গ্লুকোজ এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

গ্লুকোজ এর উপকারিতা

গ্লুকোজ এর উপকারিতা  

নিয়মিত গ্লুকোজ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মুরগির খাবার ফলমূল সংরক্ষণ ও ভিটামিন-সি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার অন্যতম প্রধান উপাদান হচ্ছে গ্লুকোজ। এটি প্রাণী ও উদ্ভিদ কোষের প্রক্রিয়ায় অন্যতম অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গ্লুকোজ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

আজ একটি চমৎকার  গ্লুকোজ এর উপকারিতা ও বিজ্ঞানসম্মত বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। বিষয়টি হলো গ্লুকোজ এর উপকারিতা আমরা সবাই জানি গ্লুকোজ খেলে শর্করা বেশি উৎপাদিত হয় এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় উপাদান। রাসায়নিক উপাদান শর্করা বা মনোস্যাকারাইড এর অন্তর্ভুক্ত।

আমাদের জীবনে গ্লুকোজ এর উপকারিতা

জীবন্ত কোষ গুলোকে শক্তি ও প্রক্রিয়ার একটি উৎস হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। শরীরের জন্য উপকারী গ্লুকোজ আমাদের জন্য কি কি উপকার করতে পারে তা যদি আপনারা জানতে চান তাহলে লিখাটি শেষ পর্যন্ত একবার পড়ুন।

আইবিএস এর  সমস্যা সমাধানে গ্লুকোজ এর ভূমিকা

আইবিএস এর সমস্যা পাওয়া যায় তাদেরকে ডাক্তারের বেশি বেশি গ্লুকোজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ সাধারণত এই সময় শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দেয়। তাই এই সময় ডাক্তারেরা গ্লুকোজ পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় গ্লুকোজের উপস্থিতি অবশ্যই রাখা দরকার আমাদের শ্বাসক্রিয়ার কার্যকারিতাকে স্বাভাবিক রাখতে হলে অবশ্যই গ্লুকোজ খেতে হবে।

শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে গ্লুকোজ এর প্রয়োজনীয়তা

আমাদের শরীর কর্মক্ষম রাখতে হলে প্রতিদিন যে খাবার খায় তার 50 থেকে 60 শতাংশ শর্করা রাখা উচিত। কিন্তু শর্করার প্রধান উৎস হিসেবে আমরা ভাত খাই।

আরো পড়ুনঃ সরিষার তেলের উপকারিতা

শর্করা জাতীয় খাবার যত তাড়াতাড়ি মিশে যায় এ ধরনের শর্করা জাতীয় খাবার শরীরের জন্য তত বেশী বিপদজনক। তাই বলতে গেলে আমরা যে ভাত খাচ্ছি তার প্রভাবে আমাদের শরীরের ক্ষতি করতে পারে। কারণ সরকারি হিসেবে গ্লুকোজ যদি আমরা গ্রহণ করে থাকি তার রক্তে তাৎক্ষণিকভাবে গ্লুকোজ এর চাহিদাকে পূরণ করে।

উদ্ভিদ এবং প্রাণী টিস্যুর গঠনের উপাদান হিসেবে গ্লুকোজ এর উপকারিতা

গ্লুকোজ উদ্ভিদ এবং প্রাণী ও উদ্ভিদ টিস্যু গঠনের উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। অর্থাৎ আমাদের শরীর ধরন টিস্যুর গঠন ঠিক রাখতে গ্লুকোজ কিন্তু দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে।

রমজানে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি গ্লুকোজ এর উপকারিতা

রোজা রাখার পর আমাদের কর্ম উদ্দীপনা যখন হারিয়ে যায় তখন ইফতারির সময় এক গ্লাস পানিতে 2 থেকে 3 টেবিল-চামচ গ্লুকোজের পাউডার নিয়ে ভালো মতো মিশিয়ে যদি আমরা পান করি তাহলে আমাদের শরীর খুব দ্রুত চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং কাজ পরার উদ্দীপনা আমরা ফিরে পাই। কারণ খুব দ্রুত রক্তের সাথে মিশে কর্মশক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। 

সতর্কতাঃ

একটি বিষয় মনে রাখা উচিত সবার জন্য ভালো। একটা হার্টের রোগী থেকে শুরু করে আইবিএস এর সমস্যায় যারা ভুগছেন সবাই কমবেশি গ্লুকোজ খেতে পারেন। কিন্তু যারা ডাইবেটিসের মতো সমস্যায় ভুগছেন তারা কিন্তু গ্লুকোজ খাওয়া বারণ। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। 

শিশুদের ক্ষেত্রে গ্লুকোজ এর চাহিদা

ছোট বাচ্চারা খাবার খেতে চায় না অর্থাৎ তাদের শরীরের দৈনন্দিন শর্করার অভাব থেকে যায়। তাদের ক্ষেত্রে গ্লুকোজ কিন্তু দারুণ একটি পরিপূরক খাবার হিসেবে কাজ করে। তাই মায়েদের ছোট বাচ্চা ভাতের পরিবর্তে গ্লুকোজ রাখা।  অভাব পুরন হবার পাশাপাশি শিশুদের মুখের রুচি বৃদ্ধি পায়।

আরো পড়ুনঃ আদার উপকারিতা ও অপকারিতা

 আমাদের  উচিত আমাদের খাদ্যতালিকায় এমন সব খাবার কে অন্তর্ভুক্ত করা যে খাবারগুলো অনেক বেশি হেভি হবে না কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন খাবারের পুষ্টি উপাদান খুব সহজে মেটাতে সক্ষম   হয়।

গ্লুকোজ খেলে কি ওজন বারে

গ্লুকোজ খেলে কি ওজন বারে ওজন বাড়ানোরক্ষেত্রে কোন ভূমিকা পালন করে না। অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীরের মূলত লিভারের গ্লাইকোজেন হিসেবে জমা হয়ে থাকে। কিন্তু এটি ওজন বাড়ায় না। আইবিএস এর সমস্যা থাকলে এত খাওয়া যাবে কিন্তু যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে এটা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

গ্লুকোজ ডি এর ব্যবহার

গ্লুকোজ  ডি পাউডার ভিটামিন ডি অভাব ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি মূত্রবর্ধক হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য  এন্টাসিড কার্বোহাইড্রেট হিসেবে ইন্টার ভেনাস আধান প্রতিস্থাপন এবং অন্যান্য অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়।

 গ্লুকোজ পাউডার নিম্নলিখিত উপাদান রয়েছে ক্যালসিয়াম ডেক্সট্রোজ ফসফরাস ভিটামিন  ভিটামিন ডি পাউডার এর ফরম পাওয়া যায়। 

আরো পড়ুনঃ জরায়ুর টিউমারের লক্ষণ

গ্লুকোজ ডি পাউডার ব্যবহার সমূহ কম্পোজিশন  শ্বাসক্রিয়া ও পর্যালোচনা এর সাথে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তালিকাভুক্ত করা হলো

  • চিকিৎসায় ব্যবহার গ্লুকোজ দি পাউডার নিম্নলিখিত রোগের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করে
  • ভিটামিন ডি অভাব
  • ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েন্সি
  • মূত্রবর্ধক
  • হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য
  • নিরুদন
  • অ্যান্টাসিড
  • কার্বোহাইড্রেট   উৎস হিসেবে ইন ট্রাভেলার্স আধান
  • অস্টিওপেরোসিস 
  • জল প্রতিস্থাপন
  • হাইপোক্যালেমিয়া
  • আরো জানুন ব্যবহার 

শ্বাস প্রতিক্রিয়ায় গ্লুকোজ এর ব্যবহার

নিম্নলিখিত  গ্লুকোজ পাউডার কম্পোজিশন এর ফলে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া একটি তালিকা। এটি একটি সম্পূর্ণ তালিকা  নয়। শ্বাস প্রতিক্রিয়া হতে পারে কিন্তু সব সময় নয়। কিছু প্রতিক্রিয়া মারাত্মক হতে পারে কিন্তু বিরল। নিম্নলিখিত প্রতিক্রিয়া হলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন বিশেষ করে যদি না যায়।

  • মূল বেদনা ব্যথা
  • অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
  • ডিপ্রেশন 
  • জ্বর জ্বর  প্রতিক্রিয়া
  • ইনজেকশনের সাইটের সংক্রমণ
  • সিরাজ তো রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধা
  • ধমনী প্রবাহ ইঞ্জেকশন স্থান থেকে ব্যাপ্ত
  • এক্সট্রা ভাষণ
  • হার বৃদ্ধি টিস্যুর সাহায্যে 

গ্লুকোজ ডি পাউডার এর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানতে পারলাম। গ্লুকোজ ডি পাউডার এর উপকারিতা অনেক বেশি  অপকারিতা থেকে। আমরা জানি যে কোন জিনিসের পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত।

 সুস্থ শরীরে  গ্লুকোজ ডি খাওয়া যাবে কিনা

সুস্থ শরীরে গ্লুকোজ খাওয়া ঠিক না। সুস্থ শরীরে গ্লুকোজ খেলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়। এছাড়াও ডায়াবেটিস ও ফ্যাটি লিভারের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এবং অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরের ওজন বাড়তে থাকে। এর কিছু প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন পেট খারাপ ডায়রিয়া কোষ্ঠকাঠিন্য মাথা ঘোরা ভারসাম্যহীনতা দুর্বলতা রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি।

রক্তে গ্লুকোজ কমে গেলে কি হয়

রক্তে গ্লুকোজ কমে যেতে থাকলে হাত বা শরীর কাঁপা বুক ধড়পড়  ঘামতে ঢাকা অস্থির লাগা মেজাজ খারাপ হওয়া চোখ ঝাপসা হয়ে যায় মাথা ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ শুরু হয়। যদি দ্রুত গ্লুকোজ না গ্রহণ করা হয় তবে মস্তিষ্কে শর্করা কমে যেতে থাকে আর রোগী  ভুল অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে অর্ধচেতন বা অচেতন হয়ে পড়ে। তাই আমাদের সবার উচিত আমাদের শরীর যাতে সুস্থ থাকে বা রক্তস্বল্পতা দেখা না দেয় তাই আমাদের সঠিক পরিমাণে গ্লুকোজ এর ব্যবহার করতে হবে তবেই আমরা সফলতা অর্জন করব।

গ্লুকোজ বানানোর নিয়ম

শর্করার বিশ্লিষ্ট হয় মনোস্যাকারাইড তৈরি করে যার অধিকাংশই হলো গ্লুকোজ। গ্লাইকোলাইসিস বিক্রিয়ার মাধ্যমে গ্লুকোজ অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও পানি তৈরি করে। এক্ষেত্রে নির্গত হয়। ইনসুলিন বিক্রিয়া এবং অন্যান্য বিক্রিয়া রক্তে গ্লুকোজের ঘনত্ব নির্ধারণ করে থাকে। গ্লুকোজ এর গলনাঙ্ক ও 140 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং 1.54 pm3।

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে গ্লুকোজের উপকারিতা অনেক

তবে কেউবা এটির ব্যবহার করে থাকে আবার কেউ নাওবা করে থাকে। গর্ভকালীন সময়ে গ্লুকোজ সঠিকভাবে ব্যবহার করা উচিত। কারণ গর্ভকালীন ব্যক্তির পানিশূন্যতা *  * করে এই গ্লুকোজ। তাছাড়া রক্তশূন্যতা দেখা দেয় না। তেমনি করে একটা শিশুর   পান করা খুবই জরুরী। তাই আমাদের  সকলের উচিত  গ্লুকোজ পান করা।

কোন খাবারগুলো গ্লুকোজ  ধারণ করে

গ্লুকোজ কার্বোহাইড্রেট একটি যৌগিক একক সুক্রোজ এবং ল্যাপটপ গ্লুকোজ এর দ্বিতীয় নাম হলদ্রাক্ষা চিনি একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত হলো গুগলের সবচেয়ে ধনী আঙ্গুর

আমাদের শরীরের মধ্যক গুলকোজ হাইড্রলজি হয় যার ফলে একটি অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট গঠনের সৃষ্টি হয়। 

Md:Aklacur Rahaman

মোঃএখলাছুর রহমান,আমি উত্তরা টাউন ইউনিভার্সিটি কলেজে পলিটিক্যাল সাইন্স ডিপার্টমেন্টে অধ্যায়নরত আছি,আমি sorolmanus.com ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে থাকি।আমার ব্যক্তিগত arnilofficial.com একটি তথ্যমূলক ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত লেখালেখি করে থাকি।টেকনোলজির প্রতি আমি পাগল।বই পড়তে আমার ভালো লাগে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads