দাউদ এর চিকিৎসা ঘরোয়া উপায়

দাউদ এর চিকিৎসা	 ঘরোয়া উপায়

দাউদ এর চিকিৎসা ঘরোয়া উপায়

দাউদ রোগ এক ধরনের চর্মরোগ । এক ধরনের চুলকানি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘামাচির মত  প্রথমে দেখা যাবে তারপর আস্তে আস্তে লাল হতে থাকবে এরপর প্রচুর পরিমাণে চুলকাবে।  

এরপর অনেক চুলকানি হয় ধীরে ধীরে এই রোগ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং  বেড়ে যায়। শরীরের চামড়ার যে অংশ সাধারণতউষ্ণ এবং আর্দ্র থাকে সেখানেই দাউদের সংক্রমণ হয়। মাথার তালুতে, পায়ের পাতায়, হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে, গলার নিচে ইত্যাদি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাউদ  বা চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। আজকে আমরা দাউদ এর চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করব। 

তাই চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আজকে আমাদের এই আলোচনা ।  আপনি খুব  অল্পতেই জেনে নিতে পারবেন দাউদ রোগ বা চর্মরোগ কিভাবে দূর করা যায় এবং সেরে তোলা যায়।

আরো পড়ুনঃ 

 তাহলে চলুন দেখে নেই দাউদ এর চিকিৎসা  সমূহঃ

 দাউদ এর চিকিৎসায় হলুদের ব্যবহারঃ

দাউদ রোগের জন্য আপনি হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।  হলুদ দাউদের খুব উপকারী একটি ঘরোয়া পদ্ধতি। তাই জেনে নিন দাউদ এর চিকিৎসা  করার জন্য আপনি হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। হলুদের রয়েছে  বিপুল মাত্রায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সমূহ। এই ধরনের দাউদ বা চর্মরোগ দূর করার জন্য এর প্রকল্প খুবই। হলুদের কাজ হচ্ছে প্রথমে পরিমান মত হলুদ নিয়ে পানিতে মিশিয়ে নিন।

তারপর  হলুদ  পানিতে নরম একটি তুলা নিয়ে বা নরম কাপড় নিয়ে সেই পানিতে ভিজিয়ে তারপর দাউদের লাগিয়ে দিন। কয়েকদিন এভাবে ব্যবহার করতে থাকুন দেখবেন আপনার  দাউদ খুব অল্প দিনে সেরে যাবে। ব্যবহার করুন দিনে দুই থেকে তিনবার। এই মিশ্রণটি ব্যবহার করার পর আপনার দাউদ চর্মরোগ কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হতে সাহায্য করবে।

দাউদ এর চিকিৎসায় নিম  পাতার ব্যবহারঃ

দাউদ রোগের জন্য নিম পাতার রস আপনি ব্যবহার করতে পারেন। পরিমাণমতো নিম পাতা নিয়ে তারপর ব্লেন্ডারে বা পাটায় পিষে রস করে নিন। এরপর নিম পাতার রসের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে তারপর দাউদের ওপর লাগিয়ে দিন। পাতলা  বা নরম একটি কাপড় ভিজিয়ে তারপর লাগিয়ে দিন। কয়েকদিনের মধ্যে আপনি তার ফলাফল পাবেন।

 ব্যবহার করুন দিনে দুই থেকে তিনবার। নিম পাতা তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি সেপটিক  ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদানসমূহ  দাউদ  রোগ  চর্মরোগ খুব দ্রুত ভালো করতে সাহায্য করবে।

দাউদ এর চিকিৎসায় পেঁপের ব্যবহারঃ

পেঁপেতে রয়েছে রিংওয়ার্মএন্টি ফাঙ্গাস ইত্যাদি খুব অল্প দিনে ভালো করতে সাহায্য করবে পেঁপের ব্যবহার। পরিমান মত একটু বেঁটে নিয়ে ব্লেন্ডারে বা পাটায় পিষে তারপর তা দাউদের লাগিয়ে রাখুন। 

5 থেকে 10 মিনিট। পেঁপে লাগানোর পর একটু জ্বালাপোড়া করবে কিন্তু খুব দ্রুত ভালো হতে সাহায্য করবে। তাই আপনি দাউদের জন্য পেঁপের কাজটি করতে পারেন। ব্যবহারের নিয়ম হলো দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন। তারপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে আপনার শরীরে যে স্থানে দাউদ রয়েছে সে স্থানটা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

দাউদ এর চিকিৎসায় নারিকেল তেল ব্যবহারঃ

নারিকেল তেল  দাউদ বা চর্ম রোগের উপকার করে থাকেন। আপনার শরীরে দাউদ বা চর্ম রোগের জন্য আপনি নারিকেল তেল ব্যবহার করুন এবং শরীরের বিভিন্ন দাগের জন্য আপনি নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

 নারিকেল তেল ত্বকের বিভিন্ন দাগ বা যেকোনো সমস্যা কে দূর করে থাকেন নারিকেল তেল। নারিকেল তেলের ব্যবহার হলো রাতে ঘুমানোর আগে আপনি পরিমাণমতো নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখুন। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে তা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এই কাজটি যদি আপনি কয়েক দিন ব্যবহার করেন তাহলে আপনি ভাল একটি ফলাফল পাবেন।

দাউদ এর চিকিৎসায় অ্যালোভেরা জেল এর ব্যবহারঃ

আপনার শরীলের দাউদের উপকার  করবে এর সঙ্গে আপনার শরীরের বিভিন্ন দাগ বা যেকোনো ফাঙ্গাস ইনফেকশন থেকে মুক্তি করে রাখবে অ্যালোভেরা জেল। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে অ্যালোভেরা জেল তাই আপনি আপনার শরীরের বিভিন্ন দাগের জন্য সমস্যার কারণে এবং কালচে পোড়া দাগের কারণে আপনি এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে রাতে ঘুমানোর আগে আপনি অ্যালোভেরা জেল পরিমাণমতো 

নিয়ে টা দাও দেবা যেকোনো দাগের ওপর  সরাসরি ব্যবহার করে সারা রাতের জন্য রেখে দিন। তারপর সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব ভালোভাবে নিয়ম মত কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন দাউদ চর্মরোগ দূর হতে সাহায্য করবে অ্যালোভেরা জেল।

দাউদ এর চিকিৎসায় রসুনের ব্যবহারঃ

রসুনের রয়েছে  অ্যাজুইনা নামে একধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টি ফাঙ্গাস উপাদান। যা আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস ইনফেকশন দাগ দূর করতে সাহায্য করবে তার সঙ্গে দাউদ চর্মরোগ দূর করতে সাহায্য করবে। রসুনের কোয়া ছোট ছোট করে তারপর দাউদে ভালো করে লাগিয়ে রাখুন। চাইলে আপনি ছোট ছোট টুকরা গুলো দাও আগে তারপর বেঁধে রাখতে পারেন। 

এই ব্যবহারটি যদি আপনি সারা রাতের জন্য রেখে দিতে পারেন তাহলে দ্রুত তার ফলাফল ফিরে পাবেন। এই কাজটি যদি আপনি করতে না পারেন তবে এখানে আরেকটি কাজ সেটা হচ্ছে রসুনের রস করে আপনি সেই রসটা দাউদের লাগিয়ে রাখতে পারেন।

আজকের আলোচনাতে রয়েছিল দাউদ এর চিকিৎসায় ঘরোয়া পদ্ধতি।

আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে দাউদ রোগের ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনাদের যদি কোন পরিমাণ কাজে লাগে তাহলে দাউদ রোগ দূর করার জন্য আপনি এই উপকরণ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই উপকরণগুলি ব্যবহার করার ফলে যদি আপনার কোনো উপকারে না আসে তবে আপনি সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

আজকের আলোচনায় পর্যন্তই সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আবার আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।


শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads