পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হলে করণীয়

 পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হলে করণীয়

পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হলে করণীয়

আসসালামুআলাইকুম একটা আলোচনা করব পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হওয়ার কারণ কি ।আমাদের মধ্যে প্রায় লোকেদের উইলসনের মত হয়ে থাকে। পায়খানার সময় প্রচুর পরিমাণে যন্ত্রণা ও ব্যথা এবং যা আমরা প্রত্যেকের সুবিধার এর মত যা কোনভাবেই সম্ভব করা যায় না। এত পরিমাণে দেখা হয় যা টয়লেটের যাওয়ার জন্য এই জিনিসটা খুব বিরক্তকর। পায়খানার রাস্তায় ব্যথার করণীয় ও সমস্যার সমাধান করুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করল। 

সাধারণত আমরা পায়খানা বা পায়ুপথ রাস্তায় সমস্যা নি অনেক ইচ্ছা করে তাহলে দেখা যায় এই সমস্যাটি নিয়ে প্রচুর পরিমানে বেড়ে যায় যার কারণে আপনার অপারেশন করা সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাই লজ্জ্বা না পেয়ে বরঞ্চ আপনি অল্প থাকাকালীন অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করুন অল্পতেই কাজ হবে।

পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হওয়ার কারণ আমরা অনেকেই কাও বাসার কাউকে বলতে চাই না সংকোচ বোধ করি লজ্জা পাই এরকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যা । যার ফলে আমরা কখনোই বুঝতে পারি না যে কি কাজ করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসলে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমরা যতদিন চুপ থাকব যার ফলে কোনদিনও এই সমস্যার সমাধান হবে না ধীরে ধীরে সমস্যা বেড়ে যাবে।

 কি সমস্যা নিয়ে দিনদিন বহুৎ কষ্ট করার পর পরিস্থিতি অনেক বিপরীত হয়ে দাঁড়ায় যার ফলে অপারেশন করানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই অবশ্যই পায়খানার রাস্তার সমস্যা অল্প থাকলেই অল্পতেই পরামর্শ করে চিকিৎসকের সঙ্গে চিকিৎসা করানোর খুবই জরুরী। 

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোতে ইতিমধ্যে যতটুকু আলোচনা করা হয়েছে এই সমস্যাগুলো হচ্ছে কেন   অ্যানাল ফিশার রোগের লক্ষণ বোঝায়। আমরা সাধারণত ইস যে সমস্যাগুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলোর গেজ  বলে মেনে নেই। 

আজকের এই পোস্টে পায়খানার রাস্তায় ব্যথা কারণসমূহ আলোচনা করব সকল বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

সর্বপ্রথম আলোচনা করব রোগটার বিষয় সম্পর্কে । তাহলে খুব সহজে কারণ ও সমাধান খুঁজে পাবেন। অ্যানাল ফিশা রোগটা  পায়ুপথের রোগ। বায়ু পদ কি বোঝানো হয় যেখান দিয়ে পায়খানা বের হয়।  নাড়িভুঁড়ির একদম শেষ সীমান্ত। মাল তৈরি হয় রেক্টম নামক জায়গায় জমা হয়। এই রাস্তা দিয়ে মাল বের হয়। 

মাংসপেশি এটাকে আমরা বাইরে থেকে চাপ দিয়ে পায়খানার রাস্তা বন্ধ করতে পারি আর খুলতে পারি। গেজ রোগে বায়ু পথের অংশের চামড়া ছিড়ে যায় বা ফাটল ধরতে থাকে। পরিচিতি একসময় এমন দাঁড়ায় যা চামড়া দুই ভাগ হয়ে যাওয়ার ফলে মল ত্যাগের সময় তীব্র ব্যথা হতে পারে। ফলে মলদ্বার চেপে যায় টাইপ হয়ে যায়। 

আর ফাটল ধরা অংশটাতে রক্তচলাচল কমে যায়। রক্ত প্রবাহ কমে গেলে সেটা সেরে উঠতে দেরি হয়। আর মাঝে মাঝে দীর্ঘমেয়াদী একটা সমস্যার রূপ নেয়। অর্থাৎ, ক্রনিক অ্যানাল ফিশার দেখা দেয়। এবার বলি অ্যানাল ফিশার কেন হয়। খুব কমন একটা কারণ হচ্ছে কষা পায়খানা বা কোষ্ঠকাঠিন্য। দেখা যায় পায়খানা শক্ত হলে অনেকেই বাথরুমে যেতে চান না।

 কারণ তখন মল ত্যাগ করতে গেলে একটু কষ্ট হয়। কিন্তু পেটের ভিতর পায়খানা জমিয়ে রাখলে সেটা দিন দিন আরও শক্ত হতে থাকে। এক সময় সে শক্ত পায়খানা বের করতে গেলে পায়ুপথের চামড়া ছিঁড়ে গিয়ে দেখা দেয় গেজ। 

এছাড়া গর্ভবতী অবস্থায় বিশেষ করে শেষ তিন মাসে এবং নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে বাচ্চা হওয়ার পরে এনাল ফিশার দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ফিশার হওয়ার পদ্ধতিটা একটু ভিন্ন। কখনও কখনও ডায়রিয়ার কারণে ফিশার হতে পারে। আর হতে পারে কিছু অসুখের কারণে এবং কিছু ওষুধের কারণে। আবার কোন কারণ ছাড়াও হতে পারে।

বুঝবেন কিভাবে আপনার গেজ হয়েছে কি না হলে তার করণীয় কিঃ

  • কিভাবে বুঝবেন আপনার গেজ হয়েছে কিনা। পায়খানার রাস্তায় ব্যথা এই রোগ সাধারণত পায়খানা করার সময় প্রচন্ড ব্যাথা হয়ে থাকে। রোগীরা অনেক সময় বলেন যে মনে হয় যেন পায়ুপথ দিয়ে ভাঙ্গা কাজ বের হচ্ছে।  যাদের এই সমস্যা গুলো রয়েছে তাদের কাছে আসলে খুবই কষ্টদায়ক মারাত্মক যন্ত্রণা। পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হওয়ার যন্ত্রণা কারণে অনেকেই টয়লেটে যেতে চান না। 
  • মলত্যাগ করার পর কয়েক ঘন্টা যাবৎ ও প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে। তখন মনে হয় যেন মরিস ঢেলে দিয়েছে খুবই মারাত্মক যন্ত্রণা জ্বালাপোড়া করতে থাকে। আবার পায়খানা সাথে উজ্জ্বল লাল রক্তের রক্ত বের হতে থাকে। হয়তো টয়লেট টিস্যুতে দেখা যায়। 
  • পায়খানার রাস্তায় ব্যথার কারণ আসলে খুবই মারাত্মক কি থেকে যত দ্রুত পারেন মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করুন।  সামান্য পরিমান রক্ত যায়  মল বের হওয়ার পথে শেষ প্রান্তে রক্ত স্মরণ হয় তাই রক্ত তাজা থাকে উজ্জ্বল লাল বর্ণের হয়ে থাকে। 
  • রক্তচন্দন হলে রক্তের রং হল একদম কালচে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বায়ু পথে আরেকটি রোগ পাইলস এর লক্ষণ আর একটু আলাদা।বায়ু পথে নরম গোটার মতো দেখা যায় এগুলো সাধারণত মলত্যাগের পরে বের হয়ে আসে আবার নিজে নিজে ভেতরে ঢুকে যায়। আঙ্গুর দিয়ে ভিতরে ঢুকাতে পারে। 

  • পিচ্ছিল কিছু পদার্থ বের হতে পারে। খানিকটা শ্লেষমার মতো। গেজ সমস্যায় সাধারণত এমনটা দেখা যায় না। আর পাইলসে সাধারণত তীব্র ব্যথা হয় না। খুব অল্প কিছু ক্ষেত্রে তীব্র ব্যথা হতে পারে। পক্ষান্তরে অ্যানাল ফিশারে রোগী মল ত্যাগ করার সময় প্রতি বারই তীব্র ব্যথা অনুভব করে। পাইলস এবং অ্যানাল ফিশার দুটি রোগেই পায়ু পথে চুলকানি হতে পারে আর উজ্জ্বল লাল রক্ত যেতে পারে। অ্যানাল ফিশারে খুব অল্প পরিমাণে রক্ত যায়।

গেজের লক্ষণ ও অ্যানাল ফিশার লক্ষণ দেখা যাওয়ার পর নিজের যত্ন নিবেনঃ

  • প্রথমে আপনাকে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে সেটা হচ্ছে যখনই আপনার পায়খানার চাপ পড়বে ঠিক তখনই আপনাকে পায়খানা করতে হবে কখনও পায়খানা আটকে ধরে রাখবেন না এটা কিন্তু খুবই কার্যকরী এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা।  
  • আপনি যতক্ষণ মন আটকে রাখবেন আপনার সমস্যা দিন দিন বেড়ে যাবে তাই পায়খানার চাপ পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পায়খানা করতে হবে।  দীর্ঘ সময় ধরে যদি পায়খানা আটকে রাখেন যার ফলে আপনার পায়খানা করার সময় আরও বেশি কষ্ট হবে। 
  • পায়খানা খুব শক্ত হলে  গেজ ভালো করার জন্য খুবই ধীর হয়ে যায়। তাই কখনো পায়খানা চেপে রাখবেন না। সময়  মত মলত্যাগ অবশ্যই করতে হবে। যারা এই রোগে ভুগছেন তারা অবশ্যই একটু ভাববে যে বলাটা অনেক সহজ কিন্তু করাটা অনেক কঠিন কিন্তু আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান অবশ্যই আপনাকে কষ্ট করে বলে মলত্যাগ করতে হবে। 
  • পায়খানার রাস্তায় ব্যথা সমস্যা কমানোর জন্য মলত্যাগ করার পরে একটি পদ্ধতি করতে পারেন সেটা নাম হল সিটজ বাথ (sitz bath)।এর মানে হচ্ছে কুসুম গরম পানির   সেঁক নিতে পারেন। একটি পাত্রে  পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গরম করে নিন  তারপর সেই পানির উপরে বসেন যেন কোমর থেকে মলদ্বার পর্যন্ত পানির নিচে থাকে। 
  • গরম পানি মলদ্বারের মাংসপেশিকে রিলাক্স করতে বা রাখতে খুবই কার্যকরী। ব্যথা দূর করার জন্য এই সহজ উপায় অবলম্বন করতে পারেন। টয়লেটে একটা বল রেখে দিবেন যাতে মলত্যাগ শেষ করে পরিস্কার হয়ে আসো সেটাতে বসে থাকতে পারেন কিছুক্ষণের জন্য। কুসুম গরম পানি দিয়ে আপনি যখন সেঁক অনেকটাই আরামদায়ক বুঝতে পারবেন। 
  • বাসায় যদি সাহায্য করার মতো কেউ থাকে তবে বাথরুমে যাওয়ার আগে চুলায় হালকা আঁচে পানি বসিয়ে দিয়ে যেতে পারেন। যিনি সাহায্য করছেন তিনি চুলার দিকে খেয়াল রাখলেন আর পরে বাথরুমে পানিটা আপনাকে এনে দিতে পারবেন।
  •  আপনি সেটাতে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে এমন কুসুম গরম অবস্থায় আনবেন যাতে বসে আপনি আরাম পাবেন। কিছুটা শীত কালে গোসল করার সময় আমরা যেমন গরম পানির ব্যবস্থা করতাম তেমন। শুধু মলত্যাগ করার পরেই সিজ বাথ করা যাবে এমন না। দিনে দুই থেকে তিন বার করতে পারেন। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন তারা বেশি স্বস্তি পেয়েছেন।
  • পায়খানা রাস্তার ব্যথা কমানোর জন্য ঔষধ খেতে পারেন যেমনঃ  প্যারাসিটামল।  500 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট পাওয়া যায়।  এমন হলে দুইটা ট্যাবলেট একসাথে খেতে হবে। 1 গ্রাম প্যারাসিটামল খেতে হবে। ওষুধ খাওয়ার নিয়ম 4 থেকে 6 ঘন্টা পর পর। তবে দিনে যেন  ৮  টি ট্যাবলেট বা ৪ গ্রাম এর বেশি না হয়। একজন  প্রাপ্ত  লোক যার ওজন 50 কেজি এর বেশি অন্যান্য অসুস্থতার নেই।
  •  তার জন্য  প্রযোজ্য এমনটা না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজন পড়লে এর সাথে ব্যথার জন্য আইবুপ্রফেন খেতে পারেন।  তবে রক্তক্ষরণ হলে আইবুপ্রফেন এড়িয়ে যেতে হবে। যে ব্যথানাশক ওষুধগুলো বলেছিলাম অ্যানাল ফিশার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন- ট্রামাডল (Tramadol), ট্যাপেন্ডাডল (Tapendadol) এগুলো ব্যথার জন্য খাওয়া যাবে না। কারণ এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করে অ্যানাল ফিশার এর রোগটাকে আরও খারাপ করে ফেলে।
  • পায়খানা করার আগেই বন্ধ করার আগে পায়খানার রাস্তায় মুখে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে যার ফলে একটু ব্যথা কম হতে পারে।
  • আপনি কি খেয়াল রাখতে হবে মলত্যাগের সময় জোরে চাপ দেওয়ার তুমি উচিত না। যার কারণে  গেজ  আরো খারাপ হওয়া সম্ভব হয়েছে। আবার অনেকেই এমন প্রশ্ন করবেন যে আপনি বলছেন মলত্যাগের সময় জোরে চাপ না দিতে এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন শক্ত পায়খানা জোরে চাপ না দিলে কিভাবে মল ত্যাগ করব নিচে বিষয়গুলোতে আলোচনা করব পায়খানা যেতে শব্দ না হয় সেটা নিয়ে নিজের আলোচনাতে দেখে নিন।
  • গেজ  ভালো করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে বা রোগীদেরকে নিশ্চিত করতে হবে পায়খানা জাতের নরম করা হয়। পায়খানা যদি নরম হয় সে ক্ষেত্রে মলত্যাগ করা খুবই সহজ হবে আপনি খুবই শান্তি পাবেন। আবার অনেকেই প্রশ্ন করবেন এটা কিভাবে সম্ভব জেনে নিন কিভাবে সম্ভব। খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার আর পানি থাকা খুবই জরুরী।   
  •  কোন খাবার  গুলোতে ফাইবার  থাকে।  যেমনঃ শাকসবজি ফলমূল ডাল শস্য দানা লাউ শাক লাল শাক  লাল আটা ইত্যাদি। আপনাকে মনে রাখতে হবে সঠিক সময়ে সঠিক খাবার খাওয়ার জন্য এবং পর্যাপ্ত রচনা জাতীয় খাবার খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এসব কারণে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে করতে পারে সেক্ষেত্রে আপনার কাছে না কখনো শক্ত হবে। অল্প অল্প খাওয়ার পর আস্তে আস্তে খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে হবে তাহলে আপনি সুস্থ থাকবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি খেতে হবে। আমরা চাইলে ভাতের সঙ্গে গাজর টমেটো সালাদ হিসেবে খেতে পারি। 
  • এভাবে  আপনাকে  ধীরে ধীরে ফাইবার জাতীয় খাবার গুলো বাড়াতে হবে। হঠাৎ করে যদি খেতে যান সে ক্ষেত্রে পেটের থাবা বাবা ভাব লাগতে পারে তলপেটে ব্যথা হতে পারে ফাইবার বাড়ানোর সাথে সাথে পানি পান করার পরিমাণ প্রচুর পরিমাণে বাড়াতে হবে।  ফাইবার জাতীয় খাওয়া সাথে সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে। তানাহলে নাড়িভুঁড়ি মুখ আটকে যেতে পারে এমন দুর্ঘটনাটি ঘটে যায় সে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনাকে দিনে অন্তত পক্ষে 2 লিটার পানি খেতে।
  • সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।  শরীরচর্চা করতে সাহায্য করুন।। পর্যাপ্ত পরিমাণে হাটার চেষ্টা করুন।  প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে আড়াই ঘন্টা সাধারণ ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।  যেমনঃ সাইকেল চালানো হাঁটাহাঁটি করা দৌড়ানো ইত্যাদি। খাবারে কিভাবে বাড়াবেন ও কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে।
  • অ্যানাল ফিশারের যেসব রোগীর কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের অবশ্যই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে হবে। পর্যাপ্ত ফাইবার, পানি ও ব্যায়াম নিশ্চিত করার পাশপাশি আর একটা ব্যবস্থা আপনারা নিয়ে দেখতে পারেন। সেটা হলো ইসুবগুলের ভুসি খাওয়া। 
  • প্রায় সবাই আপনারা এই ওষুধটা চেনেন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করে। এটা খেতে হবে দিনে দুই বার। সকালে আর সন্ধ্যায় বা নাস্তা খাওয়ার পর। প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশনা অনুযায়ী পরিমাণমত পানি দিয়ে গুলিয়ে সাথে সাথেই খেয়ে নিবেন। অনেকেই রাতে গুলিয়ে দেখে দেন সকালে খাওয়ার জন্য এটা কিন্তু সঠিক নিয়ম না। তৈরি করে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলবেন। 
  • রাতে ঠিক ঘুমানোর আগে খাবেন না। ঘুমানোর ১ ঘন্টা আগে খাবেন। আর ইসুবগুলের ভুষি খেলেও দিনে অন্তত ২ লিটার পানি পান করবেন। এই দুটো কাজ না করলে নাড়িভুড়ির মুখ আটকে গিয়ে একটা বিপদ হতে পারে। ইসুবগুলের ভুষি কিভাবে খাবেন তা নিয়ে পাইলসের ঘরোয়া সমাধান এই লেখায় বিস্তারিত লেখা আছে আপনারা চাইলে পড়ে নিতে পারেন। ৮। মলদ্বারটা শুষ্ক এবং পরিষ্কার রাখবেন। খুব জোরে ঘষা দিয়ে মুছবেন না। এই কাজগুলো অ্যানাল ফিশার বা গেজ সাড়তে সহায়তা করবে এবং ফিশারের যে জটিলতা যেমন-পায়ুপথে ইনফেকশন বা অ্যাবস হওয়া থেকে বিরত রাখবে।

ইতিমধ্যে উল্লেখিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে। পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হওয়া এটি একটি লজ্জা দায়ক এবং খুবই কষ্টদায়ক ইত্যাদি তাই আমরা মুখ ফুটে কাউকে বলতে পারি না কিন্তু আসলে আপনার কি সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য অবশ্যই লজ্জা করা উচিত নয় এবং সংকোচ  করা উচিত নয় ইত্যাদি ।

যার কারণে আপনি এই সমস্যা থেকে সমাধান হতে পারবেন না আমরা আসলে একজন আরেকজনের সাহায্যকারী যেকোনো সমস্যা আমরা একজন আরেকজনের সাথে যদি শেয়ার করতে পারি সে ক্ষেত্রে আসলেই যেভাবেই হোক সমস্যাটা সমাধান করার কোনো না কোনো উপায় পাওয়া যায় যার ফলে এসব ব্যাপারে কখনো চুপ না থেকে বড় চেষ্টা করবেন পরিবারের সঙ্গে বা অন্য কারো সঙ্গে অথবা সর্বশেষ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনি এই সমস্যার চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করো।

  আমাদের পোষ্টে আজকে আলোচনা করা হয়েছে পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হওয়ার করণীয় নিয়ে ইতিমধ্যে এ বিষয়গুলো আলোচনা করেছি সে বিষয়গুলো   যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনি অনেক বড় বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ।  কোষ্ঠকাঠিন্য পায়খানার  শক্ত হওয়া ইত্যাদি কষ্টদায়ক তাই এই বিষয়গুলো কখনো চুপি চুপি রাখবেন না। 

সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন হাঁটাচলা করার চেষ্টা করবেন ইত্যাদি যার ফলে আপনি কি সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবে। পাবেন দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা নিয়ে বসে থাকেন লজ্জার কারনে অথবা অবহেলার কারণে ইত্যাদি যার ফলে আপনার অল্প চিকিৎসা দিয়ে কোন কাজ হবে না সরাসরি অপারেশন  সিদ্ধান্ত নিতে হবে।


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads