এই খরচ করার পরে আপনি হয়তো অবশ্যই বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন। তবে এই ১৫০০- পনেরশো টাকা কিন্তু আপনাকে প্রতিবছর আইডি কার্ড নবায়ন চার্জ হিসেবে প্রদান করতে হবে। আপনি হয়তো ইতিমধ্যেই জানেন যে 2024 সাল পর্যন্ত ফ্রিল্যান্সারদের কোন ধরনের ইনকাম ট্যাক্স প্রদান করতে হবে না। তবে যাবতীয় তথ্যাবলী প্রমাণ করতে গেলে আপনাকে দেখাতে হয় সেই সমস্যার সমাধান হিসেবে এই আইডি কার্ডটি বেশ কাজে দিবে। আপনি নিজেকে  ফ্রিল্যান্সার  হিসেবে প্রমাণ করতে হবে যে কোন ব্যাংক অথবা অন্য সব জায়গায় এই আইডি কার্ড দিয়ে দেখাতে পারবেন।

এছাড়া আরো একটি  ব্যাপার আপনার জানা থাকা ভাল যে,ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি  বিগত এক বছরে আপনি যদি 1000 ডলার পর্যন্ত ইনকাম না করে থাকেন তাহলে আপনি এখান থেকে আইডি কার্ডটি পাবেন না। অনেক বেশি ইনকাম করার জন্য সাইট গুলোর মধ্য অন্যতম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অনেকেই চিন্তা করেন যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আদতে ফ্রীলান্সিং কিনা আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন।

আরো পড়ুনঃব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা, খরচ ও টিউশন ফি

এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেও আপনি ভালো  ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এমনকি ফেসবুক মার্কেটিং এর উপর যদি আপনার ভালো দখল থাকে তাহলে আপনি সেই জ্ঞান দিও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

সুবিধা বলতে যে অসুবিধার কথা শুনে একটু হতাশ হচ্ছেন কি৊ অবশ্য আপনাকে ন্যূনতম 1000 ডলার ইনকাম করতে হবে এই আইডি কার্ড পেতে হলে। একই সাথে এই ইনকামের টেক্স যদি আপনি করতে চান তাহলে এই আইডি কার্ড আপনাকে অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিবে। কেননা এর মাধ্যমে আপনি সরকার হতে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন।

পরবর্তীতে হয়তো ব্যাঙ্ক থেকে ক্রেডিট কার্ড বা লোন পেতে হলে এই আইডি কার্ড আপনাকে বেশ সুযোগ-সুবিধা দিতে পারে। এছাড়াও পাসপোর্ট করার সময় আপনি যদি নিজের পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই আইডি কার্ড প্রদানের মাধ্যমে নিজের প্রেসার প্রমাণ দিতে পারবেন। একই রকম ব্যাংক একাউন্ট ভিসা, ছেলে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করানোর সময় আইডি হিসেবে এই কার্ড আপনি প্রদান করতে পারবেন।

এছাড়া ব্যাংক লোন বা ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় আপনার ইনকাম সার্টিফিকেট

হিসেবেও চাইলে এই আইডি কার্ডটি আপনি দেখাতে পারবেন। এছাড়া সবচাইতে মজার বিষয় হলো, এই আইডি কার্ডটি আপনার করা থাকলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম আপনি বাইরে থেকে নিয়ে আসবেন সরকার থেকে আপনাকে টেন পার্সেন্ট বোনাস প্রদান করা হবে।

আবার আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে ফ্রীলান্সিং আইডি কার্ড ব্যবহার করেন তখন অবশ্যই সরকার কর্তৃক পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে যেকোন ধরনের প্ল্যানিং করার সময় অবশ্যই আপনি সব ধরনের অগ্রাধিকার পাবেন ।

আরো পড়ুনঃ নিজেকে শান্ত রাখুন ৫ টি উপায়

যেহেতু এটি একটি সরকারি প্রক্রিয়াধীন আইডি কার্ড বা ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বাংলাদেশ কি আপনি পরবর্তীতে অনেক ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে পারবেন এই ফ্রিল্যান্সিং আইডি কার্ডের মাধ্যমে। আর যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকদিন ধরেই একটি মজার বিষয় ঘোরাফেরা করছে যে বিয়ের বাজারে ফ্রিল্যান্সারদের তেমন দাম নেই।

 বিয়ের বাজারে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি Freelancer ID Card Bangladesh

এই আইডি কার্ডের বা ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড কি এই  কার্ডটির মাধ্যমে বিয়ের বাজারে হয়তো আপনার অনেকদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। পাত্রীর বাবাঃ কাছে আপনি সগর্বে নিজের ফ্রিল্যান্সার পরিচয় প্রদান করতে পারবেন। এমনকি চাইলে ইনকাম সার্টিফিকেট এর বদলে এই আইডি কার্ড ধরিয়ে দিতে পারবেন।


Md:Aklacur Rahaman

মোঃএখলাছুর রহমান,আমি উত্তরা টাউন ইউনিভার্সিটি কলেজে পলিটিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্টে অধ্যায়নরত আছি,আমি sorolmanus.com ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে থাকি।আমার ব্যক্তিগত arnilofficial.com একটি তথ্যমূলক ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত লেখালেখি করে থাকি।টেকনোলজির প্রতি আমি পাগল।বই পড়তে আমার ভালো লাগে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads