সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে

সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা

আপনি কিভাবে বুঝবেন সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে  ।

সহবাসের পর গর্ভবতী হওয়ার নির্দিষ্ট একটি টাইম রয়েছে ,  তা হচ্ছে সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হওয়া সম্ভব ।  গর্ভধারণ নিশ্চিত কিনা  সহবাসের পর সবাইকে সুখবর জানিয়ে দেয় । গর্ভধারণের মাধ্যমে মায়েরা মা শব্দটি শুনতে পারে ।

 

আমাদের সমাজে বা পৃথিবীতে অনেক মহিলারা রয়েছে যারা কখনো মা ডাকটি শুনতে পারে না ।  পৃথিবীর বিভিন্ন  ভৌগোলিক টেকনোলজিক্যাল কারণে ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব জনিত সমস্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সমাজে । গর্ভধারণের বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ প্রক্রিয়া হচ্ছে সহবাস । মহিলাদের মধ্যে অনেকেই এমন অদ্ভুত প্রশ্ন করে থাকে যা হচ্ছে সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হওয়া যায় ।  

তাই তাদের জন্য কিছু প্রশ্নের উত্তর বলে দেব । খুব সহজ উপায় আপনাদের  জানিয়ে দেব । সহবাসের কতদিন পর আপনি  গর্ভবতী হতে পারেন সে বিষয়ে পুরোপুরি ভাবে তুলে ধরব আপনাদের মাঝে । 

তবে এ বিষয়গুলো পুরোপুরি জানতে হলে আপনাদেরকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে ।

তাহলে চলুন শুরু করে নেই । 

 প্রথমে জেনে নেব কোন সময় সহবাস করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে ।

  • আমরা জেনে নেব কোন সময় সহবাস করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
  • কতদিন পর গর্ভবতী  হওয়া যায় ।
  • সহবাসের পর কতক্ষণ শুয়ে থাকা ভালো ।
  • সহবাসের পর ও গর্ভধারণ কেন হতে পারে না । । 

আপনি যদি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে ওই সময় সহবাস করলে আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক পরিমাণে বেশি রয়েছে । কিন্তু অনেক সময়ে চটি হয়না ।  কারণ প্রথম চেষ্টার  সফল  হতে পারে নাও হতে পারে । কারণ আপনি যদি বারবার চেষ্টা করেন তবে সহবাসের মাধ্যমে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । 

গর্ভবতী হয় সহবাসের কতদিন পর 

 বেশিরভাগ সময় গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা দেবে  সহবাসের পর  দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে । দুই থেকে তিন সপ্তাহ কিছু কিছু মহিলাদের জন্য সময় কম বা বেশি হতে পারে । তবে আপনি যদি সহবাসের তারিখ নোট করে রেখে দিতে পারেন ।  তাহলে খুব সহজে  আপনি সহবাসের সময় নির্ধারণ করতে  পারবেন । 

সহবাসের পর গর্ভধারণ কেন হয় না

আপনি যদি গর্ভবতী হতে চান তাহলে শরীরের হরমোন ব্যালেন্স ঠিক রাখতে হবে । তবে পৃথিবীতে বন্ধুত্ব এর হার দিন দিন প্রচুর বেড়ে যাচ্ছে । এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে ।

আরো পড়ুনঃ 

মেয়েদের ক্ষেত্রে  Polycystic Ovarian Syndrome থাইরয়েডের এবং Prolectine  বর্মন এর প্রভাবে বিপুল সংখ্যক ডিম্বাণু নষ্ট হয়ে যায় ,  এসবের কারণে মেয়েরা গর্ভধারণ করতে পারে না । তবে ছেলেদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু জনিত সমস্যা বেশি দেখা যায় । বীর্যতে শুক্রাণু এর পরিমাণ একদম কম থাকার কারণে তারা সন্তান জন্ম দিতে পারে না । 

সহবাসের পর কতক্ষণ শুয়ে থাকা সব থেকে ভালো

 আপনার যদি বাচ্চা নেওয়ার ইচ্ছে থাকে বা উদ্দেশ্য থাকে তাহলে সহবাস করার পর অন্তত আপনাকে আধাঘন্টা শুয়ে থাকতে হবে উচিত । সহবাসের পর আপনি আধাঘন্টা রেস্ট নেওয়ার সময় পায়ের নিচে একটি উঁচু বালিশ দিয়ে শুয়ে থাকুন ।

  কারণ এতে করে আপনার বীর্য জরায়ুর ভিতরে ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারবে ।  এর ফলে আপনি অতি  শীঘ্রই গর্ভবতী হওয়ার  সম্ভাবনা  রয়েছে । আপনাকে একটি জিনিস ভেবে চিন্তে কাজ করতে হবে সেটা হচ্ছে সহবাস করার পর শোয়া থেকে যেন আর উঠে না ।

যেতে হয় ঠিক সেই সময়টা বেছে নিতে হবে ।  এতে করে আপনার আধাঘণ্টা একঘন্টা শুয়ে থাকা হয়ে যাবে ।  বিছানা থেকে উঠে না যাওয়ার কারণে আপনি এই কাজটি করবেন ।  ঘুমানোর আগ মুহূর্তে সহবাস করা  ভালো । তবে বীর্য যত সময় ধরে জরায়ুর ভিতরে প্রবেশ করা যায় ততোই ভালো । 

কিন্তু আরেকটি কাজ আপনার করা খুব জরুরী সেটা হচ্ছে আধাঘণ্টা একঘন্টা পর গোপন অঙ্গ ধুয়ে নেবেন । তবে সহবাস করার পর এক ঘণ্টা আগে গোপন অঙ্গ পরিষ্কার করার দরকার হয় তবে আপনি এখানে একটি কাজ করতে পারেন সেটা হচ্ছে ছোট একটি কাপড়ের টুকরো দিয়ে মুছে নিতে পারেন । 

 ভুলেও একঘন্টা আগে পানি বা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন না । এই নিয়মগুলো যদি আপনি মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনি গর্ভধারণ করতে পারবেন । এ নিয়মগুলো হচ্ছে শুধুমাত্র যারা গর্ভবতী হতে ইচ্ছুক শুধু তাদের জন্য । 

শেষ কথা

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আমরা যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেই তাহলে বুঝতে পারব আসলেই সত্য কাজ গুলো কি । আমরা যদি এই নিয়ম মেনে সহবাস করতে পারি তাহলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সবসময়ের জন্য এই কাজগুলো করা । 

 তবে এই নিয়মগুলো মেনে চলার পরও যদি আপনার গর্ভধারণ হচ্ছে না বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন তাহলে আপনি অতিশীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন । 

এসব ঘটনা যদি আপনার সাথে হয়ে থাকে তবে আপনি অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ গর্ভবতী হওয়ার চেষ্টা করুন ।  কারণ আমাদের কিন্তু বয়স কমে থাকে না আমাদের বয়স দিন দিন বেড়ে যায় ।  এরমধ্যে অন্তঃসত্ত্বা সাথে তুলে ধরা হয় বয়সের ।  কারণ যত বয়স বাড়বে আপনার গর্ভধারণ এর সম্ভাবনা একেবারে কমে যাবে । 

 তাই আপনাকে সবসময় সময় থাকতে বা বয়স অল্প থাকতে চেষ্টা করতে হবে ।  ইনশাল্লাহ আজকে এ পর্যন্তই  । গর্ভবতী হওয়ার জন্য আপনি এই নিয়মগুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে পারেন ,  তাহলে আপনি একজন মা হতে পারবেন । আজকে এ পর্যন্তই সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ । 


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads